কার্তিক ঘোষ স্টাফ রিপোর্টার : মঙ্গলবার (৩ জুন) ধামরাইয়ে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -৩ এর ধামরাই সদর জোনাল অফিসে তালা ঝুলিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা লা পাত্তা হওয়ার সেবা বঞ্চিত হন সাধারণ গ্রাহকরা। ওই অফিসের সেবা নিতে গিয়ে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন । সকাল ৯ টা থেকে অফিসের প্রধান ফটকে তালা ঝুলতে দেখেন এবং অফিস চত্বরে কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেখতে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন ।
উক্তা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সেবা নিতেএসে হতাশ হয়ে পড়া সাধারণ গ্রাহকরা সেবা পাওয়ার আশায় সারাদিন ওই অফিস চত্বরে অপেক্ষা করতে থাকেন। তবু দেখা মেলিনি ওই অফিসের কোন কর্মকর্তাও কর্মচারীর। কোন প্রকার নোটিশ ও মাইকিং ছাড়াই উক্ত অফিসের প্রদান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অফিসটি বন্ধ রাখার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সেবা বঞ্চিত সাধারণ গ্রাহকরা।
অফিসের জরুরি সেবা নম্বরসহ অফিস স্টাফদের বিভিন্ন নম্বরে ফোন করেও তাদের সঙ্গে কোন প্রকার কথাবার্তা বলতে পারেননি। কারো ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে আবার কারো ফোন সচল থাকলেও অপর প্রান্ত থেকে ফোনটি রিসিভ করা বা তোলা হয়নি। চরম হতাশার মাঝেই সেবা বঞ্চিত সাধারণ গ্রাহকরা অফিস চত্বরে দিনভর অপেক্ষা করেও তারা সেবা না পেয়েই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। আদৌ তারা জানতেই পারেনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের প্রদান ফটোকে তালা লাগিয়ে ত্রিবন্দ রাখার কারণ। সেবা বঞ্চিত ওই গ্রাহকরা এর কারণ জানতে এবং অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।
সেবা বঞ্চিত ওই সাধারণ গ্রাহকরা জানান, দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অফিসে এসে প্রধান তালাবদ্ধ অবস্থা দেখে তাঁরাহতবিহবল হয়ে পড়েন । প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ-সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সেবা বঞ্চিত ওই গ্রাহকরা ।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন—জনসাধারণের সেবাদানকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের এমন অনুপস্থিতি, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা ও অব্যবস্থাপনার পরিচয় ছাড়া আর কিছুই নয় ?এরা বেতন ভাতা সবি নেবে গ্রাহকদের সেবা দেবে না , তা হতে পারে না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ও যথাযথ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্তভাবে অপরিহার্য।
এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সেবা বঞ্চিত পল্লী বিদ্যুতের সাধারণ গ্রাহকরা ।
এ ব্যাপারে ধামরাই পল্লী বিদ্যুৎ জুনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ মাহবুবুর রহমানসহ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের মুঠোফোনে ফোন করেও তাদের তাদের ফোন বন্ধ থাকায় কোন প্রকার কথা বলা ও সাক্ষাৎকার নিয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েও তাদের কোন সন্তান মেলেনি। হলে তাদের কোন প্রকার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব নয়