প্রকাশিত : ০৩ জুন, ২০২৫, ০৬:২৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সিলেটের ভিবিণ্ণ পর্যটক এলাকা প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, বিপদ সীমর উপর দিয়ে প্রবাহিত, নদ নদীর পানি

তপন কুমার সাহা, সিনিয়র রিপোর্টার    ।

অবিরাম বর্ষণে ও ভারত থেকে আসায় পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নদ-নদীগুলোর পানি আরও বেড়েছে। সিলেটের প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার ৪ টি পয়েন্টে এরই মধ্যে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সেগুলো হচ্ছে, কানাইঘাট, আমলসীদ, শেওলা ও ফেঞ্চুগঞ্জ 

তথ্যানুযায়ী গতকাল রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় সুরমার পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর শেওলা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার শুণ্য দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। আর ফেঞ্চুগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার শুণ্য দশমিক ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়াও অন্যান্য নদনদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রভাহিত হয়। 

এদিকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে নগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ছে। নগরীর উপশহর, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন ও জালপাড়া  আশপাশের এলাকা, দক্ষিণ সুরমা, তালতলা,চৌকিদিঘী এয়ারপোর্ট রোড তপোবনসহ বেশ কয়েকটি এলাকা তলিয়ে গেছে। এছাড়াও জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে ভারী বর্ষণে সিলেটের গোলাপগঞ্জে টিলাধসে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের চারজন মাটিচাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের বখতিয়ার ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সকাল সাড়ে আটটায় আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৬ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানিয়েছেন এ মৌসুমে এটাই সিলেটে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। বৃষ্টি ঝরছে ভারতের উজানেও। একদিনে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে। এর প্রভাবে নদনদীতে পানি বাড়ছে। 

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল নামায় সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারার ৫টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। আরও দুদিন অন্তত পানি বাড়বে। তবে ভয়ের কিছু নেই টানা বৃষ্টিপাতের আর কোনো সম্ভাবনা নেই। দুদিন পর পানি কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। 

সাদাপাথরে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা: এদিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। রবিবার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, অবিরাম বর্ষণ ও ঢলে ধলাই নদীর পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ও পর্যটনকেন্দ্রসমূহ পানিতে তলিয়ে গেছে। এমতাবস্থায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হলো। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া স্থিতিশীল হলে পরবর্তীতে উক্ত পর্যটন স্পটটি খুলে দেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়