প্রকাশিত : ০২ জুন, ২০২৫, ০৬:৫৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শ্রীপুরে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে পরিবহন শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ,  গাড়ির হেলপার  অপহরণ

মোঃ হাফিজুর রহমান, গাজীপুর:

গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রভাতি বনশ্রী পরিবহনের চালক ও শ্রমিকদের ওপর হামলা, চাঁদাবাজি ও মারধরের প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পরিবহন শ্রমিক, সোমবার সকাল ৭টা থেকে উপজেলার জৈনাবাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায়  অর্ধশতাধিক প্রভাতি পরিবহনের বাস রাস্তায় আড়াআড়ি করে দাঁড় করিয়ে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে রোববার (রাত) মধ্যরাতে চালানো ওই হামলায় বাস ভাঙচুর, চালক ও সহকারীদের মারধর এবং এক সহকারীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।

হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন চালক মো. সুজন মিয়া (৩০), মানিক মিয়া (৩০), সহকারী মনির হোসেন (২৩), আল আমিন (২২), সাব্বির (২২), নজরুল ইসলাম (৩৩), শাহীন (২১), ফরিদ হোসেন (২৩), রুবেল (২৩), রেজাউল (৩০), রনি (৩০) ও সোহেল (৫০)।

প্রভাতি পরিবহনের চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রাত আনুমানিক ২টার দিকে স্থানীয় মেম্বারের ছেলে ফাহিমের নেতৃত্বে ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে করে একদল লোক এসে আমাদের ওপর হঠাৎ হামলা চালায়। তারা বাস ভাঙচুর ও মারধর করে। তখন আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুমের মধ্যেই তারা আমাদের লাঠি দিয়ে  মারধর করে আহত, করে। প্রতিটি গাড়ি থেকে এক হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমার সহকারী আরিফুল ইসলামকে সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে যায়।’

চালক বাবুল মিয়া বলেন, ‘ওরা নিয়মিত চাঁদা তোলে। এবার হঠাৎ চাঁদার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। রাতে এসে হামলা চালিয়ে মারধর করে। তারা মাদক সেবন করে, হামলা চালিয়েছে। আমরা গরিব মানুষ, পেটের দায়ে গাড়ি চালাই। হঠাৎ এসে আমাদের মারধর করে যায়।

বাসচালকের সহকারী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ মোটরসাইকেলের হর্নে ঘুম ভেঙে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা মারধর শুরু করে। আমাদের হুমকি দেয়, চাঁদা না দিলে বাসের ভেতরেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে। আমরা ভয়ে বাস থেকে নেমে যাই। একজন সহকারীকে তুলে নিয়ে যায়, এখনো তার খোঁজ মেলেনি।’
স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল মিয়া বলেন, ‘ফাহিমের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা আগেও ঘটেছে। চালক ও শ্রমিকেরা অসহায়, প্রতিবাদ করতে পারে না। তারা প্রায়ই মারধরের শিকার হয়।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক দৈনিক সরেজমিন  পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। চাঁদা দাবির অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধী যে-ই হোক, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে। মহাসড়ক সচল রাখতে শ্রমিকদের সরানোর চেষ্টা চলছে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়