মোঃ রফিকুল ইসলাম
ক্রাইম রিপোর্টার
নোয়াখালী সদর উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশলের তত্ত্বাবধানে খুলশী টোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ১০০০ মিটার পাকা সড়ক নির্মানে হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম। উক্ত সড়ক টির দরপত্র আহ্বান করা হয় L.G.E.D নোয়াখালী। (IRIDP.475875041)বাস্তবায়নে সদর L.G.E.D নোয়াখালী। মেমো নং 46.02.7500.000.14.420.23.2592।E-Tender Notice No-71/2022-23;ID No -835027. গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক প্রজেক্ট -৩।Contract No.IRIDP-3/NOA/SDW-115,ID NO - 835027.সর্বমোট ব্যায় ১,৩০,০১,৬১৯.২৫০ টাকা।
দরপত্র অনুযায়ী কাজ আরম্ভ তারিখ ১৪/০৮/২৩ থেকে ৩১/১২/২৩ ইং পর্যন্ত।দরপত্র অনুযায়ী কাজটি পায় মেসার্স সামিউল ট্রেডার্স, প্রোঃ আব্দুল হামিদ।মাইজদী বাজার,সদর,নোয়াখালী।
৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন এর পর সামিউল ট্রেডার্স কাজ বিক্রি করে দেন ঠিকাদার হারুন ওরপে বল্লি হারুন এর নিকট।এখানেই ঘটে বিপওি।৩১/১২/২৩ ইং তারিখে সড়কটি কতৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও অদ্যবদি ধীর গতিতে চলছে রাস্তার কাজ।স্হানীয় জনগন এ প্রতিবেদককে বলেন সড়কটি নির্মাণ কাজ ২ বছর পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কিছুই হচ্ছে না।২ও ৩ নং ম্যাকাডোম এবং দুই পাশে এজিন ইট সবই ২,৩ নং মিলিয়ে রাস্তাটি এখন যেনো মানুষের গলার কাঁটা। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ঠিকাদার বিল নিয়ে চলে যাবে আর রাস্তা ৬ মাসও স্থায়িত্ব থাকবে না।দরপএ মোতাবেক গাইড ওয়াল ৩২১ মিটার (২৬ লক্ষ টাকা)।গাইড ওয়ালে ১নং ইট উল্লেখ থাকলে সেখানে ২,৩ নং ইট ব্যবহৃত হয়েছে। ভাংতি ও সোল্ডার মাটি বরাদ্দ (৬ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা)। খালি জায়গা গুলো ও নিয়ম অনুযায়ী ভরাট করা হয়নি। ১নং ইটের জন্য সরকারি ভাবে বরাদ্দ ১৩৫০০ টাকা।রাস্তার ম্যাকাডোম ৭০% থাকার কথা বাস্তবে তা ৫৫%।১নং প্রতি ফুট ম্যাকাডোম সরকারি রেট ১২১টাকা সেখানে ২,৩ নং ম্যাকাডোম ব্যবহার করা হয়েছে।রাস্তার পাশ -৩.২৫ মিটার।ঠিকাদার কাজ করছে ৩ মিটার।এজিন এর ভিতরে ১০.৫ ফুট থাকার কথা।বাস্তবে আছে ৯.৫ ফুট।কতৃপক্ষ ঠিকাদার যোগসাজশে work order কে পাশ কাটিয়ে উচ্চ মুনাফার লোভে পড়ে সড়কের কাজটি তড়ি ঘড়ি করে সম্পন্ন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রজেক্ট এর দায়িত্বরত এস/ও বারি সাহেবকে মুঠোফোনে রাস্তার বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি বলেন ঠিকাদার ৩ জন একজনকে চিনেন ২ জনকে উনি চিনেন না।কাজের ভুলগুলো উনাকে উপস্থাপন করলে উনি এ প্রতিবেদককে বলেন -ভাই, "আপনিকি সাংবাদিকতার পাশাপাশি ঠিকাদারি ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। কত জায়গায় চাকরি করেছি। আপনার মতো কাজ বুঝার লোক আমি আর পাই নাই"। To the point, এ টু জেড আমাকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছেন।সদর উপজেলা এর প্রধান প্রকৌশলী মনসুর সাহেবকে মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও উনাকে পাওয়া যায়নি।খুলশী টোলা রাস্তার প্রজেক্টের দায়িত্বে কর্মরত এস/ও বারি সাহেব এবং সদর উপজেলার প্রধান নির্বাহী মনসুর সাহেব দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।স্হানীয় বাসিন্দাদের জোর দাবি উক্ত সড়কটি নোয়াখালী স্হানীয় সরকারের প্রধান প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপ এবং সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক (Official Rules Act) এর বিধান মতে শাস্তি দেওয়া হোক।এই দৃষ্টান্ত বাংলার জমিনে ১৮ কোটি মানুষের মনে যেনো থাকে।