বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫

Ripon Howladur

Ripon Howladur এর কিছু লেখা পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিশুদের খেলনার মোড়কে’এসেছে গাঁজার কেক চকলেট গ্রেফতার ৩ জন

  মোঃ রিপন হাওলাদার বাংলাদেশ ডাক বিভাগের বৈদেশিক শাখার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া থেকে দেশে এসেছিল একটি পার্সেল। দেখতে অনেকটা শিশুদের খেলনার মোড়কের মতো। কিন্তু খেলনা সাদৃশ্য পার্সেলটি ছিল মাদক।   ডাক যোগে মাদক আনার ঘটনায় ‘জড়িত’ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গতকাল সোমবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।     ২৩ এপ্রিল মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় মাদকের মধ্যে ছিল গাঁজার নির্যাসযুক্ত (টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল) কুশ, গাঁজার কেক (ক্যানাবিস কেক) ও চকলেট (ক্যানাবিস ইনফিউজড গামিজ)।   ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তি হলেন ইমরান আহমেদ রাজ (২০), মো. রাসেল মিয়া (২৯) ও মো. রমজান মিয়া (২০)। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দাবি, দেশে এসব মাদকের ব্যবহার কম। ফলে দেখে বোঝার উপায় নেই যে সেগুলো মাদক। উদ্ধার করা মাদকের দাম প্রায় এক কোটি টাকা।   সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী। তিনি বলেন, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ডাকযোগে সন্দেহজনক একটি পার্সেল আসার তথ্য তাঁদের কাছে ছিল।পার্সেলটি এমনভাবে মোড়কজাত করা হয়েছিল, যাতে যন্ত্রের পরীক্ষায় (স্ক্যান) ধরা না পড়ে।   ডাক বিভাগের সহযোগিতায় পার্সেলটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল জানিয়ে মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী বলেন,পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁরা নিশ্চিত হন যে সেগুলো মাদক। তিনি আরও বলেন, পার্সেলটির ওপর কোনো ঠিকানা লেখা ছিল না। শুধু একটি মুঠোফোন লেখা নম্বর ছিল। এর সূত্র ধরেই আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজার থেকে মো. রাসেল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরেই বাকি দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।       মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, টেট্রাহাইড্রো ক্যানাবিনল হলো গাঁজার নির্যাস দিয়ে তৈরি একধরনের রাসায়নিক। কুশ হলো হলো গাঁজার ফুল প্রক্রিয়াজাত করে তৈরি করা মাদক।   সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, কর্মকর্তারা একটি কার্টনের ভেতর ছয়টি প্যাকেটের মধ্যে থেকে ১ হাজার ৩৫০ গ্রাম কুশ উদ্ধার করেন। একই কার্টনের ভেতরে ২৮ গ্রাম করে ওজনের ৯টি গাঁজার চকলেট উদ্ধার করা হয়। গাঁজার কেক উদ্ধার করা হয় ১০টি, প্রতিটির ওজন ৬০ গ্রাম। সব কটিই যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি।   সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ ধরনের মাদক কার মাধ্যমে আসে, কারা সেবন করে, সে বিষয়গুলো তাঁরা নিশ্চিত হতে পারেননি। গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।   মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রায়ই মাদক উদ্ধার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে তাদের করা ৩ হাজার ৬৬৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে সাজা হয়েছে ৪৬ শতাংশ মামলায়। ১ হাজার ৯৭১টি মামলায় কারও অপরাধ প্রমাণ করতে পারেনি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।   গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন মোতাবেক সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানানো হয়। আর/এইচ/সরে

Read More »

ভাটারায় তাপতাহ গরমে তৃষ্ণার্তের মাঝে সুপেয় পানি বিতরণ করলো ভাটারা থানা পুলিশ

  মোঃ রিপন হাওলাদার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের নির্দেশনায় পথচারী ও অন্যান্যদের মাঝে পুলিশ কর্তৃক সরবরাহকৃত বিশুদ্ধ পানি প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছে ডিএমপি। রবিবার ২১ এপ্রিল গুলশান বিভাগের তত্ত্বাবধানে ভাটারা থানার সামনে চলমান প্রতিকুল আবহাওয়া ও প্রচন্ড তাপদাহ হতে মানুষের কষ্ট নিবারণের জন্য সুপেয় পানি বিতরণের আয়োজন করে ভাটারা থানা পুলিশ। আয়োজিত বিশুদ্ধ পানি বিতরণ অনুষ্ঠানে নিজ হাতে পথচারীদের মাঝে পানি তুলে দেন অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলাম। সুপেয় পানি বিতরণের সময় অফিসার ইনচার্জ বলেন, তীব্র গরমের মধ্যে জীবিকার তাড়নায় ছুটে বেড়ানো সাধারণ পথচারীদের কষ্ট লাগব করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।মুলত আমাদের থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জন্য সরবরাহ করা সূপেয় পানি আমরা এই বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে পথচারীদের মাঝে বিতরণ করার ক্ষুদ্র প্রয়াস গ্রহণ করেছি।আমাদের ডিএমপি কমিশনার মহোদয়ের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।এ সময় তিনি বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। তৃষ্ণার্ত সাধারণ মানুষ তাদের চলার পথে আকাঙ্খিত বিশুদ্ধ পানি পান করে তাপদাহ থেকে সাময়িক রক্ষা পেয়ে অনেকটা স্বস্থিবোধ করেন এবং তাদের এমন মানবিক কার্যক্রমের ভূয়সি প্রশংসা করেন। এসময় প্রায় এক হাজার মানুষের তৃষ্ণণা নিবারণে থানার বেশকিছু পুলিশ সদস্য তীব্র তাপদাহ পরিবেশ উপেক্ষা করে পথচারীদের পানি পান করার কাজে সহযোগিতা করেন। আর/এইচ/সরে

Read More »

নারায়ণগঞ্জের ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার

  মোঃ রিপন হাওলাদার  নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।   রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় গত ৯ এপ্রিল বেলা ৫ ঘটিকার সময় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি ১। মোঃ সহিদুল (২৭), পিতা মোঃ শুকুর আলী, সারিয়াকান্দি, বগুড়া’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।   গ্রেফতারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত সহিদুল এবং উক্ত মামলার ভিকটিম সোনারগাঁও থানাধীন পেঁচাইন এলাকার একটি স্থানীয় জুতার কারখানায় চাকুরি করার সুবাদে তাদের মধ্যে সুসর্ম্পক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একান্তে যোগাযোগের কথা বলে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে ভিকটিমকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় গ্রেফতারকৃত সহিদুলের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ ২০২৪ তারিখ একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।   গ্রেফতারকৃত সহিদুল এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ার পরপরই সোনারগাঁও এলাকা ছেড়ে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় এসে আত্মগোপন করে। সেখানে নিজের প্রকৃত নাম-পরিচয় গোপন করে ছদ্মনাম ও পরিচয় ব্যবহার করে সে একটি স্থানীয় চায়ের দোকানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।   গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।      

Read More »

মনোহরগঞ্জের ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

  মোঃ রিপন হাওলাদার কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার ২০১৩ সালের ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।     রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন দিলকুশা এলাকায় গত ০৮ এপ্রিল ৪ ঘটিকার সময় অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার ২০১৩ সালের ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি ১। মোঃ আরাফাত উল্লাহ কাজী (৩০), পিতা-জাফর উল্লাহ কাজী, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।   র‍্যাব-৩ গ্রেফতারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে, আরাফাত এবং উক্ত মামলার ভিকটিম পরষ্পর চাচাতো ভাই-বোন। তারা পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করার সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে এক পর্যায়ে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একান্তে যোগাযোগের কথা বলে সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে করে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকলে সে ভিকটিমকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে জানা-জানি হলে উভয় পরিবারের সদস্যরা সালিশি বসলে গ্রেফতারকৃত আসামি ভিকটিমের গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করে। ভিকটিম সম্মান ও সম্ভ্রম হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় গ্রেফতারকৃত আরাফাতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।   মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে গ্রেফতারকৃত আরাফাতকে দোষী সাব্যস্ত করে বিজ্ঞ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, কুমিল্লা কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা মোতাবেক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।   গ্রেফতারকৃত আরাফাত তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের হওয়ার পরপরই নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পলাতক জীবনযাপন করে আসছিল।     গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।    

Read More »

গোপালগঞ্জের দূর্ধর্ষ ডাকাতি মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

  মোঃ রিপন হাওলাদার   গোপালগঞ্জের বহুল আলোচিত ২০০৯ সালের কাশিয়ানীতে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি মামলায় ১৪ বছর যাবৎ পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি দীর্ঘ ’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।       গত ০৬ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখ ২:১০ ঘটিকায় র‌্যাব-৩ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০০৯ সালের বহুল আলোচিত গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে একটি পরিবারের সদস্যদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুর্ধর্ষ ডাকাতি মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং দীর্ঘ ১৪ বছর যাবৎ পলাতক কুখ্যাত ডাকাত মোঃ শামীম মোল্যা (৩২), পিতা-মৃত আইয়ুব আলী মোল্যা, কাশিয়ানী, গোপালগঞ্জ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।       পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্র জানায় গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধান করে তারা জানতে পারে যে, ৩১ জুলাই ২০০৯ তারিখ সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানাধীন মাজড়া মধ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা ছবুর হোসেন মোল্যা তার স্ত্রী-সন্তানদের বাড়িতে রেখে তার চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে যায়। ছবুর মোল্যার অনুপস্থিতির সুযোগে ঐদিন রাত ০২৩০ ঘটিকায় তার ঘরের দরজা ভেঙে গ্রেফতারকৃত আসামি শামীম ডাকাতসহ অপরাপর সহযোগী আসামি সাজু মোল্যা, নুরু মোল্যা, জুয়েল মোল্যা, সোহাগ, বুদ্দু শেখ, কোবাদ, বাবুল, শাহী, জনি, মাফিজুর ও আলামিন ঘরে প্রবেশ করে। আসামিরা ছবুর মোল্যার স্ত্রী ও সন্তানকে টেনে হিঁচড়ে ঘুম থেকে উঠিয়ে তাদের গলায় ধারালো রামদা ও ছোরা ধরে কোনরকম শব্দ করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় এবং ছবুর মোল্যার স্ত্রীর কানে থাকা স্বর্ণের দুল ও ট্রাংকে রক্ষিত নগদ ৭২,০০০/- টাকা, ০১ টি স্বর্ণের আংটি, ০১ টি স্বর্ণের চেইন, ০১ ভরি রুপার গহনা ইত্যাদি লুন্ঠন করে পালিয়ে যায়।   ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার পর ছবুর মোল্যার স্ত্রীর ডাক-চিৎকার শুনে প্রতিবেশী লোকজন ঘটনাস্থল ছবুর মোল্যার বাড়িতে উপস্থিত হয়। সংবাদ পেয়ে ছবুর মোল্যা নিজেও বাড়ি ফিরে আসে। ছবুর মোল্যার স্ত্রী ডাকাত দলের সদস্যদের মধ্যে সাজু মোল্যা ও নুরু মোল্যাকে চিনতে পেরেছে বলে উপস্থিত সকলকে জানায়। পরদিন সকালে ছবুর মোল্যা বাদী হয়ে কাশিয়ানী থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করে। যার প্রেক্ষিতে পুলিশ সাজু মোল্যা ও নুরু মোল্যাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির ঘটনায় নিজেরা জড়িত মর্মে স্বীকার করে এবং বর্ণিত ঘটনায় জড়িত শামীম ডাকাতসহ ১০ জনের নাম প্রকাশ করলে পুলিশ কর্তৃক শামীম ডাকাত গ্রেফতার হয়। জেল হাজতে ০৯ মাস অতিবাহিত করে সে জামিনে মুক্তি পেয়ে আত্মগোপন করে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা এলাকায় একটি রেস্তোরায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।   মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০২৩ সালে বিজ্ঞ অতিরিক্ত দায়রা জজ ২য় আদালত, গোপালগঞ্জ কর্তৃক উক্ত মামলার ১২ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা হয়। রায় ঘোষনার পর গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষ্যে শামীম মোল্যা ময়মনসিংহ হতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকায় এসে আত্মগোপন করে। র‌্যাবের গোয়েন্দা ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ০৬-০৪-২০২৪ তারিখ ২:১০ ঘটিকায় র‌্যাব-৩ এর আভিযানিক দল তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।     উল্লেখ্য যে, ইতোমধ্যে উক্ত মামলার ১২ জন আসামির মধ্যে শামীম মোল্যা, জুয়েল মোল্যা, নুরু মোল্যা, সোহাগ, আলামিন, মাফিজুর ও কোবাদসহ মোট ০৭ জন গ্রেফতার হয়েছে এবং বাবুল শেখ ২০২৩ সালে মারা গিয়েছে। মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক অপরাপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাব এর গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রয়েছে।   গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।      

Read More »

হবিগঞ্জের রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

  মোঃ রিপন হাওলাদার বহুল আলোচিত হবিগঞ্জ সদরের বামকান্দি এলাকায় হাজী রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামিক গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩ ও র‌্যাব-৯ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়,০৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ হবিগঞ্জ সদরের বামকান্দি এলাকায় একটি মাজারের ওরসে নাগরদোলায় চড়া নিয়ে দ্বন্ধে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের নৃশংস হামলায় ভিকটিম হাজী রফিক (৫৬) মৃত্যুবরণ করে। উক্ত ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। র‌্যাব উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে ০৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ ১১:৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৩ ও র‌্যাব-৯ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হাজী রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ১। কায়সার রহমান (৪০), পিতা-মৃত আব্দুর রহমান, বামকান্দি, হবিগঞ্জ সদর, হবিগঞ্জকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধান করে র‌্যাব জানতে পারে যে,গত ০৬ মার্চ ২০২৪ তারিখ রাতে হবিগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বামকান্দি এলাকার একটি মাজারে ওরস অনুষ্ঠানে নাগরদোলায় চড়া নিয়ে ভিকটিম রফিক এর ভাতিজা নাদিম এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রেফতারকৃত কায়সার রহমান এর ভাগ্নে মোশারফ এর ঝগড়া হয়। বিষয়টি দুই পক্ষের পরিবার পর্যন্ত গড়ালে পরদিন ০৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ ভিকটিম রফিক গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উক্ত হত্যাকান্ডের অপর আসামিদের সাথে বামকান্দি বাজারে মীমাংসার জন্য বসলে সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি এবং মামলার অপর আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ভিকটিম রফিকের উপর নৃশংস হামলা চালায়। মুমুর্ষূ অবস্থায় ভিকটিম রফিককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভিকটিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ১০ মার্চ ২০২৪ তারিখ ১১২৫ ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে। এই নৃশংস ঘটনায় ভিকটিম এর ছেলে বাদী হয়ে ২৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ হবিগঞ্জ সদর থানায় গ্রেফতারকৃত কায়সারসহ মোট ১১ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করে। উক্ত ঘটনার পর হতেই গ্রেফতারকৃত আসামি নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানীতে আত্মগোপনে চলে যায়। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় অদ্য ০৫ এপ্রিল ১১৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-৩ ও র‌্যাব-৯ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দলের হাতে হাজী রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি কায়সার রহমান গ্রেফতার হয়। উক্ত হত্যা মামলার পলাতক অপর আসামিদের গ্রেফতারে র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন‌ রয়েছে বলে জানান যায়। আর/এইচ/সরে  

Read More »

পটুয়াখালীর অপহৃত কিশোরী উদ্ধার অপহরণকারী গ্রেফতার

  মোঃ রিপন হাওলাদার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে বহুল আলোচিত পটুয়াখালী জেলার বাউফল এলাকা হতে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩। ৪ এপ্রিল  ৮:৩০ ঘটিকার সময় ঢাকা মহানগরীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বহুল আলোচিত পটুয়াখালী জেলার বাউফল এলাকা হতে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী ১। মোঃ মাসুম বিল্লাহ আকন (২১), পিতা-মোঃ হারুণ আকন, নাজিরপুর, বাউফল, পটুয়াখালী’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানায় গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধান করে তারা জানতে পারে যে, অপহৃত ভিকটিম কিশোরী পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানাধীন বাউফল সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। গত ০১/০৪/২০২৪ তারিখ ০৮০০ ঘটিকায় ভিকটিম প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে তার প্রাইভেট টিউটরের বাড়ির দিকে রওনা করে। পথিমধ্যে বিলবিলাস বাজারের কাছাকাছি পৌছালে গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী মাসুম অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের সহায়তায় ভিকটিমকে পথরোধ করে এবং জোরপূর্বক ভিকটিমকে একটি মাহিন্দ্রো গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও ভিকটিম নিজ বাড়িতে না ফেরায় তার পরিবার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে প্রাইভেট টিউটরের সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে। প্রাইভেট টিউটর জানায় ভিকটিম তার কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়নি। এমতাবস্থায় ভিকটিমের পরিবার ভিকটিমকে খোজাখুজির জন্য বের হলে প্রত্যক্ষদর্শী একজন পথচারীর নিকট হতে অপহরণের বিষয়টি জানতে পেরে তারা নিশ্চিত হয় যে, ভিকটিমকে গেফতারকৃত মাসুম অপহরণ করেছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানায় গ্রেফতারকৃত মাসুম এবং অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। এপ্রেক্ষিতে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য র‌্যাব-৩ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অবস্থান শনাক্ত করে অদ্য ০৪/০৪/২০২৪ তারিখ ১৮৩০ ঘটিকায় ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী মাসুমকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পলাতক অপর আসামিদের গ্রেফতারে র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। উদ্ধারকৃত ভিকটিমকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর এবং গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। আর/এইচ/সরে

Read More »

সমবায় সমিতির নামে চার শত গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার

  মোঃ রিপন হাওলাদার সমবায় সমিতির নামে চার শতাধিক গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারণা চক্রের মূলহোতা ও ০৭ টি প্রতারণা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩। ০৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ ৭:২০ ঘটিকায় ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিল থানাধীন মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সমবায় সমিতির নামে চার শতাধিক গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারণা চক্রের মূলহোতা ও ০৭ টি প্রতারণা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন যাবৎ পলাতক আসামি ১। মোঃ ফখরুল ইসলাম (৪০), পিতা-তাজাম্মল হক, শাহরাস্তি, চাঁদপুর’কে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩। র‍্যাব সূত্র বলছে গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে তাঁরা জানতে পারে যে, সে ২০১১ সালে মেঘনা মাল্টিপারপাস লিমিটেড নামে একটি সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৩ সালে উক্ত সমবায় সমিতির গ্রাহক সংখ্যা চার শতাধিক ছাড়িয়ে গেলে গ্রেফতারকৃত আসামি গ্রাহকদের জমাকৃত কোটি কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে অর্থ আদালত আইন এবং সমবায় সমিতি আইনে চেক জালিয়াতিসহ প্রতারণার অভিযোগে মোট ০৭ টি মামলা দায়ের করা হয়। উক্ত মামলা সমূহের দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গ্রেফতারকৃত আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। তন্মধ্যে সমবায় সমিতি আইনে দায়ের করা ২০১৪ সালের একটি মামলায় বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত, চাঁদপুর কর্তৃক ২০২০ সালে গ্রেফতারকৃত আসামিকে ০৭ বছরের কারাদন্ড এবং ৬,৬৬,৬৬৬/- টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি গ্রাহকদের টাকা লুট করার পর হতেই নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবনযাপন করে আসছিল। সে নিজের প্রকৃত নাম পরিচয় গোপন করে ছদ্মনাম ব্যবহার করে রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় অবস্থানকালে গত ০৩/০৪/২০২৪ তারিখ র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দলের হাতে গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। আর/এইচ/সর

Read More »
sorejominbarta

স্বর্ণালঙ্কার বিক্রিতে ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব বাজুসের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি পাইকারি বাজার

  মোঃ রিপন হাওলাদার স্বর্ণালঙ্কার বিক্রিতে ভ্যাট কমানোর প্রস্তাব জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বুধবার (৩ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপলক্ষে বাজুসের প্রস্তাবনা তুলে ধরতে আয়োজিত প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। এসময় সংগঠনের শীর্ষ নেতারা দেশে স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণ তুলে ধরে বলেন,স্বর্ণ ব্যবসায় যুক্ত স্থানীয় পোদ্দার ও চোরাকারবারি সিন্ডিকেট মিলে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। স্বর্ণের বাজারে দেশি-বিদেশি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট অস্থিরতা ছড়িয়ে দিচ্ছে বলেও জানায় বাজুস।স্বর্ণের পর্যাপ্ত চাহিদা পূরণ ও সকলের নাগালে আনতে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রির উপর আরোপিত ভ্যাট কমানোসহ ১৫ টি দাবি উত্থাপন করা হয়।   এসময় আরো বলা হয়,প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন সারা দেশের জল, স্থল ও আকাশ পথে কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ স্বর্ণালঙ্কার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা ৩৬৫ দিন বা একবছর শেষে দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। দেশে চলমান ডলার সংকটে এই ৭৩ হাজার কোটি টাকার অর্থপাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। স্বর্ণের বাজারে চোরাকারবারিদের দেশি-বিদেশি সিন্ডিকেট অস্থিরতা ছড়িয়ে দিচ্ছে দাবি করে বাজুস জানায়, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রতিনিয়ত স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হচ্ছে। পোদ্দারদের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে স্বর্ণের পাইকারি বাজার। পোদ্দারদের সঙ্গে চোরাকারবারিদের সিন্ডিকেটের গভীর সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে বাজুস নেতারা বলেন, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে স্থানীয় পোদ্দার বা বুলিয়ন বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়াচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে স্বর্ণের অনানুষ্ঠানিক আমদানি নিরুৎসাহিত করার ক্ষেত্রে ব্যাগেজ রুলের সংশোধন এখন সময়ের দাবি উল্লেখ করে বাজুস নেতারা বলেন, অবিলম্বে ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে পর্যটক কর্তৃক স্বর্ণের বার আনা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি ট্যাক্স ফ্রি স্বর্ণালঙ্কারের দেশে আনার ক্ষেত্রে পরিমাণ কমিয়ে ১০০ গ্রামের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম করতে হবে। ব্যাগেজ রুলের আওতায় স্বর্ণের বার ও অলংকার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সংকট, চোরাচালান ও মানি লন্ডারিংয়ে কী প্রভাব পড়ছে তা নিরূপনে বাজুসকে যুক্ত করে যৌথ সমীক্ষা পরিচালনা করারও দাবি জানিয়েছেন বাজুস নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়, উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেল, সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশনের চেয়ারম্যান ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, স্ট্যান্ডিং কমিটি অন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপন্টের সদস্য সচিব তাসনিম নাজ মোনা প্রমুখ এসময় । আর/এইচ/সরে  

Read More »
sorejominbarta

আকিজ নিয়ে এলো নতুন স্বাদের কোমলপানীয় ক্লেমন মোহিতো

  মোঃ রিপন হাওলাদার আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড-এর অন্যতম কোমলপানীয় ক্লিয়ার লেমন ড্রিংক। ক্লিয়ারলি ফ্রেশনেস ছড়িয়ে।তরুণ ও সব বয়সী মানুষের হৃদয়ে ইতোমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। এবার ক্লেমন পরিবারে যুক্ত হলো আরেকটি রিফ্রেশিং ড্রিংক “ক্লেমন মোহিতো”। কুল লেমন ও মিন্টের সতেজতায় তৈরি ক্লেমন মোহিতো এখন পাওয়া যাচ্ছে সর্বত্র। ক্লেমন মোহিতোর কুল লেমন এবং মিন্টের ফ্রেশনেসের দারুণ কম্বিনেশন ভোক্তিকে করে তুলবে সতেজ ও প্রাণবন্ত। এই গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমে কুল ও রিফ্রেশ থাকতে, ক্লেমন মোহিতো হতে পারে এক অতুলনীয় সমাধান। এছাড়া শরীরকে রিহাইড্রেট করতে ক্লেমন মোহিতো উপকারী। কুল লেমন এবং মিন্টের সতেজতায় ক্লেমন মোহিতোর নতুন স্বাদে দূর হবে সারা দিনের ক্লান্তি। ২ এপ্রিল মঙ্গলবার, ২০২৪ ইং তারিখ,সকাল ১১ টায় আকিজ হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ক্লেমন মোহিতোর আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর অব অপারেশন সৈয়দ জহুরুল আলম। তিনি জানান, “ক্লেমন যেমন খুব কম সময়ে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ক্লিয়ার লেমন ড্রিংকে পরিণত হয়েছে এবং ভোক্তাদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে চলে এসেছে, ঠিক তেমনি কেমন মোহিতো ভোক্তাদের চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে। তাই আমরা আশা করছি ভোক্তারা ঠিক একই রকম ভালোবাসা দিয়ে ক্লেমন মোহিতোকে গ্রহণ করে নিবে।”  অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, জিসিপিও নাবিল আহমেদ, সিএমও মাইদুল ইসলাম ব্যান্ড ম্যানেজার আব্দুল আজিজ, সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট এবং অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দরা। আর/এইচ/সরে  

Read More »