সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট

ডেস্ক রিপোর্ট এর কিছু লেখা পড়ুন

হাতিয়ায় নিজ উদ্যোগে ব্লকবাঁধ,ফেরি,নিয়ে কাজ করবে – সাবেক এমপি প্রকৌশলী ফজলুল আজিম

মোজাহের ইসলাম নাঈম নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ও বন্যায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এবং ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহতদের দ্রুত সুস্থতা ও বন্যা কবলিত মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য দোয়ার আয়োজন করেন হাতিয়া উপজেলা বিএনপি। আজ (১লা সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় হাতিয়া উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে,জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির আয়োজনে,বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আবুল কালামের সভাপতিত্বে,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য প্রকৌশলী ফজলুল আজিম ও তার সহধর্মিণী শামিমা আজিম,এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি নিজাম চৌধুরী,সহ-সভাপতি এডঃ ইউনুছ,উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল উদ্দিন রাশেদ, পৌরবিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী আব্দুর রহিম,পৌরবিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিন,পৌরবিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাসেম,উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিছানুল আলম লেলিন,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলামসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন,হাতিয়ার সবচেয়ে প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গা,চানন্দী, হরণী,নলচিরা ইউনিয়ন খুবই জোরে ভাঙ্গছে। তাই অতি দ্রুত নদী ভাঙ্গা রোধ করা জরুরী। যদি সরকারি ভাবে ব্লকবাঁধ না করে তাহলে আমরা নিজেদের উদ্যোগে করার চেষ্টা করবো।এছাড়া চেয়ারম্যানঘাট থেকে স্রীট্রাকের ব্যবস্থা আরও উন্নতি করবো।যাতে যাত্রীরা চলাচলপথে বাঁধার মুখে না পড়ে।এছাড়া ফেরি আনার বিষয়ে যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন তা আমি করবো। পরে অনুষ্ঠান শেষে খালেদাজিয়ার রোগমুক্তি এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে তাদের জন্য দোয়া করা হয়। তাং ০১/০৯/২৪ ইং

Read More »

নোয়াখালীতে পানির সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে আহত ৭

মোজাহের ইসলাম নাঈম নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পানির সেফটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে ৭জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হাসপাতাল রোডের আদর হসপিটাল ভবনের আদর হসপিটাল ফার্মেসিতে এই ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, আদর ফার্মেসির কর্মচারি মো.দুলাল (২৬) দিনমজুর আশিক (২৮) ও রাফেল (৩২)সহ অন্তত সাতজন। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দি আব্দুল আজিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে ৭জনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এছাড়াও কয়েকজন সামান্য আহত হয়। আদর হসপিটাল ফার্মেসির প্রেপাইটর মো.আব্দুল কাদের বলেন, রাত ৯টার দিকে আদর হসপিটাল ভবনের নিচে বেজমেন্টে পানির সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে যায় দিনমজুর আশিক ও রাফেল। তখন আমি ফার্মেসিতে ছিলাম না। একপর্যায়ে পানির ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় রাত সোয়া ৯টার দিকে আকস্মিক বিকট শব্দে পানির ট্যাংক বিস্ফোরণ হয়। এতে আমার ফার্মেসি দোকান ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে যায়। ওই সময় দোকানে থাকা কর্মচারি দুলাল, দিনমজুর আশিক ও রাফেল দগ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হয়। কাদের আরও বলেন, আমার ফার্মেসিতে ১৭-১৮ লাখ টাকার ওষুধ ছিল। সর্ব মোট আমার ২০-২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নোয়াখালীর সহকারি পরিচালক মো.ফরিদ আহমেদ বলেন, বহুতল ভবনের বেজমেন্টে থাকা পানির সেফটিক ট্যাংক হঠাৎ করে বিকট এ শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে আদর ফার্মেসি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বিস্ফোরণের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত শেষে বলা যাবে।

Read More »

আশুলিয়া থানা বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত মোঃ রবিউল ইসলাম রবি স্টাফ রিপোর্টার ঢাকা জেলা সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত।

  রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সারে ৪টায় সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার বাইপাইল এলাকায় এলাহী কমিউনিটি সেন্টারে আশুলিয়া থানা বিএনপির উদ্যোগে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়। আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো: আসাদুল্লাহ আহমেদ দুলাল এর সঞ্চালনায় ও আশুলিয়া থানা বিএনপির সহ-সভাপতি মো: আব্দুল বাছেদ দেওয়ান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ধামশোনা ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানা বিএনপি’র সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গফুর মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ মোখলেসুর রহমান খান ইলিয়াস শাহী,নজরুল ইসলাম সহ আরও অনেকেই। বক্তারা বলেন, বন্যাপীড়িত অসহায় মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে বিএনপি এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে পালন করছে। বন্যার কারণে আমাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ৬ দিনের কর্মসূচি কমিয়ে শুধু প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিন (১ সেপ্টেম্বর) অনাড়ম্বরভাবে পালন করা হচ্ছে। তারা আরো বলেন, দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এবারের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, দলের উপজেলা কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন ও দলের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বন্যাদুর্গত অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবে এবং সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা আর বাংলাদেশে কোন স্বৈরাচার দেখতে চাই না, আমরা বাংলাদেশে সুস্থ ধারার রাজনীতি দেখতে চাই , স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার যে স্বাদ সেটা অনুভব করতে পেরেছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু যড়যন্ত্রকারী প্রেতাত্মারা আপনাদের অনেককে ঢাল বানিয়ে এখন নব্য বিএনপিতে তৈরি হয়েছে। আমি আপনাদেরকে বলতে চাই, যারাই এই ধরনের নব্য বিএনপিকে সুযোগ করে দিবেন, তাদের বাংলাদেশে বিএনপির রাজনীতি করার সুযোগ থাকবে না বা যোগ্যতা থাকবে না। এসময় উপস্থিত ছিলেন, আশুলিয়া থানা বিএনপিসহ সকল সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী প্রমুখ ।

Read More »

রাজধানীর বাড্ডায় হোটেল রিমন, ইসলামিয়া, অরণ্য, তাজ ও রয়েলের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ!

  মোঃ রিপন হাওলাদার রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে আবাসিক হোটেলের আড়ালে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত পতিতালয় ও মাদকের আখড়া। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে অর্থলোভী কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের রমরমা দেহ ব্যবসা। উক্ত হোটেলগুলো প্রতিনিয়ত বহিরাগত কপত কপতিকে স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে অধিক মুনাফা লাভের আশায় হোটেল মালিকগণ তাদের পালিত ম্যানেজার ও দালাল চক্রের মাধ্যমে রুম বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। এতে করে এসমস্ত এলাকার সামাজিক পরিবেশের অবক্ষয় সৃষ্টি হচ্ছে। আর এসমস্ত হোটেলগুলোতে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েদের আনাগোনাই বেশি। বিশেষ করে বাড্ডা, মধ্যবাড্ডা, উত্তরবাড্ডা, দক্ষিণবাড্ডা এলাকায় স্কুল-কলেজের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অবৈধ আবাসিক হোটেলগুলোর খদ্দেরদের একটি বড় অংশই স্কুল-কলেজের উঠতি বয়সের ছাত্র-ছাত্রীরা। আবার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে হোটেলগুলোর ভিজিটিং কার্ডে অমক ভাই, তমক ভাইয়ের মোবাইল নাম্বারসহ পরে থাকতে দেখা যায়। বাড্ডা এলাকায় বেশ কিছু হাসপাতালও রয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজনদের রাত্রী যাপনে একমাত্র সম্বল হয় আবাসিক হোটেলগুলো। আর এসমস্ত আবাসিক নামের আড়ালের হোটেলগুলোতে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি যোগান দেওয়া হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত ইয়াবা, ফেন্সিডিল, হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকের। আর এতেই ধ্বংস হচ্ছে দেশের যুব সমাজ, বলে মনে করেন সমাজবিদগণ। প্রবাদে আছে “চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী” আবাসিক হোটেলের আড়ালে পতিতাবৃত্তি ও মাদকের আখড়া গড়ে তোলার বিষয়টি অকপটে স্বিকারও করেন হোটেলগুলোর ম্যানেজার ও মালিক পক্ষরা। ম্যানেজার ও মালিকপক্ষগণের সঙ্গে কথা হলে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে দৈনিক জাতীয় সংবাদ পত্রিকার অনুসন্ধানে। স্বৈরশাসক ও ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে প্রশাসন থেকে শুরু করে এলাকার নামধারী নেতাদেরকেও ম্যানেজ (উপঢৌকন) করে এই পতিাতাবৃত্তি করেছেন বলে জানান তারা। দৈনিক জাতীয় সংবাদ পত্রিকার অনুসন্ধানে বাড্ডা এলাকায় অবস্থিত (১) হোটেল রিমন প্যালেস আবাসিক, (২) হোটেল রয়েল আবাসিক, (৩) ইসলামিয়া আবাসিক হোটেল (যার পূর্বের নাম- ঢাকা বোর্ডিং), (৪) হোটেল তাজ আবাসিক ও (৫) মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত হোটেল অরণ্য আবাসিক (যার পূর্বের নাম- হোটেল মোহনা আবাসিক) নামে আবাসিক হোটেলের আড়ালে করা হয় পতিতাবৃত্তি ও মাদক বাণিজ্য এমন তথ্যই উঠে আসে। জেলা প্রশাসক কর্তৃক কোনো প্রকার অনুমোদন না নিয়ে, শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের নিকট থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে চলমান রয়েছে। এমনকি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবাসিক হোটেল গড়ে তোলার জন্য যে সমস্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তার কোনটিই নেই তাদের। ফলে যত্রতত্র ওঠা গড়ে এসমস্ত হোটেলগুলোর আশ-পাশের বাসিন্দাদের জন্য হয়ে উঠেছে হুমকি স্বরূপ। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বর্ডাররা না বুঝে এসব আবাসিক হোটেলে উঠে বিব্রতকর অবস্থার শিকারও হচ্ছেন অহরহ। উক্ত হোটেলগুলো আড়াল থেকে পরিচালনা করেন মাদারীপুর জেলার মনিরুজ্জামান মনির নামের এক ব্যক্তি। আর তারই সহযোগী হিসেবে কাজ করেন, খসরু চৌধুরী, মেরুল বাড্ডার আল-আমিন খান (অনিক) ও ওবায়দুলসহ আরও কিছু মানবপাচার দালাল চক্র। উক্ত বিষয়ে হোটেলগুলোর মালিক মনিরুজ্জামান মনির’র মুঠো ফোনে কল করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। তবে হোটেল রয়েল আবাসিকের ম্যানেজার ওবায়দুল’র নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আপনাদের কাছে লুকানোর কিছু নেই, দুই একটি যা বর্ডার পাই তাতে আমাদের হোটেল চালানো কষ্টসাধ্য। যার কারণে আমরা হোটেলে কিছু মেয়ে দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকি। তবে বর্তমানে ছাত্র-জনতাদের জ্বালায় আমরা ঠিকমত ব্যবসাও করতে পারছি না। বাড্ডা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিন হোটেলগুলোর নিচে দালালরা ঘোরাঘুরি করে এবং আমরা যারা ফুটপাত দিয়ে যাওয়া আসা করি আমাদের উদ্দেশ্য করে তারা বলেন, লাগবে নাকি! আমাদের সঙ্গে আমাদের পরিবার ও বাচ্চারাও এদের নোংরা কথা শোনে এবং পরবর্তীতে আমাদেরকে প্রশ্ন করলে আমরা বিব্রতকর অবস্থায় পরি। স্থানীয়রা বলছেন, গণমাধ্যমে একাধিকবার প্রতিবেদন প্রকাশ করলে ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে তাদের পালিত পুলিশ প্রশাসন নাম মাত্র মাঝে মধ্যে দু’একটি অভিযান পরিচালনা করত। অভিযান পরিচালনা করে এদের বিরুদ্ধে মামলা দিলেও কিছু দিন পরে আইনের ফাঁকফোকরে বেড়িয়ে এসে পুনরায় এরা আবারো অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত হচ্ছিলো। এতে করে আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ সঙ্কায় রয়েছিলাম। দিন দিন বাড্ডা এলাকায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে এদের অনৈতিক কার্যকলাপ বেড়েই চলেছে। এসময় বর্তমান দেশের যোদ্ধা ছাত্র-জনতা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেনো সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে এদের অবৈধ কার্যকলাপ নির্মূলে এগিয়ে আসেন এই কামনা করেন স্থানীয় সচেতন বাসিন্দারা। চলবে ——-

Read More »

অপকর্মে জড়িতরা বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কেউ নন….. ব্যারিষ্টার মীর হেলাল

  চট্টগ্রাম ব্যুরো: অপকর্মে জড়িতরা বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কেউ নন এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ -সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ও বিএনপি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কমিটির সদস্য এবং বিএনপি মিডিয়া সেল-এর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যে কোনো দখলদারিত্ব-চাঁদাবাজি করবে তাকে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করার আহ্বানও জানান তিনি। ৩১ আগষ্ট (শনিবার) বিকালে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাধীন নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়নে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে হালদা নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ ও বন্যা কবলিত কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ পরবর্তী মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।   মীর হেলাল উদ্দিন বলেন, বিএনপিতে কোনো দখলদার চাঁদাবাজ ও দুষ্কৃতিকারীদের ঠাঁই নেই,যারা অন্যায়-অপকর্মে জড়িত তারা বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের কেউ নন। কেননা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর নীতি অবলম্বন করছেন। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যে কোনো দখলদারিত্ব-চাঁদাবাজি করবে তাকে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করুন। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা অন্যায়ভাবে দখল, চাঁদাবাজি, গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে রাজত্ব করেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে তারা ভেবেছিল বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দিবে। কিন্তু সেটি সম্ভব হয়নি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দৃঢ় মনোবল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঠিক নেতৃত্বের কারণে। একপর্যায়ে দেশের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ছাত্র-জনতার সংঘবদ্ধ আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়েছে। কিন্তু তার দোসররা এখনও অন্যায় কার্যক্রম ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। মীর হেলাল আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীন হয়েছে। দেশের মানুষ বুক ভরে শ্বাস নিতে পারছে। এক্ষেত্রে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন না হলে এটা সম্ভব হতো না। জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি এবং দ্রুত সুস্থতার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি। মীর হেলাল বলেন, আজকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ঠিকই কিন্তু তার প্রেতাত্মা এবং দোসররা চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছে। তারা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে দখল, চাঁদাবাজি ও লুট করছে। আমরা এ বিষয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছি। কোনো দখলদার চাঁদাবাজদের স্থান বিএনপিতে নেই। তারা বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনের কেউ নন। কেননা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই বিষয়ে অত্যন্ত কঠোর নীতি অবলম্বন করছেন। দলের নাম ভাঙিয়ে যেই কোনো দখল-চাঁদাবাজি করবে তাকে ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করুন। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আজ স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় রয়েছেন। এখন হালদা নদী ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ ও বন্যা কবলিত কর্মহীন মানুষের মাঝে ব্যাপক ত্রাণসহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লায়ন সালাউদ্দীন আলীর বলেন, বহুদিন পর বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। এখন দেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের হারানো ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সতর্কভাবে পথ চলতে হবে। আর যাতে কোনো ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার দেশে মাথাচাড়া দিতে না পারে।এতোদিন ধৈর্য ধরেছেন আর কিছুদিন ধৈর্য ধরুন। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করুন। উক্ত সভায় নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব সালাউদ্দীন আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ রফিকুল আলম চৌধুরী, আব্দুল শুক্কুর কাউন্সিলর, মোহাম্মদ হারুন চৌধুরী, ইলিয়াছ চৌধুরী, রহমত উল্লাহ মেম্বার, উপজেলা যুবদল এর সাবেক সভাপতি শাহেদুল আজম, উত্তর জেলা শ্রমিক দল সাধারন সম্পাদক নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আকবর আলী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাসাস সভাপতি কাজী সাইফুল ইসলাম টুটুল,উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জি এম সাইফুল, সদস্য সচিব নুরুল কবির তালুকদার, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি তকিবুল হাসান তকি, চট্টগ্রাম জেলা জিয়া স্মৃতি পাঠাগার সাধারণ সম্পাদক লায়ন আনোয়ার হোসাইন উজ্জ্বল, নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন আহবায়ক কমিটির সদস্য গাজী মোরশেদ উল আলম,শফিউল আলম বাবু, বিএনপি নেতা আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন, ফরিদ আহম্মদ সওদাগর, মোহাম্মদ আজম মেম্বার, মোহাম্মদ সোলমান মেম্বার, মোহাম্মদ বদিউল আলম মেম্বার, মোহাম্মদ শফিউল আলম বাবুল,নুরুল আবছার আক্তার, মোহাম্মদ তৌহিদুল আলম,মোহাম্মদ আকতার হোসেন ভুট্টো মেম্বার, ডাক্তার নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন, ডাক্তার আজম, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম (প্রকাশ মেম্বার) মোহাম্মদ ফিরোজ আলম, আব্দুল হালিম, মোহাম্মদ সোলমান, মোহাম্মদ আবু তৈয়ব মিয়া, হাজী আব্দুল্লাহ (বাহাদুর শাহ), ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ নঈম উদ্দিন, সাবেক ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল জলিল মোহাম্মদ জানে আলম, রবিউল আলম বুলবুল, বাচ্চু মেম্বার, মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ মামুন মেম্বার, নজুরুল ইসলাম , মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, মোহাম্মদ মফজল, ছিপাতলী ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক ডাক্তার আবুল খায়ের, সদস্য সচিব কামাল উদ্দিন কামাল,মির্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপি সদস্য সচিব এয়াকুব মেম্বার, মির্জাপুর বিএনপির নেতা উত্তম দে, মোহাম্মদ শাহেদ মেম্বার , উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জিএম কামরুদ্দিন নাহিদ, কাজী এরশাদ উদ্দিন, নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন যুবদল নেতা মোহাম্মদ জাফর, আব্দুর শুকুর ড্রাইভার, মোহাম্মদ সোলমান বাদশা ড্রাইভার, ওমর ফারুক, ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বাবুল বাবুর্চি, সাবেক ছাত্রনেতা মাষ্টার আজম, মোহাম্মদ হোসেন, ছাত্রদলের সহসভাপতি আলী মোহাম্মদ বশির আল হেলাল, ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ দিদার, মোহাম্মদ হেলাল সহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Read More »

চট্টগ্রামে জোড়া খুনের নেপথ্যে রহস্য!

  সাজ্জাদ বিন খালেদ, সুমন বিশেষ প্রতিনিধি চট্টগ্রামের অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে আলোচিত প্রকাশ্যে গুলি করে দুজনকে হত্যার পেছনে রয়েছে পূর্ববিরোধ। দু’জনই স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং একে অপরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রামের অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় মোহাম্মদ আনিস (৩৮) ও মাসুদ কায়সারকে (৩২)। এলাকাবাসী জানান, আনিস ও মাসুদ স্থানীয় রাজনীতিতে হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ইউনুস গণি চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ও সক্রিয় ছিলেন। তাঁরা চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিম কুয়াইশ এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ব্যবসা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ দ্বন্দ্বের জেরেই এক পক্ষের লোক তাঁদের দুজনের ওপর গুলি চালান। এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় পৃথক একটি মামলা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। নিহত মাসুদের ভাই বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। আনিস ও মাসুদকে যে স্থানে গুলি করা হয়, সেটি নগরের পাঁচলাইশ ওয়ার্ড ও হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা। এ এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-জামায়াত–সমর্থিত আলাদা আলাদা রাজনৈতিক পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। বালু ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট ছিল পক্ষগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে। এদিকে পেশায় পোলট্রি ব্যবসায়ী আনিস বালুর ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর শ্বশুর মোহাম্মদ শাহজাহান। তবে বালুর ব্যবসাকে ঘিরে এ ঘটনা হয়েছে কি না, তিনি জানেন না। তবে আনিসের সঙ্গে একটি পক্ষের কয়েক মাস আগে বিরোধ হয়েছে বলে জানান তিনি। হাটহাজারীর মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মুহাম্মদ মহিউদ্দিন সুমন বলেন, মাসুদ কায়সার হত্যার ঘটনায় করা মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও দুজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এর মধ্যে একজন নগরের পাঁচলাইশ থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী মুহাম্মদ সাজ্জাদ। আসামিদের মধ্যে দুজন নিহত ব্যক্তিদের একই রাজনৈতিক দলের প্রতিপক্ষের লোক। গতকাল দুপুরে নিহত আনিস ও মাসুদের বাড়িতে দেখা যায়, দুই বাড়িতেই শোকের মাতম। দুই ছেলে, স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে নিজ বাড়িতে থাকতেন আনিস। এদিন সেখানে কথা হয় আনিসের মা সায়রা বেগম ও স্ত্রী এনি আক্তারের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, আনিসের সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল না। ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তাঁকে মেরে ফেলেছে। আমরা এই সরকারের কাছে এ হত্যার বিচার চাই। গতকাল শুক্রবার দুপুরে মাসুদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে পুরো বাড়িতে। মাটিতে বসে কান্নায় বিলাপ করেছিলেন তাঁর খালা ইয়াসমিন আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার বোনের ছেলেকে এভাবে হত্যা করা হলো। আমি এর বিচার চাই। সে রাজনীতি করত, এটা কি অপরাধ। রাজনীতির জন্য তাঁকে মেরে ফেলতে হবে। স্হানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এ মৃত্যুর জন্য জামায়াত শিবিরকে দায়ী করেছেন। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপতারের দাবি জানান।

Read More »

ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লিটনের অসাধারণ সেঞ্চুরি

মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হওয়ার পর থেকে কিছুটা ধীরগতিতে খেলছিলেন লিটন দাস। ডানহাতি এই ব্যাটার নিজেও জানতেন তিনিই শেষ স্বীকৃত ব্যাটার। তাসকিন আহমেদ ভরসার পাত্র হলেও আজ ছিলেন ব্যর্থ। লিটন খুব একটা ঝুঁকি নেননি। রয়েসয়ে খেলেছেন, ক্র্যাম্পেও ভুগেছেন। কিন্তু সেখান থেকে উঠে ঠিকই গিয়েছেন ৯৯ পর্যন্ত। এরপর আবার খানিক স্থবিরতা। শেষ পর্যন্ত চার মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করলেন। ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ১৭১ বল খেলে পেলেন সেঞ্চুরির দেখা।

Read More »

প্রশাসন নিরব চুরি ও ছিনতাইয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন।

কদমতলী থানা এলাকার পাকার মাথায় কবরস্থানের কাছ থেকে রসুলপুর পর্যন্ত অত্র এলাকায় প্রায়ই চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা গতকাল সাংবাদিক শাহা আলী জীবনের কাছ থেকে ৫০০০ টাকা ,একটি স্বর্ণের আংটি ,মোবাইল ছিনতাই করেন নিয়ে যায়। পরে কদমতলী থানার পুলিশের সহায়তায় মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক মামলা করার কথা বললে পুলিশ আহত সাংবাদিক শাহ আলী জীবনকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে চিকিৎসা শেষে মামলা করার কথা বলেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায় অত্র এলাকার অটো রিক্সা চুরি ও ছিনতাইয়ের মূল হোতা হৃদয়ের নেতৃত্বে শামীম ১৮, রানা ১৮, শাহিন ২২, রাহাত ২২ অত্র এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী জনগণের কাছ থেকে প্রায় চুরি ছিনতাই , কর্মরত নারীদের ইভটিজিং এবং মাদক বিক্রয় করে এই চক্রটি। এলাকাবাসীর দাবি এই রাস্তাটি অত্যন্ত নীরব ও অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে দ্রুত কিছু লাইটের ব্যবস্থা করলে এবং পুলিশ টহল বৃদ্ধি করলে জনসাধারণ নিরাপদে চলাচল করতে পারবে।

Read More »

পচনশীল সবজির আড়ালে অভিনব কায়দায় ফেনসিডিল  পাচার গ্রেফতার ২

দেলোয়ার হোসেন  মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে আজ( ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ )তারিখ রোজ রবিবার র‌্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানী পোড়াবাড়ী ক্যাম্প, গাজীপুরের একটি আভিযানিক দল এবং র‌্যাব সদর দপ্তর, ইন্ট উইং এর সহায়তায় জানতে পারে যে, ঠাকুরগাঁও জেলা হইতে ০১টি নীল রংয়ের নাম্বার বিহীন পিকআপ যোগে ফেন্সিডিল এর একটি বড় চালান নিয়ে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন হইয়া গাজীপুর চৌরাস্তার দিকে আসিতেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন এলাকায় টঙ্গাইল টু ঢাকাগামী মহাসড়কের উপর চেকপোস্ট পরিচালনা করে অদ্য ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ রাত অনুমানিক ০১২৫ ঘটিকায় মাদক ব্যবসায়ী পিকআপ চালক আসামী ১) মোঃ রাসেল ব্যাপারী(৩৭), পিতা-মোঃ আব্দুল খালেক ব্যাপারী, থানা-উজিরপুর, জেলা-বরিশাল এবং   ২) মোঃ সোহরাব হোসেন(৩৫), পিতা-মোঃ হারিছ মিয়া, থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট হতে ৬৫১ বোতল ফেন্সিডিল, ০১ টি নীল রংয়ের নাম্বার বিহীন পিকআপ, ০২টি মোবাইল ফোন, নগদ ১৫০০/- টাকা এবং পিকআপে থাকা ১৯ বস্তায় ৭৬০ কেজি বেগুন (পচনশীল পণ্য) সহ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত দেশের বিভিন্ন জেলা হইতে চোরাই পথে অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল সংগ্রহ করিয়া ঢাকা ও গাজীপুরসহ আশে-পাশের বিভিন্ন জেলায় পাইকারী মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় করিয়া আসিতেছে বলিয়া স্বীকার করে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Read More »

খাগড়াছড়িতে শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ফারহানা আক্তার খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি   খাগড়াছড়িতে শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা ও শিক্ষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। (৩১ আগস্ট) শনিবার দুপুরে পৌর টাউন হল সম্মেলন কক্ষে “বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি” খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা ও শিক্ষক সমাবেশে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি” খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মাসুদ পারভেজ এর সভাপতিত্ত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি ও সাবেক সাংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এম.এন. আবছার, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি’র প্রধান উপদেষ্টা জাকিয়া জিন্নাত বিথী, যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট আবদুল মালেক মিন্টু, মোশাররফ হোসেন, অনিমেষ চাকমা রিংকু, খাগড়াছড়ি জেলা জিয়া পরিষদের সভাপতি মোঃ মোজাম্মেল হোসেন, জেলা যুব দলের সভাপতি মাহাবুব আলম সবুজ, “বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি” খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি মাসুদ পারভেজ সহ জেলার নয়টি উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক বৃন্দ। মতবিনিময় কালে শিক্ষকগণ গত পনেরো বছরে তারা বিভিন্ন ভাবে হেনস্তার স্বীকার হয়েছেন। এবং তার বিবরণ তুলে ধরেন। একেকজন শিক্ষক কে জেলার বিভিন্ন দূর্গম এলকায় বদলি করা হয়েছে বলে জানান তারা। আর জেলা পরিষদে শিক্ষক নিয়োগ বানিজ্য অর্থ আত্মসাৎ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার আওয়ামী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন তারা।   এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, এখন বৈষম্যের দিন শেষ। ছাত্ররাই দেখিয়ে দিয়েছে কোনো প্রকার বৈষম্যই বাংলায় ঠাই নাই। শিক্ষকরা হলো মানুষ গড়ার কারিগর। তাদের প্রতি এইরূপ অবিচার এটা কখনো কাম্য নয়। শিক্ষকগণ সম্মানের পাত্র। তাদেরকে সম্মান দিতে হবে। শিক্ষকরা সম্মান টুকুই আশা করে।

Read More »