প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২৫, ১০:৫৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাধিকা টু নবীনগর  সড়কে খড়ের স্তুপ, যান চলাচলে বিঘ্ন,কৃষিকাজের বিকল্প জায়গার অভাবে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

শফিকুল ইসলাম শরীফ, রিপোর্টার: 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থেকে রাধিকা পর্যন্ত সড়কে সম্প্রতি ধান মাড়াই ও খড় শুকানোর কাজে ব্যস্ত কৃষকদের উপস্থিতি যান চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের বিভিন্ন স্থানে খড় ও ধান ছড়িয়ে রাখা হয়েছে। এতে যানবাহনের স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট এবং বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা।

কৃষকদের দাবি, নির্ধারিত শুকানোর জায়গা বা খোলা মাঠের অভাবে তারা বাধ্য হয়ে সড়কে কাজ করছেন।নিজেদের জমিতে জায়গা নেই শুকানোর মতো। খোলা মাঠও নেই। সরকারিভাবে যদি ধান শুকানোর কোনো জায়গা থাকত, তাহলে আমরা কখনোই রাস্তায় আসতাম না।”

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শুধু যানবাহন নয়, পথচারীদের চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। সন্ধ্যার পর আলো স্বল্পতায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। অনেক সময় অ্যাম্বুলেন্স বা জরুরি যানবাহন আটকে পড়ছে খড়ের স্তূপের কারণে, যা জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগজনক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। প্রতিটি ইউনিয়নে মৌসুমি কৃষিকাজের জন্য নির্ধারিত খোলা জায়গা ও ধান শুকানোর প্ল্যাটফর্ম থাকা প্রয়োজন। তারা আরও বলেন, সরকার চাইলে অস্থায়ী ছাউনিযুক্ত প্ল্যাটফর্ম, প্লাস্টিক শিট, বা ট্রলির মাধ্যমে কৃষকদের সহায়তা করতে পারে, যাতে রাস্তার উপর নির্ভরশীলতা কমে।
 
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, রাস্তায় খড় শুকানো বা ধান মাড়াই করা যাবে না, এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। তবে কৃষকরা চাইলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাঠ বা খেলার মাঠে এই কাজগুলো করতে পারবেন। আমাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে—কীভাবে কৃষকদের সহায়তা করা যায় এবং তাদের যেন আর রাস্তায় আসতে না হয়, সে বিষয়েও আমরা চিন্তাভাবনা করছি। তবে বাস্তবতা হলো, প্রতিটি এলাকায় এত মাঠ বা ফাঁকা জায়গা নেই যে সবাই সেখানে কাজ করতে পারবেন।

সাধারণ মানুষ ও কৃষক উভয়েরই প্রত্যাশা, যথাযথ সমন্বয় ও উদ্যোগের মাধ্যমে একদিকে কৃষিকাজ নির্বিঘ্ন হবে, অন্যদিকে সড়ক যোগাযোগ ও জননিরাপত্তাও বজায় থাকবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়