
শফিকুল ইসলাম শরীফ রিপোর্টার
নবীনগরে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে চতুর্থ শ্রেনী পরুয়া মাহমুদা নামে এক শিশুকে ৩ সন্তানের জনক লম্পট খোকন মিয়া (৪৫) ধর্ষণের চেষ্টা করে এই মর্মে নবীনগর থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা করেন।
সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসী ও শিশুটির পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম ইউনিয়নের লাপাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী মাহমুদা, স্কুল চলাকালীন অবস্থায় গত ১৫ই অক্টোবর দুপুরে বিস্কুট আনতে যায়। চা দোকানের মালিক খোকন মিয়া তার হাত ধরে টেনে দোকানের ভিতরে নিয়ে যান এবং পলিথিন দিয়ে তার দুহাত বেঁধে ফেলে, মুখ চেপে ধরে শ্লীলনতাহানী ও ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে দোকানের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ থাকায়, দরজা খোলার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন নাসিমা বেগম ও কল্পনা বেগম তিনারা বলেন, চিৎকার চেঁচামেচি শুনে খোকন মিয়ার স্ত্রী এসে দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে, খোকন মিয়াকে দু গালে থাপ্পড় দিয়ে বলছিলেন এমন একটি শিশু কন্যার উপর তুমি এটা কিভাবে করতে পারলা, তার পর লম্পট দ্রুত পালিয়ে যায়।
কিছু সময় পর পিতা মাতা এলে ঘটনাটি পিতা মাতার কাছে জানায়। এ নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা শালিশ বৈঠকের আশ্বাস দিয়ে কাল ক্ষেপন করে। তিন দিন পর শালিশ বৈঠক সুরহা না হলে ১৯ অক্টোবর মাহমুদার মা সাহেরা আক্তার বাদী হয়ে, মৃত মদন মিয়ার ছেলে খোকন মিয়াকে আসামী করে, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে অভিযুক্ত খোকন মিয়া আত্মগোপনে আছেন।
শিশুটির বাবা মনির হোসেন বলেন আমি গরিব চাষবাস করি, খোকন সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজের আপন ছোট ভাই তার দাপটে বিভিন্ন অপকর্ম করছে, সে এর আগেও এরকম বহুৎ ঘটনা ঘটিয়েছিল। চেয়ারম্যান আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে এরকম দুই-তিনটা মামলা তার কিছু করতে পারবেনা। তবে এ সকল বিষয় অস্বীকার করে সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়া বলেন জায়গা সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে তাদের সাথে আমার ছোট ভাই অপরাধী হলে অবশ্যই তার আইনিভাবে বিচার হওয়া উচিত।
নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুব আলম মুঠোফোনে দৈনিক সরেজমিন পত্রিকাকে জানান শিশু নির্যাতন সম্পর্কে একটি মামলা হয়েছে। প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপ আছে কিনা জানতে চাইলে ওসি বলেন আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে। সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন যথাসময়ে আদালতে দাখিল করা হবে।