
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতীকী চিত্র তুলে ধরেন শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন
শাহ সাহিদ উদ্দিন, কুমিল্লা রিপোর্টার

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকীতে গ্রেনেড হামলার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে প্রতিকী চিত্রে। শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন ইউএস ইনক দেবীদ্বার শাখার আায়োজনে সোমবার সকালে সাড়ে ১০টার দিকে নিউ মার্কেট স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে ওই প্রদর্শনী হয়।
প্রতিকী চিত্রের প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীরা গ্রেনেড হামলায় আহত-নিহতদের রক্তাক্ত দেহ, আর্ত চিৎকার, অবিস্ফোরিত গ্রেনেড, ছড়িয়ে থাকা নারী-পুরুষের জুতা, ছোপ ছোপ তাজা রক্তের মাধ্যমে ভয়াবহ ২১ আগস্টের বিভৎষতাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
প্রতিকী প্রদর্শনী চিত্রে উপস্থিত ছিলেন শেখ রাসেল ফাউন্ডেশন ইউএসএ ইন্ক এর দেবীদ্বার উপজেলা চ্যাপ্টারের আহবায়ক রাশেদা আক্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন, মহিলা শ্রমিক লীগের উপজেলা সভাপতি শাহিনুর লিপি, সদস্য সচিব আব্দুর রহমান ভূইয়া, দেবীদ্বার উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, সাইফুল আলম, শামীমা আক্তার রিমা,পারভীন আক্তার,রুবিনা আক্তার,আরিফুল ইসলাম, মো সবুজ প্রমুখ।
মানবতার ফেরিওয়ালা সারাবাংলা দেশে সেবা দিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলার গুনাইঘর উত্তর ইউনিয়নের কৃতি সন্তান বাংলাদেশের গর্ব ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল পাকিস্তানিপন্থি বিএনপি-জামায়াতের বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে ন্যক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার একটি। এটি ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর ও নৃশংস হামলা, কারণ হত্যাকারীরা ছিল রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের নির্মূল করার জন্যই এটি চালানো হয়। সেদিন পাকিস্তানপন্থিদের গ্রেনেড হামলায় আহতদের মধ্যে অনেকেরই জীবন এখনো দুর্বিষহ। তখনকার বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাদের মানবঢালের ফলে আক্রমণ থেকে রক্ষা পেলেও, কানে আঘাত পান, যার প্রভাবে আজ পর্যন্ত তিনি ভুগছেন। আসলে শেখ হাসিনাকে হত্যা করে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মূল করাই ছিল আক্রমণের মূল লক্ষ্য। দেবীদ্বারে নাটিকার মাধ্যমে সেই ভয়াবহ দিনের চিত্র ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।