রিফায়েত ইসতিয়াক হৃদয়, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রংপুরের বদরগঞ্জের, ১২ নং কুতুবপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি,আতিয়ার রহমান দুলু ।
২০১৬ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর শপথ গ্রহণের পর নিজ অর্থায়নে একটি এম্বুলেন্স প্রদান করেন ইউনিয়নবাসীর জন্য, ইউনিয়নের কোন রোগী যেন চিকিৎসা অভাবে মৃত্যুবরণ না করেন এ কারণেই এম্বুলেন্সটি দেয়ার উদ্দেশ্য ছিলো।
পরবর্তীতে জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক এলজিএসপি ফান্ড হতে এম্বুলেন্সের বরাদ্দ হিসেবে তিনি মোটা অংকের একটি অর্থ নিয়েছিলেন অর্থাৎ এম্বুলেন্সটি তিনি নিজে দিয়েছেন সেটা বলার আর সুযোগ ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি প্রতিনিয়ত বলে যেতেন যে তার নিজ অর্থায়নে প্রদান করেছেন এম্বুলেন্সটি। খুব বেশিদিন এম্বুলেন্সটি সার্ভিস দেয়নি, বরাদ্দ পাওয়ার পরপরই এম্বুলেন্সটি আর পাওয়া যায়নি ওই ইউনিয়ন পরিষদে।
গেল বেশ কিছুদিন আগে হঠাৎ এক রোগীর এম্বুলেন্স প্রয়োজন, তাই দীর্ঘদিন পর উঠে এলো এই এম্বুলেন্সের কথা, ধীরে ধীরে বেরিয়ে এলো এম্বুলেন্স সম্পর্কিত তথ্য ও রহস্য। এম্বুলেন্স এবং বরাদ্দ দুটোই সাবেক চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান দুলুর পকেটে।
এছাড়াও এলাকাবাসী বলেন এভাবে অনেক সরকারি অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করেছেন আতিয়ার রহমান দুলু। গরিব মানুষের হক মেরে আজকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ তিনি, গ্রামে কয়েক কোটি টাকার বাড়ি শহরে দুই তিনটা বাড়ি এবং টাকার পাহাড় তৈরি করেছেন, এমনটাই জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানার জন্য আতিয়ার রহমান দুলুর নিকট যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, জানা যায় তিনি অসুস্থ এবং তার ছেলের নিকট ফোন কল দেয়া হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।