৩ দফা দাবিতে গণভবন অভিমুখে সোহেল তাজের পদযাত্রা
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবিতে গণভবন অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে থেকে গণভবনের উদ্দেশে হেঁটে যাত্রা শুরু করেন তিনি। তারপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি পাঠান।
পদযাত্রা শুরুর আগে সোহেল তাজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বের ইতিহাসে অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন হয়েছে, স্বাধীনতার আন্দোলন হয়েছে, যা কোনো সাফল্য লাভ করেনি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়েছে একটি আইনগত ভিত্তির মাধ্যমে। নির্বাচনে না গিয়ে তার ভিত্তি হিসেবে একটি সরকার গঠন করা হয়েছিল। সেটাই হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম সরকার। ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ গ্রেপ্তারের পর ২৬ মার্চ তার স্বাধীনতার ডাককে ভিত্তি করে এই প্রথম সরকার গঠন করে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সেই সময় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া না হলে ৯ মাসে মুক্তিযুদ্ধ সফল করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা সম্ভব হতো না।’
সোহেল তাজ আরও বলেন, ‘আমাদের একটি গৌরবের ইতিহাস আছে। আমাদের স্বাধীনতার ইতিহাস, ভাষার ইতিহাস ও সংগ্রামের ইতিহাস আমাদের জন্য গৌরবময়। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’
তিন দাবির পেছনের কারণ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এই যে আমাদের গৌরবের ইতিহাস আছে, তা পৃথিবীর খুব কম দেশেরই আছে। আমি মনে করি, একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সেই দেশের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। এই গৌরবের শক্তিকে ধারণ করে যাতে তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে যায়, সেটা আমরা চাই। আমাদের গৌরবের ইতিহাসে কোনো কালো শক্তিকে হানা দিতে দেব না।’
জেলহত্যা দিবসকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনসহ তিন দফা দাবির সমর্থনে মোহাম্মদপুর থেকে বিরাট মিছিল নিয়ে হাজির হন, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ভাগ্নে, রাজধানী মোহাম্মদপুর থানার ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি ও ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদ্য সমাপ্ত ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাঈদ তালুকদার।
তিন দফা দাবি হলো :
১. যেহেতু ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র (প্রজাতন্ত্র) হিসেবে জন্ম লাভ করে। তাই এই দিনকে ‘প্রজাতন্ত্র দিবস’ ঘোষণা করতে হবে I
২. ৩ নভেম্বর ‘জেল হত্যা দিবস’ কে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করতে হবে।
৩. জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সব বেসামরিক ও সামরিক সংগঠক, পরিচালক, অমর শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, অবদান ও জীবনীসহ মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যথাযথ মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সর্বস্তরের পাঠ্যপুস্তকে ও সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।