মামুন মিঞা, ফরিদপুর ব্যুরো:
ফরিদপুরের নগরকান্দার পুরাপাড়া ইউনিয়নের দফা গ্রামের মৃত হোসেন ফকির এর ছেলে সাহেদ আলী ফকির। গ্রাম- পাড়া-মহল্লা পরিবর্তন করে শামাবুদ্দীন নামে মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকায় নাম লেখায়,যার রাজাকার তালিকায় ক্রমিক নম্বর -৩৪। উপজেলা যাচাই-বাছাইয়ে রাজাকার তালিকায় নাম থাকায় তার মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে বন্ধ দেয় ।
পূনরায় ২০২৩ সালে ফরিদপুর সার্কিট হাউস এ তদন্ত করেন মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান খানঁ।সে সময় সাজানো স্বাক্ষী দিয়ে কয়েক মাস পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর অফিস কার্যালয় থেকে পান ডিজিটাল স্মার্ট আইডি কার্ড।
পুর্বেই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয় রাজাকার সাহেদ আলী মুক্তিযোদ্ধা শামাবুদ্দীন এর গল্প কাহিনি।
যাচাই বাছাইর দিন তথ্য সংকল্পিত তদন্তকারী সংস্থার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন স্হানী একজন সাংবাদিক। তবুও মুক্তিযোদ্ধার নামের তালিকা থেকে বাদ পড়েনি রাজাকার সাহেদ আলী ওরফে মুক্তিযোদ্ধা শামাবুদ্দীন।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগী বাহিনী রাজাকার, আল-বদর ও আল- শামস বাহিনী কর্তৃক গণহত্যা, ধর্ষন,লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগ, মানবতা বিরোধী অপরাধ সহ অন্যান্য অপরাধের তদন্ত করেন ২৫ নভেম্বর ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জ্যৈষ্ঠ তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিঃ আইজিপি(অবঃ) মোঃ আবদুর রহিম,বিপিএম।
স্মারক নং- আঃ অপঃ ট্রাইঃ/তদন্ত সংস্থা -১৮৪/৪০০৭।
এ সময় তার সাথে ছিলেন মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ফরিদপুর।জেলা প্রশাসকের কার্যালয়,ফরিদপুর (জে,এম,শাখা)যাহার স্মারক নং জে,এস/১০-৮/১০-১২৭৪(১৬)তারিখ ৯/১২/১০খ্রিঃ।
তৎকালীন নগরকান্দা থানা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলতাফ হোসেন, ডেপুটি কমান্ডার মোঃ ফজলুল হক স্বাক্ষরিত রাজাকার তালিকা করা হয়েছে।
রাজাকার তালিকায় ৩৪ নাম্বারে সাহেদ আলী ফকির এর নাম রয়েছে। স্হানীয় অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী জানান সাহেদ আলী ফকির ছিলেন একজন রাজাকার তার শশুর ও ছিলেন রাজাকার।
যুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীরা তার শ্বশুরকে গুলি করে হত্যা করে।রাজাকার তালিকায় নাম থাকা সত্যে ও নিজের নাম পরিবর্তন করে কিভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়, জাতি আজ লজ্জিত।
অভিযোগকারী সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, রাজাকার তালিকায় সাহেদ আলী ফকির এর নাম ও স্হানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী যুদ্ধ প্রতাক্ষদর্শীদের নিকট থেকে তথ্য নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করে এবং ফরিদপুর সার্কিট হাউস যাচাই বাছাই কালীল সময় তদন্ত সংস্থার নিকট লিখিত অভিযোগ করেন
।সে সময় তার সাজানো স্বাক্ষী পুর্বের তদন্তকারী সংস্থার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ আলতাফ হোসেন ও ডেপুটি কমান্ডার মোঃ ফজলুল হক তার স্বপক্ষে স্বাক্ষী দেন।
রাজাকার তালিকায় নাম থাকা সত্যে ও সাহেদ আলী ফকির ওরফে শামাবুদ্দীন কিভাবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখিয়েছে জবাবে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ ফজলুল হক বলেন অর্থের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন।
স্বাক্ষী দেওয়া বিষয় তিনি এড়িয়ে যান। মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখিয়ে তার দুই ছেলেকে মুক্তিযোদ্ধার কোঠায় পুলিশের চাকরি দিয়েছে।
রাজাকার তালিকায় সাহেদ আলী ফকির এর নাম থাকা সত্বেও নিজের নাম পরিবর্তন করে শামাবুদ্দীন ফকির নামে মুক্তিযোদ্ধা হলেন কি ভাবে জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যায়।