
চট্টগ্রাম ব্যুরো- বাইশ বছর পর পরিবার খুঁজে পেলেন সৌদি ফেরত মিজানুর রহমান। এ সময় ব্রাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহ যোগীপরিচালক শরিফুল হাসান ও এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার জান্নাতুল ফেরদৌস উপস্থিতছিলেন।
রোববার (২০ আগস্ট) রাতে ঢাকার আশকোনায় ব্র্যাকের মাইগ্রেশন সেন্টার থেকে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার জান্নাতুল ফেরদৌস সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার ১৮ আগস্ট দুপুর সাড়ে ১২টায়বাংলাদেশ বিমানের BG-136 বিমান যোগে ঢাকায় পৌঁছান মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি এলোমেলোভাবে ঘুরছিলেন। তিনিস্বজনদের ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। কোথায় যাবেন বলতে পারছিলেন না। এ ধরনের ঘটনায় পরিবারের সন্ধান পেতে তারা ব্রাকেরসহায়তা নেন।
মিজানুর রহমানকে তাঁর পরিবারের খোঁজ করার জন্য বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ শনিবার ভোরে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কাছেহস্তান্তর করেন। আজকে পরিবারের কাছে তাকে ফিরিয়ে দিতে পারায় ব্র্যাককে ধন্যবাদ জানান তিনি। মিজানুর রহমানের ভাই রেজাউলকরিম ও আরেক আত্মীয় আমির হামজা তাকে নিয়ে রাতেই কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।পাসপোর্টে ঠিকানা চট্টগ্রামের হলেওতিনি কক্সবাজার জেলার চকরিয়া বদরখালীর আব্দুল জব্বারের ছেলে।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান জানান, শনিবার তাকে আশকোনায় ব্র্যাকে আনা হয়। মিজানুর শারীরিক ও মানসিকভাবেপুরোপুরি সুস্থ নন। তাঁর বাম পায়ে গভীর ক্ষত। মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। পাসপোর্টে জরুরী যে নম্বর দেওয়া আছে সেই নম্বরেফোন করে আমরা জেনেছি সেটি তার পারিবারিক নম্বর নয়। বরং যে দালাল পাসপোর্ট করে দিয়েছিল তাঁর নম্বর। চট্টগ্রামের পুলিশকেছবি ও পাসপোর্টের বিস্তারিত জানাই। পরে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবি ও পাসপোর্ট দিয়ে তাঁর পরিবারের খোঁজ করি। আমাদেরসঙ্গে যোগাযোগ করতে বলি।
এক পর্যায়ে দুবাই থেকে ওসমান গনি নামে একজন ফোন দিয়ে জানান মিজানুর তাদের ভাই।
পরিবারের সদস্যরা জানান, মিজানুর রহমান ২০০১ সালে সৌদি আরব যাওয়ার পর থেকে আর কখনোই দেশে আসেনি। তিনি সেখানেগাড়ি চালাতেন। তিনি যে দেশে এসেছেন পরিবারের কেউ জানতো না।
মিজানুর রহমানের আত্মীয় আমির হামজা জানান, দীর্ঘ দুই দশক ধরে মিজানুরের সাথে পরিবারের যোগাযোগ নেই। কখনো দেশেআসেননি। সৌদি আরবে গাড়ি চালাতেন। তাদের বাড়ি চকরিয়ার বদরখালী। ছেলের শোকে মিজানুরের বাবা মারা গেছেন। মা বেঁচেআছেন। তারা ছয় ভাই। মিজানুরকে দেখার জন্য মা অস্থির হয়ে আছেন।