
তাহের তারেক:
চুয়াডাঙ্গা হাসনাহাটিতে বসতবাড়ি ও নয় মাইলে পশুরহাট সংলগ্ন দোকানঘর দখলের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া যায়।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদরের ইউনিয়নের হাসনহাটি গ্রামের মৃত সলিমুদ্দিনের ছেলেদের মধ্যে আব্দুল করিম,আব্দুর রহমান, আব্দুল মোমিন,আব্দুল খলিল ও আব্দুল জলিলসহ এদের সহিত প্রতিপক্ষ একই গ্রামের ফাতেমা বেগমের স্বামী রবজেল মন্ডলের ছেলে রাব্বানী মন্ডল ও জীবনা গ্রামের মৃত ফজলুল হক বিশ্বাসের ছেলে মহিউদ্দিন বকুলের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে জোর দখল নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এই বিষয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি ও লোকবল নিয়ে কয়েক দফা হামলা করার অভিযোগ ওঠে আব্দুল করিম সহদর ভাই আব্দুর রহমানসহ পাঁচ ভাই এর উপর। গত ৭ ই জানুয়ারী ও ১১ ই জানুয়ারী তারিখে পৃথক পৃথকভাবে রাব্বানী মন্ডলদের পক্ষের লোকবল লাঠিসোটা নিয়ে হামলার ঘটানায় চুয়াডাঙ্গা ক্যাম্প কমান্ডার বরাবর অভিযোগ করেন আব্দুল করিম।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৬ সালে মৃত সলিমুদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিম চুয়াডাঙ্গা জজ কোর্টে দেওয়ানী আদালতে মামলা করেন বলে জানান।
পক্ষান্তরে ২০১০ সালে মহিউদ্দিন বকুল তার পক্ষে ফাতেমা বেগমের স্বামী রাব্বানী মন্ডল এর যৌথভাবে দায়ের করা মামলা আদালতে চলমান থাকা সত্ত্বেও সেটেলমেন্ট অফিসের সিও টিটন খিসার সহযোগিতায় রাব্বানী মন্ডল এবং মহিউদ্দিন বকুল আলাদাভাবে দলিল করতে সমর্থ্য হয় বলে অভিযোগ করেন আব্দুল করিমসহ সহদররা।
এতেই বাদে দুই পক্ষের বিরোধ, মৃত সলিমুদ্দিনের ছেলে আব্দুল করিমসহ অন্যান্য ভাইদের দাবি জমি সংক্রান্ত মামলাটি হাইকোর্টে অর্ডার থাকা সত্ত্বেও এবং কোর্ট কর্তৃক ১৪৫ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও গত ৭ ই জানুয়ারি ও ১১ ই জানুয়ারি ৬০/৭০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী দারা হাসনাটিতে বসতবাড়ি ও একই ভাবে ৯ মাইলের পশুর হাটে দোকান ঘর দখল তান্ডব চালাই বলে জানা যায় । এ বিষয়ে পৃথক পৃথক তারিখে চুয়াডাঙ্গা ক্যাম ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বলে তথ্যে পাওয়া যায়। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল করিম ও আব্দুর রহমান বলেন যে জমি সংক্রান্ত কোনো দালনিক প্রমাণ স্বরূপ কোন কাগজ পত্র না থাকাই আদালত প্রথম তারিখেই ফাতেমা বেগমের দলিল সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত ২ তরফা সূত্রে তার দলিল বাতিলের আদেশ দেয় বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য গত ২৫/৩/১৪ ইং তারিখে ফাতেমা বেগম ও মহিউদ্দিন বকুলের পক্ষে একতরফা কোর্টে রায় হয়।
অপরদিকে ২৫/৮/১৪ ইং উক্ত আদেশের বিপক্ষে ফাতেমার বেগমের দলিল বাতলের রায় পুনরায় কার্যকর হয় বলে জানান আব্দুল করিম।
এদিকে আদালতের ওই নির্দেশ অমান্য করে মহিউদ্দিন বকুল ও রাব্বানী মন্ডল জোরপূর্বক বসতবাড়ি ও দোকানঘর দখল করে সাইনবোর্ড সহ খুঁটি পুতে জায়গা দখলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান ভুক্তভোগী আব্দুল করিম। উক্ত ঘটনার সময় করিমের ছেলে প্রতিপক্ষ মহিউদ্দিন বকুল রাব্বানী মন্ডলের লোকজন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
এ বিষয়ে আব্দুর রহমানের অভিমত জমিসংক্রান্ত বৈধ্য কাগজপত্র না থাকলেও মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগে জোর দখল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানান। এছাড়া জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান এবং বসতবাড়ির ঐ জমিতে ১৪৪ ধারা বহাল আছে। তারপরও প্রতিপক্ষ কোন আইনকেই অমান্য করে জোর দখলের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান।
এই বিষয়ে আইনের সহযোহিতা ছাড়া কোন উপায় নাই বলে আব্দুল করিম অভিমত জানান