খাদেমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ব্যুরো- চট্টগ্রামে প্রবল বর্ষণ আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে নগরীর হালিশহর বি ব্লক, আই ব্লক, জে ব্লক, কে ব্লকএবং ছদু চৌধুরি রোডের আশপাশে কোথাও হাটু পানি কোথাও কোমর পানি জমে যায়।
রোববার (২৭ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে টানা বৃষ্টিতে হালিশহরের বিভিন্ন বাসায় ও কলোনিতে পানি ঢুকে যায়।
হালিশহর বি ব্লকের বাসিন্দা মোরশেদুল ইসলাম রানা বলেন, বি ব্লকে অনেক গুলো বাসার নিচ তলায় পানি ঢুকেছে। এতে করেআমাদের অনেক আসবাবপত্র ও জরুরি কাগজপত্র নষ্ট হয়েছে। হালিশহর বি ব্লকের বাসিন্দা হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী নুরুল আবছার গত ৩মাস ধরে ব্যবসা নিয়ে সমস্যায় আছেন। বৃষ্টি হলেই উনার দোকানের সামনে হাটু পানি হয়। এতে করে প্রায় উনার দোকানে পানি প্রবেশকরে লোহার তৈরী মালামাল নষ্ট হয়। হালিশহর নয়া বাজার এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী জাহিদুল ইসলাম রাসেদ বলেন, সকাল বেলাদোকান খুলে দেখেন দোকানের ভিতরে ১ ফিট পানি, মুঠোফোনে তিনি জানান, দোকানে নিচের তাক গুলোতে থাকা বিভিন্ন জামা কাপড়ভিজে গেছে। বৃষ্টির পানি ঠিকভাবে নিষ্কাশন না হওয়ায় দোকানে পানি উঠে। এতে করে ব্যবসায়ীদের বিশাল লস হচ্ছে বলে জানানতিনি।
গত ১৪ আগষ্ট সর্বশেষ প্রেস বিফ্রিংয়ে এ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম বলেছিলেন, নগরীতে পানিনিষ্কাশন না হওয়ার জন্য শুধু চসিক কে দায়ী করে সবাই। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানি নিষ্কাশনের জন্য চসিক, সিডিএ ও চট্টগ্রামওয়াসা সকলে দায়ী।
এ সময় মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনটি সংস্থা চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এবার রেকর্ড বৃষ্টি হওয়ায় এবং এপ্রকল্পগুলো শেষ না হওয়ায় প্রবল জলাবদ্ধতায় নগরবাসী কষ্ট পেয়েছেন। আমাদের সবাইকে দ্বন্দ্ব-বিভেদ ভুলে চট্টগ্রামের স্বার্থে একযোগেকাজ করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, চলমান বৃষ্টিতে আজ সকালে পাঁচলাইশের ষোলশহরে পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাবা ও তাঁর সাত মাসের শিশু প্রাণহারিয়েছেন।