মো:নুর ইসলাম সবুজ
লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ জাওরানী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার ৩৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা ইউএনও বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে হাতীবান্ধা ইউএনও আতিকুল ইসলামের দপ্তরে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে হাতীবান্ধা আলহাজ্ব সমসের উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক নূর মুহাম্মাদ বাবলু সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে হাতীবান্ধা উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এর ফলে বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পরিবেশ ও দাপ্তরিক বিভিন্ন কাজে বিঘ্ন ঘটছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু প্রধান শিক্ষককে হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে এবং দক্ষিণ জাওরনী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সন্ত্রাসী কায়দায় বিধি-বহির্ভূতভাবে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করার দাবি ওই প্রধান শিক্ষকের।
এ বিষয়ে দক্ষিণ জাওরানী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, আন্দোলনকারী সাবেক শিক্ষার্থী সাকিবের বাবা দুলাল হোসেনের স্কুলের জমিতে একটি সারের দোকানে রয়েছে। এই দোকানের ভাড়া নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে সাকিব। ঘটনার দিনে ২ হতে ৩শ’ জন বহিরাগত লোক এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে নিয়েছে। আমি এদের বিচার দাবি করছি।
আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সাবেক শিক্ষার্থী সাকিব বলেন, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি করে আসছে। দুর্নীতি করে সম্পদের অঢেল পাহাড় গড়ে তুলেছেন। যে কারণে আমরা সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা পদত্যাগপত্র কার্যকর দাবি করছি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ জাওরনী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করে ২ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও একাডেমিক সুপারভাইজারকে নিয়ে এ তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।