মোজাহের ইসলাম নাঈম
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নদীভাঙ্গন রোধ,নিরাপদ নৌ যোগাযোগ ও স্বাস্থ্য সেবার উন্নতিসহ মৌলিক অধিকার আদায়ের দাবীতে মানববন্ধন করেন হাতিয়ার সম্মিলিত সামাজিক সংগঠন।
আজ (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে,উপজেলা পরিষদ চত্বরে হাতিয়ার ৩০ টি সামাজিক সংগঠন একত্রিত হয়ে,ঢাকা হাতিয়া নৌ-রুটে শীপের রোটেশন পদ্ধতি বাতিল,কেবিন এর সেন্টিকেট বন্ধ করা,শিক্ষা ক্ষেত্রে প্রাইভেট সিন্টিকেট বন্ধ,শিক্ষা খাতের অনিয়ম দূর করা,দুর্নিতিমুক্ত অফিস এর নিশ্চয়ইতা নিশ্চিত করা,শতভাগ বিদ্যুৎ বাস্তবায়ন, মিটার ব্যবস্থা দূর্নীতি বন্ধ করা,হাতিয়ার খালগুলো পরিষ্কার করে পানি যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ করে কৃষকদের চাষের উপযোগী করে দেয়া।এছাড়া পাশাপাশি নদীভাঙ্গন রোধ,ব্লকবাঁধ করা,রাস্তাঘাট মেরামত করাসহ সকল ধরণের দাবি তুলে ধরেন,এদিকে তারা আরও বলেন,আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অর্ধশত বছরেও কোন উন্নয়নকাজের ছোঁয়া পাইনি।
এসময় মানববন্ধন উপস্থিত ছিলেন,
যোবায়ের হোসেন- হাতিয়া মানব কল্যাণ ফোরাম,মোহাম্মদ আলী- “জাগ্রত দ্বীপ হাতিয়া,আয়াত হোসেন জুয়েল – সংগঠক,
শাকিল আল মামুন-“হাতিয়া ছাত্র-যুব পরিষদ,চট্টগ্রাম
,অলি উল্লাহ জনি – দ্বীপাঞ্চল হাতিয়া,ইসমাইল হোসেন তাফসীর – “উদয়ন,আজাদ – “বাংলাদেশ কুটির হাতিয়া,জুয়েল – মানবিক হাতিয়া,জোনায়েদ “আলোক বর্তিকা,মোঃআব্দুর রব “হাতিয়া একতা ফাউন্ডেশন,নাহিদুল ইসলাম ফয়সাল- আলোর প্রদ্বীপ হাতিয়া।
এ ছাড়াও আরো ১২-১৫ টি সংগঠনের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে এসে হাতিয়ার প্রায় ৩০টি সামাজিক সংগঠনের বক্তাগণ তাদের বক্তব্যের মাঝে তুলে ধরেন,নোয়াখালী জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় প্রায় ৯ লক্ষ লোকের বসবাস। এ দ্বীপের মানুষের আয়ের প্রধান উৎস কৃষি।কিন্ত প্রতিবছর নদীভাঙ্গনে এ দ্বীপের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শতশত হেক্টর আবাদী জমি।হারিয়ে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ ও ভূমিহীনদের বসতভিটা।নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি বেসরকারি কোটি কোটি টাকার স্থাপনা।
হাতিয়ার তীর সংরক্ষণে ব্লকবাঁধ নির্মাণের বিষয়ে এতদাঞ্চলের সচেতন নাগরিকগণ বিভিন্ন সময়ে সামাজিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে মানববন্ধন, স্মারকলিপি পেশ করে বছরের পর বছর সরকারের সুদৃষ্টি অর্জনের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তাই এখন জনগণের সরকারের নিকট হাতিয়ার ভাঙ্গনমুখর তীর সমূহ তথা নলচিরা ঘাট তমরদ্দি, চরকিং, সুখচর,নলচিরা, চরঈশ্বর, সোনাদিয়া, জাহাজমারা,হরণী চানন্দী তীর সমূহ ব্লকবাঁধ দিয়ে সংরক্ষণ করা হাতিয়াবাসীর প্রাণের দাবী।তা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে দ্রুত দাবী জানান।এই দাবী পূরণ হলে বেঁচে যাবে হাজার হাজার কোটি টাকার স্থাপনা,ও ফসলী জমি বসতবাড়ি। এছাড়া ফসল উৎপাদনে পূরণ হবে দেশের খাদ্য চাহিদা।
এদিকে হাতিয়ায় রোগী পারাপারের জন্য বরাদ্দকৃত নৌ এম্বুলেন্স এই জনপদের অসহায়সহ সকল মানুষের জন্য সহজীকরণ কখনো ছিলো না।এতে হাতিয়ার মানুষদের একটাই দাবী,হাতিয়া -নোয়াখালী নৌ-রুটে কমপক্ষে ২টি সী-ট্রাক,১টি ফেরী এবং হাতিয়া-ঢাকা নৌ-রুটে ৪টি জাহাজ,দুটি ঘাটে পর্যাপ্ত পল্টুন ও যাত্রীছাউনি ও হাতিয়া টু চট্টগ্রাম নৌ-রুটে প্রতিদিন জাহাজ চালু রাখা ব্যবস্থা করা।জরুরি রোগী পারাপারের জন্য ৩টি নৌ- এম্বুলেন্স পাওয়ার জন্য দাবি জানান।এছাড়া জনস্বার্থে নির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারণ করে দিতে হবে, স্পিড বোট ৩০০/-,ট্রলার ১৫০/-,সী-ট্রাক টাকা করার জন্য দাবি করেন।এছাড়া চরচেঙ্গা থেকে তমরদ্দি ঘাট হয়ে চেয়ারম্যান ঘাট পর্যন্ত একটা সী-ট্রাক এই নৌ পথে পুনরায় চালু করার দাবি জানান।
এদিকে হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও কর্মচারী না থাকা,প্যাথলজিক্যাল যন্ত্রপাতির ব্যবহার অযোগ্যতা এবং এম্বুলেন্স সহ অন্যান্য সুযোগ,সুবিধা পর্যাপ্ত না থাকায় হাসপাতালে রোগীর আর্তনাদ ও মানবিক সংকট নির্যাতনের চিত্র পাওয়া যায়।এ অবস্থায় হাতিয়াবাসীর আশু মুক্তি জন্য ১৫০ শয্যা উন্নতিকর হাসপাতাল। পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার,নার্স ও নরমাল ডেলিভারির জন্য গাইনী ডাক্তার ও আলাদা ওয়ার্ড,অন্তত ৩ টি নৌ এম্বুলেন্স সহ দালাল মুক্ত সিন্টিকেট মুক্ত হাসপাতাল দাবীতে এই মানববন্ধন করেন।