
মোজাহের ইসলাম নাঈম
নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার ১০ নং জাহাজমারা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কাদিরার সুঁইজ পূর্ব বিরবিরি গ্রামে বেলাল মেস্তুরীর হত্যার অভিযোগকে কেন্দ্র করে হত্যা মামলার মিথ্যা আসামী বানিয়ে তাদের বাড়ির ৩টি বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও দোকান ঘরে লুটপাট এবং প্রাণে হত্যাচেষ্টাসহ বাড়িঘর ছাড়া করার অভিযোগ ওঠেছে,আবুল খায়ের,রবিউল হোসেন, রাসেল উদ্দিন,রাজু,আব্দুল মালেক,সুমনসহ সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসীগ্রুপের বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার ( ৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কেবা কারা প্রকাশ্যে কাদিরার সুঁইজ বাজারে বেলাল মেস্তুরীকে পিছন থেকে লোহার রড় দিয়ে আঘাত করলে ঘটনার স্থানে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়।পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন।ঠিক সে সময় এলাকায় বেলাল মেস্তুরীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার সাথে সাথে বেলাল মেস্তুরীর ভাইগণ ও আত্মীয় স্বজন ভুক্তভোগীদের বাড়ীঘর ভাংচুরসহ,দোকানঘরে থাকা মালামাল লুটপাটসহ প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেন। এসব কথা তুলে ধরেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী মোঃ বাকের হোসেন।
ভুক্তভোগী আয়রিন বেগম তার সাথে সালমা বেগম এবং লিমা বেগমকে নিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত হাতিয়ায় উপস্থিত হয়ে গত ০৮/০৯/২৪ ইং তারিখে আবুল খায়েরকে ১ নং আসামী করে এবং মোট ১৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।যাহা মামলা নাম্বার সি,আর ৫৩৯ /২৪ ইং এছাড়া এই মামলায় ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা করে আসামী করেন।
এসময় ভুক্তভোগীর স্বামী বাকের হোসেন বলেন,জীবিকা নির্বাহের সুবাদে আমি এবং আমার বড় ভাইয়ের ছেলেরাসহ বেশিরভাগ সময় কাদিরার সুঁইজে ওয়ার্কশপে কাজ করে থাকি। যার কারণে বেশিরভাগ সময় আমাদের স্ত্রীগণ বাড়িতে একাই থাকেন।এই সুযোগে আমার প্রতিবেশী আবুল খায়ের,রবিউল হোসেন,রাসেল উদ্দিন,রাজু,আব্দুল মালেক,সুমনসহ আমার স্ত্রীকে বাড়ীতে এসে মারপিট করে। এসব বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করায় গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় বেলাল মেস্তুরীর হত্যা মামলায় আমাকে আসামী করা হয়।তিনি আরও বলেন,
আবুল খায়ের,রবিউল,রাসেল, রাজু,সুমন,আব্দুল মালেক এর নেতৃত্বে একদল সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দেশী অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে ৩টি বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এবং আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় সন্ত্রাসীরা আমার বসত ঘরের ভিতরে ঢুকে ঘরে থাকা নগদ ২ লাখ টাকা,স্বর্ণলঙ্কার,সিলিং ফ্যান, ফ্রিজ ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায় এবং আমাদেরকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় সন্ত্রাসীরা আমার বাড়ির সামনের একটি মুদি দোকানেও হামলা,ভাঙচুর ও ওয়ার্কশপে মালামাল,মেশিনসহ লুটপাট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ আয়রিন বেগম বলেন,তারা নিজেরা আমার বাড়িঘর ও দোকানে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট করে উল্টো আমার স্বামীসহ আত্মীয় স্বজনদের পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে জেল খাটার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা কেউ বাড়িঘরে থাকতে পারচ্ছি না। সন্ত্রাসীরা আমাদের প্রাণে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় খুঁজছে।
যে সকল আসামী আমাদের হামলা ও লুটপাটকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক বিচার দাবি করেছি।