মোজাহের ইসলাম নাইম, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় এক অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমিজমা,বসতবাড়ি জোরপূর্বক জবর দখল,লুটপাট,পরিবারের সদস্যদের মারধর,হুমকি জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি করেছে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।

শুক্রবার বিগত (২৯ নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে হাতিয়া উপজেলা ৮নং সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে চর ফকিরা গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মন্নানের বাড়ীতে এঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মন্নানের ছোট মেয়ে সুলতানা আক্তার বলেন,তারা দীর্ঘ এক বছর যাবৎ আমাদের বাড়ির জায়গাটি নিয়ে প্রায় সময় ঝগড়া করতো।কেন ঝগড়া করতো সেটা আমরা জানিনা। পরে একদিন জানতে পারলাম তারা চাই আমাদের সাথে গায়ে পড়ে ঝগড়া করবে, আমাদের টাকা পয়সা নষ্ট করবে। মামলা হামলা করবে। এপর্যায় আমরা বিরক্ত হয়ে বাড়ী ছেড়ে চলে যাবো।তারা এই বাড়ী জবর দখল করে নিয়ে যাবে।কারো কাছে বিক্রি করতে দিবেনা।এভাবে তারা প্রায় সময় আমার বাবাসহ পরিবারের লোকজনকে দেখলে উস্কানি মূলক কথা বলতো,যাতে আমরা যেন তাদের মতো ভাষা ব্যবহার করি।

গত সাপ্তাহ আমি বাবার বাড়ীতে বেড়াতে আসি।শুক্রবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার সময় হঠাৎ করে দেখি আসামীগণ আমাদের বসতঘরের দরজা খোলার চেষ্টাকালে আমার মা দেখে ডাক দিয়ে দরজা খোলার সাথে সাথে আসামীগণ আমার মায়ের মুখ ছাপিয়া ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। আমি ভয়ে চিৎকার দিলে আকবর,ফারুক, কালামের সাথে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সবাইকে বেদম মারধর করে এবং হাতে,পায়ে,বুকে,পিটে,আঘাত করে।এমনকি হাতও বেঙ্গে পেলে।পরে হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের বসত ঘরের দরজা,জানালা,আলমারি ভাংচুর করে।ঘরের ভিতর ডুকে ব্যাপক লুটপাট চালায়।পরিবারের সদস্যরা বাঁধা দিলে তাদের এলোপাথাড়ি পিটিয়ে আহত করে।ঘরের আলমারিতে থাকা নগদ টাকা,স্বর্ণালংকার,মালামাল চুরি ও লুট করে নিয়ে যায় প্রায় ৫,৮৮,০০০/- টাকা,এবং নষ্ট করে ৭০,০০০/- টাকাসহ সর্বমোট ৬,৫৮,০০০/- টাকার ক্ষতি করেন।
ঘর থেকে বের হওয়ার সময় আকবর হোসেন,আবুল কালাম,ফারুক বলে,কোন কথা বলবি না।একেবারে চুপ করে ঘরে বসে থাকবি,কোন আওয়াজ করলে ঘরের ভিতর লাশ ফেলে যাবো এ বলে চলে যায়।পরে আমরা নিরুপায় হয়ে ত্রিফল ৯৯৯ এ কল দিলে,ঘটনার স্থলে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করেন এবং আমাদের পরিবারের যারা ঘুরতর আহত এবং যারা দেশীয় অস্ত্র ধারা আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে,তাদেরকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।পরে আমরা হাসপাতালে রোগীদের ভর্তি করায়।আহতদের মধ্যে আমি আর আমার বাবাসহ হাসপাতালে আমরা ২ জন ভর্তি হয়।পরে আমি বাদী হয়ে ০২/১২/২৪ ইং তারিখে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করি। যাহা মামলা নাম্বার ৭৬৬। আমাদের একটাই দাবী আসামীদের অতিদ্রুত গ্রেফতার করে কোর্টে চালান করা হোক।আজ একজন মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী পরিবারের উপর হামলা করে তারা সাহস পেয়েছে কাল আবার আরেকটা শিক্ষিত পরিবারের উপর হামলা করবে।এটা আমরা চাই না।আমরা তাদের শাস্তি চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার অভিযুক্ত আকবর হোসেনের মুঠোফোনে একাদিক বার কল করা হলেও তার নাম্বার বন্ধ থাকায় কথা বলা হয়নি।

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন,এবিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মন্নানের ছোট মেয়ে সুলতানা আক্তার বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।আমরা আসামীদের ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

০৬/১২/২৪ ইং