সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা বাজারের ব্যবসায়ী ও সাওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শামসুল হুদার বিরুদ্ধে হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের ১৫টি সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কর্তন করা গাছগুলো ১০ মে বুধবার রাতের আধারে অন্যত্র সরিয়েও ফেলা হয়েছে। প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের সরকারি ওই গাছগুলো উদ্ধার করে তার বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়েএক প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে, সলঙ্গা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও চড়িয়া উজির (সাওপাড়া) গ্রামের ভোলা মাস্টারের ছেলে শামছুল হুদা হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের রামারচর নামক স্থানে নেছারিয়া হোটেলের পূর্ব ও মহাসড়কের উত্তর পাশে হোটেল স্থাপনের জন্য নিজের জায়গার সাথে সংযুক্ত সরকারি খাস জায়গা দখল করে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অনুমতি ছাড়াই মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেছেন। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিনি গত ৯ মে মঙ্গলবার রাতে মহাসড়কের ১৫টি সরকারি গাছ কেটে গোলাই করে পাশের জমিতে ফেলে রাখেন। একপর্যায়ে এ নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে তিনি রাতের আধারে সেখান থেকে গাছগুলো সরিয়ে ফেলেছেন। এভাবে সরকারি গাছ কেটে সরকারের প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছেন বলে দাবী স্থানীয়দের। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গাছের গোড়াগুলো অদৃশ্য করতে মাটি ফেলে গাছের গোড়াগুলো ঢেকে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে প্রভাবশালী কোন ব্যক্তির ছত্রছায়ায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন শামছুল হুদা। স্থানীয়রা মনে করেন, এখনই উপযুক্ত পদক্ষেপ না নিলে রাস্তার ধারে জমি এমন অনেকেই একই কাজ করতে পারেন।