মোঃ রিপন হাওলাদার
বহুল আলোচিত হবিগঞ্জ সদরের বামকান্দি এলাকায় হাজী রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামিক গ্রেফতার করেছে র্যাব-৩ ও র্যাব-৯ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়,০৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ হবিগঞ্জ সদরের বামকান্দি এলাকায় একটি মাজারের ওরসে নাগরদোলায় চড়া নিয়ে দ্বন্ধে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের নৃশংস হামলায় ভিকটিম হাজী রফিক (৫৬) মৃত্যুবরণ করে। উক্ত ঘটনায় হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। নৃশংস এই হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচিত হয়। র্যাব উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে।
গোয়েন্দা নজরদারির ভিত্তিতে ০৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ ১১:৩০ ঘটিকায় র্যাব-৩ ও র্যাব-৯ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হাজী রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি ১। কায়সার রহমান (৪০), পিতা-মৃত আব্দুর রহমান, বামকান্দি, হবিগঞ্জ সদর, হবিগঞ্জকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামি উক্ত ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তথ্য প্রদান করে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধান করে র্যাব জানতে পারে যে,গত ০৬ মার্চ ২০২৪ তারিখ রাতে হবিগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বামকান্দি এলাকার একটি মাজারে ওরস অনুষ্ঠানে নাগরদোলায় চড়া নিয়ে ভিকটিম রফিক এর ভাতিজা নাদিম এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রেফতারকৃত কায়সার রহমান এর ভাগ্নে মোশারফ এর ঝগড়া হয়। বিষয়টি দুই পক্ষের পরিবার পর্যন্ত গড়ালে পরদিন ০৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ ভিকটিম রফিক গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উক্ত হত্যাকান্ডের অপর আসামিদের সাথে বামকান্দি বাজারে মীমাংসার জন্য বসলে সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামি এবং মামলার অপর আসামিরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ভিকটিম রফিকের উপর নৃশংস হামলা চালায়। মুমুর্ষূ অবস্থায় ভিকটিম রফিককে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। ভিকটিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ১০ মার্চ ২০২৪ তারিখ ১১২৫ ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিম মৃত্যুবরণ করে। এই নৃশংস ঘটনায় ভিকটিম এর ছেলে বাদী হয়ে ২৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ হবিগঞ্জ সদর থানায় গ্রেফতারকৃত কায়সারসহ মোট ১১ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু করে।
উক্ত ঘটনার পর হতেই গ্রেফতারকৃত আসামি নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানীতে আত্মগোপনে চলে যায়। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় অদ্য ০৫ এপ্রিল ১১৩০ ঘটিকায় র্যাব-৩ ও র্যাব-৯ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দলের হাতে হাজী রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি কায়সার রহমান গ্রেফতার হয়। উক্ত হত্যা মামলার পলাতক অপর আসামিদের গ্রেফতারে র্যাব-৩ এর গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান যায়।
আর/এইচ/সরে