
মাসুম বিল্লাহঃ
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চরম বির্পযয়ের মুখে খাগড়াছড়ি। রেকর্ড বৃষ্টিপাতের কারণে প্লাবিত হয়েছে গ্রাম থেকে শহর।সম্প্রতিকালে খাগড়াছড়ি শহর না ডুবলেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই রের্কডও ভেঙেছে। শহরের ভেতরে প্রবেশ করছে বন্যার পানি।
ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে দীঘিনালার মেরুং, বোয়ালখালি ও কবাখালি ইউনিয়নের ৫০ গ্রাম প্ল্যাবিত হয়। বন্যায় পানিতে ডুবে গেছে সড়ক, কৃষি জমি ও পুকুর। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে পরে দুর্ভোগে পরেছে সাধারণমানুষ।
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে এলাকার চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা যে যার মত পালিয়ে থাকায় প্রশাসনিকভাবেও চরম বিপর্যয় অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এমনই অবস্থায় পানিবন্দি হয়ে আটকা পরা বিপর্যস্ত এক পরিবার কোন উপায় না পেয়ে জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তার খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ফারহানা আক্তারের কাছে সাহায্য কামনা করলে, ইউএনওর সাথে যোগাযোগ করে অবশেষে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়াটার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার।
খাগড়াছড়ি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১ শ ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রের্কড করা হয়েছে।
এদিকে ফেনী নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে রামগড় পৌরসভাসহ নিচু এলাকা। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে সহস্রাধিক মানুষ।
জেলা প্রশাসক মো: সহিদুজ্জামান জানান, খাগড়াছড়ি পৌরসভায় ১৮টিসহ পুরো জেলায় ৯৯টি আশ্রয় খোলা রাখা হয়েছে। আশ্রিতদের জন্য শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।