সীতাকুণ্ড পৌরসভার স্বামীহারা বিধবা হোসনে আরা বেগম নিজ পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় খুলশীতে অবস্থিত আল-আমিন রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।বিধবা সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্যে জানান।
সীতাকুন্ড পৌরসভার ৬নম্বর ওয়ার্ডের (সাবেক) কাউন্সিলর এবং তৎকালিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আলম ২০১০ সালের ২৬ জুন নির্মমভাবে খুন হয়।
হোসনে আরা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আমার স্বামীর খুনিরা সমাজে প্রভাবশালী এবং অঢেল অবৈধ সম্পত্তির মালিক হওয়ায় আইনের অপব্যবহার করে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ঘুরে বেড়াচ্ছে । আসামীরা সমাজে চিহ্নিত হলেও হত্যার মূলপরিকল্পনাকারী আমার স্বামীর আপন বড় ভাই মো. শাহ আলম থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাহিরে। আমার স্বামী খুন হওয়ার পর শাহ আলমের মুখোশ উন্মোচন হয় আমাদের পরিবারের কাছে। স্বামী হত্যার শোক কাটিয়ে উঠার আগেই শাহ আলম আমার এবং আমার এতিম শিশু সন্তানদের উপর শুরু করে নানা ধরনের নির্যাতন ও জুলুম।
আরো বলেন, শাহ আলম আমার স্বামীর পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তির জবর দখল নিতে মরিয়া ছিলো। আমার স্বামী নুরুল আলম খুনহ ওয়ার পর জাল দলিল সৃজন করে আমাদেরকে ভিটে মাটি ছাড়া করতে শুরু করে হামলা ও নির্যাতন।শুধু হামলা নয় মিথ্যে মামলাদিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আমি জাল দলিল এর প্রতিকার চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে সিআর মামলা নম্বর- ২৩২/২০২৩(সীতাকুন্ড), ধারা ৪৬৮/৪৭১/১০৯ পেনাল কোড মামলা করিলে আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেষ্টিগেশন(পিবিআই)কে তদন্ত দিলে চলতি বছরের ২৯জুনে পিবিআই জাল দলিল সৃজন এর সত্যতা পেয়ে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলেবিজ্ঞ আদালত শাহ আলমকে দোষী সাব্যস্ত করেন। পরবর্তীতে অসুস্থ্যতা ও বয়স বিবেচনায় জামিনে মুক্তি পায় শাহ আলম।
জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শাহ আলম পূর্বের চেয়ে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিনিয়ত আমার ও আমার এতিম সন্তানদের উপর মানসিকনির্যাতন ও মিথ্যে মামলা দায়ের করিতে থাকে এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মারফত খবর পাঠায় “মামলা আপোষ কর অন্যথায় তোকে ওতোর সম্পূর্ণ পরিবারকে জানে মেরে লাশ গুম করে ফেলবো” ।
এমন ঘটনায় আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চলতি বছরের ২১ অক্টোবর সীতাকুন্ড থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। তাইগণমাধ্যমের মাধ্যমে আমি সংশ্লিষ্ট বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরাপত্তা আবেদন জানাই।