
দিদারুল আলম- সীতাকুণ্ড থানার বায়েজিদ বোস্তাম, ফৌজদারহাট লিং রোড সংলগ্ন পাহাড়ে সলিমপুর মৌজার ৩৬১ নং বিএস দাগে ৫নং ব্রীজ সংলগ্ন পাহাড়গুলো কেটে ফেলছেন একদল ভূমিদস্যু। সীতাকুণ্ডে প্রভাবশালী ভূমিদস্যুরা প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে এসব পাহাড়। বিশাল পাহাড় কেটে সমতল করে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর বানাচ্ছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো খবর নেই তাঁরাও যেন এসব প্রভাবশালীর কাছে অসহায়। গোপনে পুরো পাহাড় কেটে ফেলার পর জানতে পারে পরিবেশ অধিদপ্তর। ততদিনে পাহাড় আর পাহাড় থাকে না,পুরোটা সমতল ভূমি হয়ে যায়। আর এ সুযোগে সেখানে তৈরি হয়ে যায় রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি ।
আজ (২২শে অক্টোবর ২০২৩ ইং) রবিবার সীতাকুণ্ড থানা এলাকার সলিমপুর ৫নং ব্রীজ সংলগ্ন জঙ্গল সেলিমপুর এলাকায় কাটা হচ্ছে পাহাড়। ইট, টিন দিয়ে ঘেরাও করে গোপনে রাতে ও ভোরে কাটা হচ্ছে পাহাড়, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দিন দুপুরে কাটেন পাহাড়।
স্থানীয়রা দেখলেও কারো বিরুদ্ধে মুখ খুলেন না বা প্রতিবাদ ও করেন না ভয়ে। পরিবেশ অধিদপ্তর লোকমুখে বা ফোনে খবর পেলেও অজ্ঞাত কারনে নিরব। কোন প্রকার বাধাহীনভাবে অবাধে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব।
সীতাকুণ্ড থানার অন্তর্গত বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিং রোডের ৫নং ব্রীজ সংলগ্ন জঙ্গল সলিমপুরের উওরে পাহাড় কাটার সম্পর্কে জায়গার বন্দোবস্ত নেয়া মালিক দাবীদারের কাছ থেকে জানতে চাইলে, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মালেক বলেন, এটা আমার পিতার নামে সরকার কর্তৃক স্থায়ী বন্দোবস্তির সম্পত্তি। বিএস দাগ নং ৩৬১, যাহা আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে জায়গাটি আমার দখলে রয়েছে। কিন্তু একটি অসাধু ভূমিদস্যু চক্র পাহাড় কেটে জায়গাটি দখল করছে। বেশ কিছু অংশ কেটে ফেলেছে।
পাহাড় পর্বতে ঘেরা চট্টগ্রামকে বলা হয় সৌন্দর্যের রানী। অথচ বর্তমানে অবাধে পাহাড় কাটার কারনে পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সেই চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকা।
সামান্য বৃষ্টিতে একই কারণে পানি জমে নালা-নর্দমা ভরাট ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় প্রতিনিয়ত। এভাবে অবাধে প্রভাবশালীরা পাহাড় কাটতে থাকলে,একদিন সত্যিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে পাহাড়ের সৌন্দর্য। নেমে আসতে পারে প্রাকৃতিক বিপর্যয়।
পাহাড় কাটা বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর উপ- পরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার বলেন, পুজার বন্ধের কারণে হয়তো কিছু খারাপ লোক এই সুযোগটা নিয়েছে, তবে এ বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে, আমরা তদন্তের মধ্য দিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।পাহাড় কাটায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে।
সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে.এম রফিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহেও পাহাড় কাটা বন্ধে অভিযান চালানো হয়েছে,সবাই পূজার ডিউটি নিয়ে ব্যস্ত থাকায় হয়তো সুযোগ নিয়েছে, খুব শিগ্রিই আবার অভিযান চলবে,গ্রেফতার করা হবে তাদের।