বৃন্দাবন মল্লিকঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার আল্লামা আফজাল আহমাদ দারুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার এতিম শিক্ষার্থীদের জন্য দেওয়া অনুদানের ১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যু্বদলের সদস্য সচিব শাহাদাৎ শিকদারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মাদ্রাসাটির এতিমদের লিল্লাহ ফান্ডের জন্য মধ্যপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ফ্রান্স প্রবাসী শাহ আলমের দেওয়া নগদ ১ লাখ টাকা আত্নসাতের বিষয়টি জানাজানি হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে নানা সমালোচনার জন্ম দেয়। এমনকি চায়ের দোকানে বসে চা খাওয়া রিকশা চালক থেকে শুরু নানা বয়সী মানুষকে এ নিয়ে মুখরোচক মন্তব্য করতে শোনা যায়।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শরিফুল ইসলাম মাহমুদী বলেন, মাদ্রাসায় ১০ টি টাকাও যদি কেউ দেয় সেটা আমার কাছেই দিতে হবে। মাদ্রাসার যখন যেখানে যা প্রয়োজন সেগুলো করার দায়ীত্ব আমার।মাদ্রাসার ছাত্র,শিক্ষক,খরচ,ষ্টাফ, বডিং খাদ্য, বেতন এগুলোতো আর কমিটির কাজ না। ফ্রান্স প্রবাসী শাহ আলম সাহেব মাদ্রাসার অফিস কক্ষে বসে মাদ্রাসায় টাকাটা দেওয়ার সময় মোবারক শিকদার আমার কাছে না দিয়ে শাহাদাৎ শিকদারের কাছে দেওয়ার কথা বলাতে শাহাদাৎ শিকদারের হাতে ওনারা টাকাটা হস্তান্তর করে। মাদ্রাসায় টাকাটা পায় নাই,আমরা টাকাটা পাই নাই। পরে একদিন মোবারক শিকদার আমাকে বলে একটা রিসিট কেটে দেন। আমি টাকা বুঝে পাই নাই তাই আমি রিসিটও কেটে দেই নাই। টাকা দেওয়ার সময় শাহ আলম সাহেব বলেছেন মাদ্রাসা ছাড়া মানে মাদ্রাসার লিল্লাহ ফান্ড ছাড়া অন্য কোন কাজে টাকাটা খরচ করা যাবে না। প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন,আমি সভাপতি সাহেবের কাছে জিজ্ঞেস করেছি। শাহাদাৎ শিকদার টাকাটা সভাপতির কাছেও দেয় নাই!
এ ব্যপারে আল্লামা আফজাল আহমাদ দারুল কুরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান শিকদার মুঠোফোনে বলেন, ১ লাখ টাকা তার কাছে পাঠাইছে সে জানাইছে কিন্তু এখনো সে মাদ্রাসায় টাকাটা পৌঁছাইয়া দেয় নাই।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত সিরাজদিখান উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শাহাদাৎ শিকদার মুঠোফোনে বলেন, আসলে মাদ্রাসা মসজিদ ঈদগাহ আমরাই পরিচালনা করি। বৃষ্টির কারণে ঈদগাহ ও কবরস্থানের রাস্তা ভেঙে যায়। যখন শাহ আলম সাহেব ১ লাখ টাকা অনুদান দেয় তখন পানি ছিলো। এদিকে আবার বর্তমানে আলু বোনার সময় হওয়ার রাস্তায় মাটি ফালানো সম্ভব হয় নাই। তাই টাকাটা আমার কাছে স্থগিত রেখেছি।