সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের নামধারী কাজিপুর উপজেলা মডেল প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক রাব্বি হাসান হৃদয় সহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির
অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি ও চাঁদা না পেয়ে হামলার অভিযোগে মঙ্গলবার(১২’নভেম্বর) কথিত ওই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোমেনা পারভীন বাদী হয়ে কাজিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করছেন।
আসামিরা হলেন- ফেসবুক পেজ “শিরোনাম” এর এডমিন রাব্বি হাসান হৃদয়, অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল নতুন সময়ের জেলা প্রতিনিধি আজিজুল ইসলাম আজিজ ও জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তার অনলাইন প্রতিনিধি মুকুল হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সাংবাদিকরা গত ৭’নভেম্বর দুপুর আড়াই টার দিকে কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রবেশ করে নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কোন প্রকার প্রমাণ বিহীন অভিযোগ তুলে ডা.মোমেনা পারভীনের নিকট থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না পেলে
হাসপাতালের বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করার হুমকিও দেয়। এসময়ে ডা.মোমেনা পারভীন চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১’নভেম্বর দুপুরে অভিযুক্তরা আবারও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিকিট কাউন্টারে এসে হাসপাতালে কর্মরত স্টাফ শহিদুল ইসলামের সাথে মারমুখী আচরণ করে। বিষয়টি শহিদুল ইসলাম স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোমেনা পারভীনকে জানায়। তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত আসামীদেরকে নিজের অফিস কক্ষে আসতে বলেন ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। এসময়ে অভিযুক্ত আসামীদের মোবাইল ফোনে লাইভ করতে নিষেধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অফিস কক্ষ থেকে বের হয়ে পুনরায় টিকিট কাউন্টার যায়। সেখানে অবস্থানরত সেবা গ্রহীতাদের ৩’টাকার টিকিট মূল্য ৫’টাকা নিয়েছে বলতে চাপ সৃষ্টি করে।
বিষয়টি জানতে পেরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.মোমেনা পারভীন কথিত ওই সাংবাদিকদের পুনরায় মোবাইল ফোনে লাইভ বন্ধ ও সেবা গ্রহীতাদের মিথ্যা কথা বলতে চাপ সৃষ্টির কারণ জানতে চাইলে আসামিরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজের এক পর্যায়ে ১’নং আসামি রাব্বি হাসান হৃদয় ও ৩’নং আসামি মুকুল হোসেন ডা.মোমেনা পারভীনকে এলোপাতাড়িভাবে কিল-ঘুষি মেরে অভিযুক্তরা ওই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে দুই হাতে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে ও টেনেহিঁচড়ে নিয়ে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সাংবাদিকদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নূরে আলম জানান, এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।