মোঃ রবিউল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গত ২৮ মার্চ দুপুরে ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানাধীন ছায়াবিথি আমতলা মোড় এলাকায় স্থানীয় ডেন্টাল কর্মচারী শহিদুল ইসলাম (২৪)’কে কতিপয় দুস্কৃতিকারী ছুরিকাঘাত করে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিম’কে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সংক্রান্তে ভিকটিমের বড় ভাই বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হলে র্যাব-৪ এর আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে ছায়া তদন্ত শুরু করে যার এক পর্যায়ে সিসি টিভি ফুটেজের মাধ্যমে রিকশাযোগে দুইজন’কে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যেতে দেখা যায়।
পরবর্তীতে আভিযানিক দলের তৎপরতায় রিকশা ও আসামী সনাক্ত করা সম্ভব হয় যাদের মধ্যে একজন নুর আলম। উক্ত ঘটনার পর পরেই অত্র এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপনে চলে যায় এবং সাভারের বিভিন্ন এলাকা, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী ও ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা ছায়াবিথীসহ সাভারের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ সক্রিয় কিশোর গ্যাং, ছিনতাইকারী গ্রুপ এবং ডাকাতির সাথে সম্পৃক্ত। একই সাথে তারা মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবনের সাথেও জড়িত । তারা বিভিন্ন সময়ে পথচারীদের গতিরোধ করে তাদের সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়। উক্ত ঘটনার দিন গ্রেফতারকৃত আসামী মূলত মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্যই ছিনতাই করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।