মাহমুদুল হাসান, রামগড়, (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলা থেকে জৈনিক ভূঁঞা জানান, পাকিস্থান আমলে সাবেক মহকুমা শহর রামগড় একটি শান্ত শহর হিসাবে পরিচিত ছিলো।
যুগ যুগ ধরে এই শহরে পাহাড়ী ও বাঙ্গালীর মধ্যে কোন ভেদাভেদ ছিলো না। ভবিষ্যতেও পাহাড়ী ও বাঙ্গালীর মধ্যে কোন রকম হামলা ও পাল্টা হামলার কোনো কারন দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে রামগড় একটি উপজেলা। পৌরসভা শহর হিসাবে রামগড় একটি পর্যটক এলাকা। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাবরুম শহর ও রামগড় শহরকে ফেনী নদী বিভক্ত করে রেখেছে।
রামগড় উপজেলায় বাঙ্গালী ৮০% জন সংখ্যা ইসলাম ধর্মের অনুসারী। দ্বিতীয় অবস্থানে ত্রিপুরা সম্প্রদায় যারা হিন্দু ধর্মের অনুসারী। তা ছাড়াও বেশ কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক এখানে আছে। সামান্য কিছু বাসিন্দা হলো র্মামা/মগ তারা বুদ্ধ ধর্মের অনুসারী। তাই এখানে পাহাড়ী বাঙ্গালীর মধ্যে কোন বিরোধ সৃষ্টির লক্ষন আছে বলে মনে হয় না।
ভারতের ৭ রাজ্যের সাথে টানজিট সেতুও রামগড় শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত। পাহাড়ী-বাঙ্গালীর মধ্যে তিন পার্বত্য এলাকায় রক্ত জ্বরলেও রামগড় উপজেলার বিভিন্ন পাড়া মহল্লা ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ী-বাঙ্গালীর মধ্যে কোন ভয়় নেই। শুধু একটা আতংক বিরাজ করছে।
ভারতের সাথে টানজিট চুক্তির কারণে তারা যে স্বপ্নের যুগের প্রবেশ করতে যাচ্ছে তাতে বাধা আসবে কিনা। নতুন কোনো লোক দেখলে তারা তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন যুগের আশা ঘুড়েবালি হবে কিনা তাহা জিজ্ঞাসা করতে ভুলে না। এমনকি স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ও তাদের এলাকার ভবিষ্যত জানতে চায়। যুগ যুগ ধরে সাবেক মহকুমা শহর ও পাড়া-মহল্লার পাহাড়ি বাঙ্গালীরা কঠিন পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন।
বর্তমানে স্বর্ণযুগের প্রান্তে এসে তারা আগের মতো অসহায়় হয়ে় যাবে কিনা। পাহাড়ী-বাঙ্গালীর হানাহানির কারনে এ আতংকে আছে এ এলাকার আপময় জনসাধারণ। পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলার রামগড় মহকুমা ও চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া মহকুমা ছাড়া প্রতিটি মহকুমা জেলা করা হলেও স্বৈরাচারী এরশাদ সরকার এ দুইটি মহকুমা, শহরকে অজ্ঞাত কারণে জেলা করেনি। অথচ খাগড়াছড়ি কোনো মহকুমা ছিলো না। রামগড়ের মতো এই সুন্দর শহরকে জেলা না করার খেসারত দিতে হচ্ছে জেলার সর্বত্তরের লোক জনকে।
জেলা শহর যদি রামগড়কে করা হতো তাহলে পাহাড়ী-বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের মধ্যে কোন হানাহানি হতো না। রামগড় উপজেলার বিভিন্ন পাড়়া-মহল্লা ঘুরে উভয় সম্প্রদায়ের লোক জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে পাহাড়ী-বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবিরা এক মঞ্চে বক্তব্য রেখে সবাই়কে বুঝাতে হবে আমরা সবাই এই দেশের নাগরিক। আমারা মিলে মিশে এ দেশে বসবাস করতে হবে।
সভ্যতার এ যুগে পাহাড়ী- বাঙ্গালী হানাহানি মানায় না।