
মোঃ রিপন হাওলাদার
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে সাবানের প্যাকেটে ইয়াবা পাচারকালে আবুল খায়ের গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজারসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৮ জুলাই) অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) ঢাকা মেট্রো:(দক্ষিণ) বিভাগের একটি চৌকস টিম।
আটকের সময় মাদক কারবারিদের কাছ থেকে ১২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএনসির ঢাকা মেট্রো:(দক্ষিণ) এর সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার শুভ।
তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার সূত্রাপুর সার্কেলের একটি টিম যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় লাক্স সাবানের কার্টনের ভেতরে সাবানের প্যাকেটে ইয়াবা পাচারকালে ১২ হাজার পিস ইয়াবাসহ কক্সবাজারের উখিয়াভিত্তিক মাদক পাচারকারী মো.খোরশেদ আলম জিসান ও মো. জিয়াউল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্তদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে এ কর্মকর্তা জানান, গ্রেপ্তার মো.খোরশেদ আলম জিসান ও মো. জিয়াউল হক পেশাদার মাদক পাচারকারী। মো. খোরশেদ আলম জিসান আবুল খায়ের গ্রুপের মার্কেটিং ম্যানেজার এবং মো. জিয়াউল হক তার সহযোগী হিসেবে সাবানসহ বিভিন্ন পণ্যের কার্টনে ইয়াবা পাচারকাজে সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিল। সড়কপথে বাসে কিংবা ট্রেনে পণ্য সরবরাহের আড়ালে ইয়াবা পাচার করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইয়াবা পৌঁছে দেওয়ার কাজে যুক্ত ছিল গ্রেপ্তারকৃতরা।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আগে কোন মাদক মামলা ছিল কিনা প্রাথমিকভাবে তা যাচাই করা না গেলেও, তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক পাচারে যুক্ত বলে জানা গেছে। তাদের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে, যার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
একইদিন অপর এক অভিযানে রাজধানীর গেন্ডারিয়া এলাকা থেকে ৬ কেজি গাঁজাসহ নুরুল আলম (৪০) নামে আরেক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক সুব্রত সরকার জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গেন্ডারিয়া থানা এলাকা থেকে গাঁজাসহ নুরুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে কুমিল্লা থেকে গাঁজা নিয়ে ঢাকার সাভারে যাচ্ছিল বলে জানায়। সে একজন গার্মেন্টস কর্মী এবং সাভার এলাকায় নিজেই গাঁজা খুচরা বিক্রি করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী এবং গেন্ডারিয়া থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
আর/এস