
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনোকোলজি ও অবসটেট্রিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার জান্নাত আরা ফিরদৌস। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তার নাম উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, চিকিৎসা সেবার আড়ালে বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন এই চিকিৎসক। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, তিনি চিকিৎসা বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।
২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট শিমুল সরকার নামে এক ব্যক্তি ভুক্তভোগী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রোগীদের পক্ষ থেকে দুদকে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এতে জানানো হয়, সরকারি হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।
তথ্য অনুসারে, ডাক্তার জান্নাত আরা তার সাবেক রাজউক কর্মকর্তা বড় ভাইয়ের মাধ্যমে পূর্বাচলে একাধিক প্লট পেয়েছেন। এছাড়াও, তিনি তথ্য গোপন করে পালিত পুত্রকে নিজের বায়োলজিক্যাল সন্তান হিসেবে দেখিয়ে আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের অনুমতি নেন এবং বর্তমানে মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি মার্কিন আইন লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেলে পড়াকালীন তিনি ছাত্রলীগ নেত্রী ছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে প্রেমিকের আত্মহত্যার ঘটনাতেও পুলিশের কাছে কোনো জবাবদিহিতা করতে হয়নি। তার পরিবারের সদস্যরাও আওয়ামী মতাদর্শের অনুসারী। যদিও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা অপরাধ নয়, কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার প্রশ্নের মুখে ফেলেছে তাকে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডাক্তার জান্নাত আরা নিম্নমানের ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের ওষুধ রোগীদের ব্যবহারে বাধ্য করেন। তিনি সরকারি হাসপাতালের রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে রেফার করেন, যেখানে উচ্চমূল্যে চিকিৎসা করানো হয়।
একাধিক রোগীর অভিযোগ, তিনি অস্ত্রোপচারের সময় নিজে উপস্থিত না থেকে সহকারী দিয়ে তা করান, ফলে অনেক রোগী সংক্রমণের শিকার হন। এমনকি অভিযোগ রয়েছে, তিনি রোগীদের ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন এবং পরবর্তীতে রোগীদের দায় এড়িয়ে যান।
সরকারি চিকিৎসক হয়েও তিনি দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তির মালিক। ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্যাংক হিসাব, বিলাসবহুল গাড়ি এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ডাক্তার জান্নাত আরা ফিরদৌসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
একজন চিকিৎসকের দায়িত্ব রোগীদের সেবা করা, কিন্তু ডাক্তার জান্নাত আরার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ চরম উদ্বেগজনক। জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। জনগণের প্রত্যাশা, অপরাধী যেই হোক না কেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।
সাদা-কালোর অন্তরালে: ডাক্তার জান্নাত আরা ফিরদৌস (ডেইজি)
সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনোকোলজি ও অবসটেট্রিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার জান্নাত আরা ফিরদৌস। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে তার নাম উঠে এসেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, চিকিৎসা সেবার আড়ালে বিশাল সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন এই চিকিৎসক। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, তিনি চিকিৎসা বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন।
২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট শিমুল সরকার নামে এক ব্যক্তি ভুক্তভোগী কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রোগীদের পক্ষ থেকে দুদকে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এতে জানানো হয়, সরকারি হাসপাতালের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করেছেন তিনি।
তথ্য অনুসারে, ডাক্তার জান্নাত আরা তার সাবেক রাজউক কর্মকর্তা বড় ভাইয়ের মাধ্যমে পূর্বাচলে একাধিক প্লট পেয়েছেন। এছাড়াও, তিনি তথ্য গোপন করে পালিত পুত্রকে নিজের বায়োলজিক্যাল সন্তান হিসেবে দেখিয়ে আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের অনুমতি নেন এবং বর্তমানে মার্কিন নাগরিকত্বের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি মার্কিন আইন লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
ময়মনসিংহ মেডিকেলে পড়াকালীন তিনি ছাত্রলীগ নেত্রী ছিলেন। তার রাজনৈতিক প্রভাবের ফলে প্রেমিকের আত্মহত্যার ঘটনাতেও পুলিশের কাছে কোনো জবাবদিহিতা করতে হয়নি। তার পরিবারের সদস্যরাও আওয়ামী মতাদর্শের অনুসারী। যদিও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা অপরাধ নয়, কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার প্রশ্নের মুখে ফেলেছে তাকে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ডাক্তার জান্নাত আরা নিম্নমানের ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে তাদের ওষুধ রোগীদের ব্যবহারে বাধ্য করেন। তিনি সরকারি হাসপাতালের রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে রেফার করেন, যেখানে উচ্চমূল্যে চিকিৎসা করানো হয়।
একাধিক রোগীর অভিযোগ, তিনি অস্ত্রোপচারের সময় নিজে উপস্থিত না থেকে সহকারী দিয়ে তা করান, ফলে অনেক রোগী সংক্রমণের শিকার হন। এমনকি অভিযোগ রয়েছে, তিনি রোগীদের ভয় দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন এবং পরবর্তীতে রোগীদের দায় এড়িয়ে যান।
সরকারি চিকিৎসক হয়েও তিনি দেশে-বিদেশে নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তির মালিক। ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্যাংক হিসাব, বিলাসবহুল গাড়ি এবং বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ডাক্তার জান্নাত আরা ফিরদৌসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
একজন চিকিৎসকের দায়িত্ব রোগীদের সেবা করা, কিন্তু ডাক্তার জান্নাত আরার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ চরম উদ্বেগজনক। জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা এখন সময়ের দাবি। জনগণের প্রত্যাশা, অপরাধী যেই হোক না কেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।