খান নাজমুল হুসাইনঃ
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মামলার সাক্ষী হওয়ার জের ধরে চোরাকারবারি চক্রের হাতে মারপিটের শিকার হলেন স্বাধীন খান নামে এক যুবক। এ বিষয় স্বাধীন খান বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গেছে, বিগত শনিবার ২ই মার্চ দুপুরে কলারোয়া থানাধীন পাচনল গ্রামের হবিবর মাষ্টারের লিচু বাগানের সামনে পাকা রাস্তার উপর থেকে কলারোয়া থানার পুলিশ শফিকুল ইসলাম নামের এক যুবকে Apace মোটর সাইকেল (যার নং সাতক্ষীরা -ল- ১১-৫৬২৮) ৭কেজি রুপার অলংকারসহ আটক করে। এ ঘটনায় কলারোয়া থানা পুলিশ বাদী হলে মামলা দায়ের করেন যার জি,আর মামলা নং-৪০/২৪ তারিখ ০২.৩.২৪ ইং। উল্লেখিত মামলায় স্বাধীন খান সাক্ষী হয়। এর প্রেক্ষিতে চোরাকারবারিরা বিভিন্ন সময় শত্রুতা পোষণ এবং হুমকি ধামকি অব্যহত রাখে। ভুক্তভোগী আলাইপুর গ্রামের মৃত মোবারক আলী খান এর ছেলে স্বাধীন খান বলেন, শনিবার ১৮ই মে বেলা ১২.৪০ মিনিট সময় কলারোয়া থানার রায়টা বাজারের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড, বাঁশের লাটি, ইট দিয়ে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নীলাফুলা জখম করে। আলাইপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ আলী খানের ছেলে চোরাকারবারির গর্ডফাদার রায়হান খান ডালিমের নির্দেশে একই এলাকার মৃত আকবর আলী খানের ছেলে চোরাকারবারি ও মানবপাচারকারী নুরুল আমিন খান এর নেতৃত্বে মৃত শওকত খানের ছেলে আজিম খান, নুরুল আমিন খানের বড় ভাই জাহাঙ্গীর খান, ভাগ্নে শিমুলসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনের একটি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট সন্ত্রাসী বাহিনী। তিনি আরও বলেন, আজিম খানের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম ওরফে টুটুল খান এর আপন চাচাতো ভাই রায়হান খান ডালিম এবং নুরুল আমিন খান এর অবৈধ ৭ লক্ষ টাকা মূল্যের রুপার গহনাসহ মোটরসাইকেল কলারোয়া থানা পুলিশ আটক করে। আমি উক্ত মামলার সাক্ষী হয়ে ছিলাম।এই ঘটনার পর থেকে নুরুল ও ডালিম আমাকে সন্দেহ করে যে আমি ঔ মামলার আসামী আজিমের ভাই শফিকুল ইসলাম ওরফে টুটুল খানের মোটরসাইকেলে থাকা অবৈধ রূপা চালান পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু আমি ওই ঘটনায় বিষয় আগে থেকে জানতাম না! পুলিশ যখন রুপার গহনা মোটরসাইকেল এর ভিতর থেকে বের করে আমি তখন ঘটনায়স্থলে উপস্থিত ছিলাম, তাই পুলিশ আমাকে উক্ত মামলার সাক্ষী করে। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা আমাকে মারপিট খুন জখম করিবে বলে হুমকি প্রদান করতে থাকে। এমত অবস্থায় আমি রায়টা বাজারে আসলে আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রায়টার প্রাইমারি স্কুলের সামনে আমাকে সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিট করতে থাকে। আসামিরা আমার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে নীলাফোলা জখম করে। এ সময় আশেপাশের লোকজন আমাকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করে। আমি কিছুটা সুস্থ হয়ে নিকটতম আত্মীয় স্বজনের সাথে আলোচনা করে কলারোয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি । আমি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এ বিষয় কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি এ প্রতিবেদনককে বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে