মো:রাজিব তালুকদার :
ইংরেজীতে পারদর্শী হতে কে না চায়? কে না চায় একটু ভালো শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এ সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে? এরই এক মেধাবী শিক্ষার্থী বাবা মায়ের আদরের দুলালী এমন একজন আমাদের পরিচিত যার ছদ্ম নাম মিম। মিম ইরেজীতে পারদর্শী হওয়ার জন্য সাইফুর’স কোচিং সেন্টার পছন্দ করে ভর্তি হন। এরপরই তার সাথে সাইফুর’স এর একজন শিক্ষক শুরু করেন যত অনিয়ম ও অশ্লীল আচরণ।
তাহলে চলুন আজ যেনে নেওয়া যাক, সেই চরিত্রহীন শিক্ষকের পরিচয় । তার নাম আদনান হোসেন । তিনি স্পোকেন ইংলিশের শিক্ষক। যিনি অত্যান্ত মিষ্টি ভাষাভাষী সুন্দর গোছানো কথা বলে টিনএজ ছাত্রীদের প্রেমের জালে ফাঁসানোর চেষ্টা করত। আমরা তার (আদনান হোসেন) বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার আগে সাইফুর’স কোচিং সেন্টার সর্ম্পকে অনুসন্ধান করি, অনুসন্ধানে বের হয়ে আসে সাইফুর’স কোচিং সেন্টার ইংলিশ কোচিংয়ের নামে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ‘ভণ্ডামি’ ও ‘প্রতারণা’ করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এদেশের জনসাধারণের ইংরেজিতে দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তারা ‘হাতিয়ে নিয়েছে’ কোটি কোটি টাকা। এছাড়াও এই কোচিং সেন্টারটির বিরুদ্ধে নানান সময় পাওয়া গেছে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগও। এ নিয়ে প্রায়ই সরগরম হতে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে , সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সাইফুর’সকে ‘চোরের রাজা’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন এবং এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে শিক্ষা সচিবকে লিখিত নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর মামলাও করা হয় এ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে, যা বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তদন্তাধীন রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় রমনা থানায় এই কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে জিডি করে এবং বিষয়টি তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে চিঠি দেয়। বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন এটি তদন্ত করছে। তদন্তের বিষয়ে কথা হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্যের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সাইফুরের বাবা সাভারের শিমুলিয়া গ্রামের মৃত খলিলুর রহমান খান। তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র চেয়ারম্যান। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় সাইফুর রহমান খান নিপু। ছোট ভাই তানভীর রহমান খান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। গভীর অনুসন্ধানে তার এ বিচিত্র লেবাস থেকেই এখন বের হয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য ও অনৈতিক কোচিং ব্যবসার আদ্যোপান্ত। একটি-দু’টি নয়, নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ খাতাপত্রে তিনটি বিয়ে করেছেন। যে প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারের এমন চরিত্র সে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা বা কেমন হতে পারে ? এখন জানার বিষয় হল, আদনান হোসেন যার উপরের মুখোশ আমাদের কাছে উম্মচন হয়েছে, তারই ছাত্রী মিম (ছদ্ম নাম) যিনি অবলীলায় বলেছেন, এই আদনান হোসেনের আসল চারিত্রিক বৈশিষ্টের কথা। আদনান হোসেন তাকে বেশ কিছুদিন যাবত কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে, তিনি বিভিন্নভাবে কোচিং এর মেয়েদেরকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি করানোর পায়তারা করে, ক্লাস শেষে কফি শপে গিয়ে এক্সট্রা ক্লাসের প্রস্তাব আবার কখনোবা ইংরেজি চর্চার জন্য ইংলিশ মুভি দেখতে যাওয়ার প্রস্তাব, এমনকি সে আইইএলটিএস এর ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ার কথা বলে রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে তাদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে যা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে মারাত্মক হুমকির মুখে ধাবিত করছে । এ বিষয় আদনান হোসেনের ব্যবহৃত ফোন (০১৬০-০১৬৬২৮৬) দিলে তার মোবাইল নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায়। এমন আদনান হোসেন যদি এ নামী-দামী কোচিং সেন্টারে থাকে তাহলে শিক্ষিত সমাজ চরিত্রহীন হয়ে পড়বে।