চট্টগ্রাম ব্যুরো– দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার চট্টগ্রামের স্টাফ রিপোর্টার এম এ কাউসারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে একটি ইউটিউবচ্যানেল ও তিনটি পোর্টালের ৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক কাউসার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্টো শাখাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলায় যাদেরকে আসামী করা হয়েছে তারা হলেন, দেশইনফো২৪.কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক অতুল দাস, সহ–সম্পাদক সাইদুলআরেফিন, বার্তা সম্পাদক সাঈফ আজমল, প্রতিবেদক ফাইজুল আলম সিরাজ, অপরাজিত বাংলা২৪.কম এর সম্পাদক ও প্রকাশকসাইদুল ইসলাম সবুজ, সহ সম্পাদক আব্দুল কাদের সুজন ও বার্তা সম্পাদক তাজুল ইসলাম।
মামলায় ‘হিউমিনিটি’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল ও বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর নামক একটি পোর্টালকে আসামী করা হয়েছে।
বাদির আইনজীবী এডভোকেট আসাদুজ্জামান খান বলেন, সংবাদ প্রকাশের জেরে কয়েকটি অনিবন্ধিত পোর্টালে সাংবাদিক এম একাউসার ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের সাইবার নিরাপত্তা আইনের২৫, ২৬, ২৯, ৩৩ ও ৩৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্র জানায়, গত ৩১ জানুয়ারি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘চসিক নারী কাউন্সিলরের দাপট: ব্যক্তির প্লট মসজিদের নামে দখলেরপাঁয়তারা’ এবং ‘ওসি–ডিসিকে নিয়ে কথিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার গালাগাল‘ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের জেরে রিপোর্টার এম একাউসারের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে চসিক নারী কাউন্সিলর হুরে আরা বেগম এবং তার ছোট ভাই রাশেদ হায়দার সোহেল। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৩১মার্চ ‘হিউমিনিটি’ নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে সংশ্লিষ্টরা। সেই চ্যানেলে সাংবাদিক কাউসারের ছবি ব্যবহার করে একটি অডিওরেকর্ড প্রচার করা হয়। অডিওটি রাশেদ হায়দার সোহেল এবং মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তির কথোপকথন হলেও প্রচারিত রেকর্ডেসাংবাদিক কাউসারের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া কাউসারের ফেসবুকে ব্যবহৃত প্রোফাইল পিকচার এবং স্ত্রী– সন্তানের ছবি সংগ্রহকরে অপরাজিত বাংলা২৪.কম, দেশ ইনফো ২৪.কম ও বাংলাদেশ প্রতিদিন খবর.কম নামক পোর্টালে মানহানিকর মিথ্যা, বানোয়াট, আপত্তিকর ও মনগড়া তথ্য প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।