মেজবাহ উদ্দিন ইমন, চট্টগ্রাম-নাম তার বিন্দু বাবু, চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর নির্বাচিত লাইন সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ এই পরিচয়ের আড়ালে রয়েছে তার আরেকটি মুখোশযুক্ত পরিচয়, তিনি একজন লাইসেন্স প্রতারক।চট্টগ্রাম সহ আসপাশের বিভিন্ন জেলার সকল প্রকার পরিবহনের চালক রাই ছিলেন বিন্দু বাবুর প্রতারণা জালের শিকার করা মাছ।বিশেষ ভাবে টার্গেটে রাখতেন নতুন চালকদের, নিজস্ব এজেন্ট পাটিয়ে চালকদের আশ্বাস দিতেন স্বল্প সময়ে পেশাদারী ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দেওয়ার। প্রকার ভেদে নিয়ে আসছিলেন মোটা অংকের টাকা।বছরের পর বছর যায়, পরিবহন চালকেরা আর যোগাযোগ করার সুযোগ পান না বিন্দু বাবুর সাথে। যোগাযোগ ছিন্ন করে টাকা নেওয়া সেই ড্রাইভারদের চিনতে অস্বীকার করেন বিন্দু বাবু ও তার কথিত এজেন্ট’রা। ড্রাইভাররা টাকা ফেরত চাইলে দেওয়া হয় হুমকি।ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে মোঃ রিমন নামের এক ভুক্তভোগী প্রাইম মুভার ট্রেইলার গাড়ির ড্রাইভার যোগাযোগ করেন সরেজমিনের সাথে।
সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত শুক্রবার ২৯ শে মার্চ চট্টগ্রাম নগরীর মাদারবাড়ি এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর অফিসে যায় সরেজমিনের সংবাদ কর্মী ও কয়েকজন ভুক্তভোগী।
বন্ধের দিন হওয়ায় অফিসে ছিলো তালা দেওয়া। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে। একপর্যায়ে অভিযোগ সম্পর্কে তাদের অবগত করলে উনারা নিজ থেকে স্বীকার করেন বিন্দু বাবুর এই পরিচয় সম্পর্কে পূর্বে থেকেই অবগত তারা। তবে এর পূর্বেকার প্রতারণার বিচার কালে বিন্দু বাবু এই বাটপারি ছাড়বেন বলে ক্ষমা চেয়ে রয়ে যান সংগঠনে।সম্পুর্ন বিষয় জানানো হলে সভাপতি অনুরোধ করেন ১লা এপ্রিল সোমবারে বিকাল ৩টাই তাদের অফিসে যাওয়ার জন্য।সময় মেনে ভুক্তভোগী মোঃ রিমন সহ সরেজমিন বার্তা পৌছায় চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে। অভিযুক্ত বিন্দু বাবুকে সহ নিয়ে শুরু হয় বিচার কার্যক্রম।
শুরুতে বিন্দু-বাবু অভিযোগ অস্বীকার করলেও নির্দিষ্ট প্রমাণ পেশ করাতে একপ্রকার ঘাপটে গিয়ে দোষ স্বীকার করতে বাধ্য হন তিনি।
জানান ভুক্তভোগী মোঃ রিমন এর কাছ থেকে গত ১৮ই জানুয়ারি ২০১৯ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স বানিয়ে দেওয়ার কথা বলে নগদ ১১ হাজার টাকা আদায় করেন তিনি। বিশ্বাস জোগাতে ভুক্তভোগীকে জানান তিনি বিআরটিএ কর্মকর্তাদের একজন।টাকা দেওয়ার পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও লাইসেন্স করে না দেওয়াই ভুক্তভোগী একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কথা বলতে অনীহা জানান অভিযুক্ত প্রতারক বিন্দু বাবু।চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি বিমন চন্দ্র নাথের কড়া হুশিয়ারিতে এক পর্যায়ে প্রতারক বিন্দু বাবু ভুক্তভোগীদের কাচে ক্ষমা চেয়ে টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন।বিচার পরিচালনার সমস্ত প্রক্রিয়াটি সরেজমিনের সংবাদ কর্মীর সামনেই করতে হয় সংগঠনকে।বিচারের এক পর্যায়ে প্রতারক বিন্দু বাবু ভুক্তভোগী মোঃ রিমন কে সাময়িক ভাবে ৫ হাজার টাকা এবং এই মাসের ১৬ তারিখে বাকি টাকা ফেরত দিবেন বলে সংগঠনের সভাপতি ও সদস্যদের কাচে প্রতিজ্ঞা করেন। এবং খুব দ্রুত বাকি ভুক্তভোগীদের টাকাও ফেরত নিয়ে দিবেন বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি বিমন চন্দ্র নাথ।
প্রতারিত হওয়ার পাঁচ বছর পর নিজ অর্থ ফিরে পেয়ে জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তাকে এবং চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি বিমন চন্দ্র নাথকে ধন্যবাদ জানাতে ভুলেননি ভুক্তভোগী মোঃ রিমন ও তার পরিবার।বিচার কালে উপস্থিত থাকা চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এর সদস্যরা জোর দাবি জানান প্রতারক বিন্দু বাবু’কে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার।