
কাজী হাবিব উল্লাহ রানা
দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি):
সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় জেলার প্রতিটা উপজেলায়।
এ ঘটনায় দীঘিনালায় পাহাড়ী-বাঙালী উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্টি হয় চরম উত্তেজনা। বিশেষ করে দীঘিনালা উপজেলার লারমা স্কয়ার বাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন পার্বত্য জেলায় সৃষ্টি হয় অস্থিতিশীল পরিবেশ।
পাহাড়ী- বাঙ্গালী সহ সকল জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির এই পাহাড়ের অস্থিতিশীল পরিবেশ যেন কেহই মানতে পারছিলেন না। এমতাবস্থায় খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নির্দেশনায় পাহাড়ী-বাঙ্গালী সহ সকল জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে জেলার প্রতিটি উপজেলার বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন পাড়া, গ্রাম, মহল্লায় গিয়ে সম্প্রীতির সমাবেশ ও আলোচনা শুরু করেন।
বিশেষ করে অস্থিতিশীল দীঘিনালায় সংঘাত ও ভেদাভেদ ভুলে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে একে-অপরের পরিপূরক হয়ে বসবাস করতে বিভিন্ন পাড়া, মহল্লায় সম্প্রীতির আলোচনা সভা শুরু করেন উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এবং উত্তেজনাকর অবস্থায় নতুন করে কেহ যেন কারো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি ভাঙ্গা বা অগ্নিকাণ্ড ঘটাতে না পারে সে বিষয়েও সচেতন ভূমি পালন করেন তাঁরা।
দীঘিনালা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদীন ও যুগ্ম সম্পাদক কাজী রানা জানান, বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রীতির দীঘিনালায় পাহাড়ী-বাঙ্গালীদের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়ার নির্দেশে আমরা উপজেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শান্তি-সম্প্রীতি ও ঐক্যতা বজায় রাখতে উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়নে স্থানীয় পাহাড়ী-বাঙ্গালী সহ সকল জাতি-গোষ্ঠীর মানুষের সহায়তায় শান্তি বৈঠক ও সম্প্রীতি-বন্ধনের সমাবেশ ও আলোচনা করা হয়। এখনও আমাদের নেতাকর্মীরা সম্প্রীতির সমাবেশ অব্যাহত রেখেছে। পূর্বের তুলনায় দীঘিনালার সার্বিক পরিস্থিতি এখন অনেক ভালো।