ওমর ফয়সাল, বিশেষ প্রতিনিধি
সন্দ্বীপের গাছুয়া আমির মোহাম্মদ ফেরি ঘাটের প্রায় আড়াই কিলোমিটারের দীর্ঘ সংযোগ সড়ক পুরোপুরি দৃশ্যমান। বেড়িবাঁধের বাইরে এজায়গাটি বর্ষায় বেশিরভাগ সময় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হত। আবার রাস্তা না থাকায় এ দীর্ঘ পথ পায়ে হেটে আসতে হত বিধায় এ ঘাট দিয়েযাত্রী পারাপার একরকম বন্ধই থাকতো বলা যায়। এখন বেড়িবাঁধ থেকে সাগরের কিনারা পর্যন্ত ২০ ফুট উচ্চতার রাস্তা নির্মিত হওয়ায় অনায়াসেযাত্রীরা একবারে কূলেই চলে আসতে পারবে বলে জানান ঘাট সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া গাছুয়া ফেরি ঘাটটি সন্দ্বীপ চ্যানেলের ভিতরে অবস্থিত হওয়ায়এখানে ঢেউয়ের তীব্রতা তুলনামূলক কম থাকে। তবে এবারে জুলাইয়ের শুরুতে সাগর উত্তাল থাকায় এবং জোয়ারের তীব্রতার কারণে এ সড়কেরসামনের কিছুটা অংশ ধসে যায়।
সংযোগ এ সড়কের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় গত ৪ মে সন্দ্বীপের সাংসদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা গাছুয়া আমির মোহাম্মদফেরি ঘাটের আড়াই কিলোমিটারের নবনির্মিত সড়ক পরিদর্শন করেছিলেন। কিন্তু দুই মাসের মাথায় ফেরির সংযোগ সড়কের সামনের কিছু অংশঅতিরিক্ত জোয়ারের তীব্রতায় ধ্বসে যায়। এতে সামনের দিকে গাইড ওয়াল ও মাটি কিছুটা ধ্বসে যায়।
সন্দ্বীপের সাংসদ মাহফুজুর রহমান মিতা জানান এ সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে যাতে বর্ষায় যাত্রীরা এ দিক দিয়ে যাতায়াতের সময় ভোগান্তিতেযাতে পড়তে না হয়। দূর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বরাদ্দ থেকে শুধু মাটি ভরাটের জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। তবে ঘাটইজারাদার ও ঠিকাদার এর বাইরেও নিজ থেকে একটা গাইড ওয়াল নির্মাণ করেছিলেন। যদিও সাগরের তীব্র ঢেউয়ের কারণে এটি ভেঙে যায়।তবে ফেরি চলাচলের জন্য যে অবকাঠামো উন্নয়ন করা দরকার সেটির সাথে এ বরাদ্দের কোন সংযোগ নেই। যদিও ভবিষ্যতে বিআইডব্লিউটিসিযখন ফেরি সার্ভিস চালুর জন্য সংযোগ রাস্তা নির্মাণসহ জেটি নির্মাণ করতে হবে তখন তারা এটিকে ব্যবহার করতে পারবে। এখন যে রাস্তাটাদুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বরাদ্দে করা হয়েছে সেটি দিয়ে এ ঘাট দিয়ে চলাচল করা যাত্রীরা অনেকখানি সুবিধা পাবেন বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
তবে ফেরি চলাচলের জন্য যে অবকাঠামো নির্মাণ শুরু হয়েছে সেটির সর্বোচ্চ মান যেন বজায় রেখে কাজ করা হয় তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেসময় সরব হয়েছিল সন্দ্বীপের সচেতন নাগরিকরা। তারা এ দুর্বল গাইড ওয়াল নির্মাণের সমালোচনা করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দু‘মাসের মাথায় তাদের সে আশংকায় সত্যতে রূপান্তরিত হল।