
বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ব্যুরো– সন্দ্বীপ পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের জেলে পাড়ার প্রবাসী সুধীর দাসের গৃহে অগ্নিসংযোগের ঘটনা মহলবিশেষ কর্তৃক ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীন চেষ্টা চলছে বলে ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ হতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এর জোরালো প্রতিবাদ করাহয়।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর ) সকাল ১০টায় সন্দ্বীপ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুধীর দাসেরপুত্রবধু সুমী রানী দাস।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন–তাদের প্রতিবেশী শেফালী রানী দাস ও তার দুই পুত্র শরন জলদাশ ও বিপ্লব জলদাশের সঙ্গে তার শ^শুরপরিবারের বাড়ীর চলাচলের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলছে। যা পৌর কাউন্সিলর মোক্তাদের মাওলা ফয়সাল সহ স্থানীয় গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ সমস্যা নিরসনে সচেষ্ট ছিলো। তা সত্ত্বেও গত ১৮ আগস্ট সকালে জোর পূর্বক শেফালী রানী জলদাস ও তার ছেলেরা বাড়ীরচলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইটের প্রাচীর তুলে দেয়।
এতে সুধীর দাসের পুত্রবধু বিষয়টি সন্দ্বীপ থানাকে অবহিত করলে–এসআই মোবারকের নেতৃত্বে সন্দ্বীপ থানা পুলিশের একটি দল এসেঘটনাটি অন্যায্য ও জোরজবর দস্তিমূলক হওয়ায় তারা নির্মিত ইটের প্রাচীর ভেঙ্গে বাড়ীর চলাচলের রাস্তা উন্মুক্ত করে দেয় এবং কোনরকম ঝামেলা না করার জন্য প্রাচীর নির্মানকারীদের শাসিয়ে যায়। এতে শেফালী রানী দাশ ও তার পুত্ররা প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয় এবং দেখেনেবে বলে সুধীর দাশের পরিবারের সদস্যদের শাসাতে থাকে। পুলিশ চলে যাবার পর প্রতিপক্ষের হুমকী ধামকী আরো বাড়তে থাকে এবংসুধীর দাশের পরিবারকে উচ্ছেদ ও এলাকা ছাড়া করে দেবে বলে বাড়ীতে ও রাস্তা ঘাটে গাল–মন্দ করতে থাকে।
ঐ দিন মধ্যরাতেই প্রায় (রাত ৩টা) ঘরের (টিন শেড ঘর) চার পাশে একযোগে আগুনের প্রচন্ড তাপ ঘরের ভিতরে থাকা সবাই আঁচকরেন এবং ঘর হতে বের হওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু ঘরের দরজার বাহিরের দিকে সিটকানী লাগানো থাকায় তারা বের হতে পারছিলেননা। বাঁচার আকুতি নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে পাশ্ববর্তী লোকজন ঘরের বাহির থেকে লাগানো সিটকানী খুলে ঘরের সবাইকেনিরাপদে বের করতে সক্ষম হন। এ সময় ফায়ার বিগ্রেডকে খবর দেয়া হলে তারা আসার আগেই সুধীর দাশের পুরো ঘরটিই আগুনে পুড়েসম্পূর্ণ ভষ্মিভূত হয়ে যায়। এতে ঘর সহ নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, দামী মোবাইল ও আসবাবপত্র পুড়ে যাওয়ায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার মতোক্ষতি হয় বলে লিখিত বক্তব্যে সুমী রাণী উল্লেখ করেন।
সন্দ্বীপ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কিরিটি রঞ্জন বড়–য়ার মতে কোন দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে আগুন লাগানো হয়ে থাকতে পারে। ফলেখুব দ্রুতই ঘরটি পুড়ে যায়। পরদিন ২০ আগস্ট প্রবাসী সুধীর দাসের স্ত্রী ছায়া রানী দাস বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলাকরেন। মামলা নং–জিআর ৯৬/২৩। পুলিশ মামলার আসামী হিসেবে শেফালী রানী দাসকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বাকীআসামীরা পলাতক থেকে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসে পুনরায় সুধীর দাশের পরিবারের সবাইকে প্রাণ নাশের হুমকী ধামকি দেয়াসহ ঘর পোড়ার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার কু প্রচেষ্টায় নানা ফন্দি ফিকির আটছে। তাই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষ হতে এব্যাপারে যথাযথ আইনী উদ্যোগ গ্রহণে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।