নিজস্ব প্রতিবেদক
সন্দ্বীপে নানা নীতিবহির্ভুত কর্মকাণ্ডে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বিএনপি সভাপতি আব্দুর রহিম। দল ক্ষমতা না থাকাকালীন সময় তিনি গা ভাসিয়েছিলেন নৌকার ব্যানারে। অতিথি হয়েছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে। সবশেষ শেখ হাসিনা সরকার পদত্যাগের পরও থেমে নেই তার অনৈতিক কার্যকলাপ। মেডিকেল সার্টিফিকেট আদায় করতে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনাও ঘটান।
একাধিক সুত্র জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দা এবং রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আব্দুর রহিমে কর্মকাণ্ডে বিএনপির নেতৃত্বের দায়বদ্ধতার অভাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যদিও হামলার পর চিকিৎসক তার উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করেন ঘটনাটি জানালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক স্থানীয় বিএনপির আহবায়ক আবু তাহের, বিএনপি নেতা আলমগীর ঠাকুর, ইঞ্জিনিয়ার বেলাইত হোসেন, এবং থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেন। তারা উক্ত ঘটনাটি শুনার পর তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে যান। চিকিৎসকের কাছ থেকে পুরো ঘটনার বিবরণী শুনেন এবং আব্দুর রহিমের এই অপকর্মের সত্যতা খুঁজে পান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্দ্বীপ উপজেলাধীন গাছুয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র বিতর্কিত কর্মকাণ্ড দিয়ে যার রাজনীতি শুরু তিনি আব্দুর রহিম। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে বিএনপি প্রার্থী রফিকুল্লাহ চৌধুরী ধানের শীষের সমর্থনে মিছিলে গুলি করে আলোচনায় আসেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আব্দুর রহিম বিএনপিতে অনুপ্রবেশের পর যুবদলের পদ দখলে নেয়।
২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রতীকে সাবেক এমপি মাহফুজুর রহমান মিতার পক্ষে কাজ করেন আব্দুর রহিম। ২০১৬ এর ইউপি নির্বাচন ফয়েজ উল্লাহ সাহেবের ধানের শীষ প্রতীকের বিরোধিতা করে নৌকার নির্বাচন করেন। ২০২১ সালে যেখানে বিএনপি’র নীতি নির্ধারণী থেকে নির্বাচন বর্জনের পরও ২০২১ সালের সরাসরি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকার প্রতীকের প্রচার প্রচারনায় অংশগ্রহণ করেন।
অভিযোগ আছে, আব্দুর রহিমের ধারাবাহিক অপকর্মের ফিরিস্তি স্থানীয় লোকজন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ে অভিযোগ করেও সাংগঠনিক কোন প্রতিকার মেলেনি। এনিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে বেশ অশান্তি বিরাজ করছে।
নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, আব্দুর রহিম স্থানীয় আইন ও প্রবিধি অমান্য করার ইতিহাস রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্র থেকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে তার অপরাধ কার্যক্রম দিনের দিন বেড়ে চলেছে। অন্যদিকে ক্ষুণ্ন হচ্ছে দলীয় ইমেজ।
এ বিষয়ে সদস্য সচিব মো. আবছার বলেন, ………..
দলীয় নীতিবহির্ভুত কার্যকলাপের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আব্দুর রহিম বলেন,
ADVERTISEMENT