
খাদেমুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
চট্টগ্রামের একমাত্র দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে আধুনিক কোন নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সন্দ্বীপের সাথে আধুনিক নৌ যোগাযোগ মাধ্যম হতে যাচ্ছে গাছুয়া ফেরি ঘাটে নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন ইকোনমিক জোনের জেটি। মিরসরাই ইকোনোমিক জোনের সুবিধার্থে সন্দ্বীপের গাছুয়া আমির মোহাম্মদ ফেরি ঘাটে বেড়িবাঁধ থেকে সাড়ে তিন কিলোমিটার নদীর ভিতরে নির্মাণ করা হবে এই জেটিটি।
৪ ডিসেম্বর ২০২২সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দুপাড়ের জেটি টার্মিনাল সহ নানান উন্নয়ন কাজের একটি নামপলক স্থাপন করেন সন্দ্বীপের গাছুয়া আমির মোহাম্মদ ফেরি ঘাটে।
গতকাল তারই ধারাবাহিকতায় প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আসেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহম্মেদ মোস্তাফা। সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যানের সাথে আরো ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির উদ্ধতন কর্মকর্তা ও সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা বলেন, সন্দ্বীপবাসীর স্বপ্ন ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে গাড়ি নিয়ে সন্দ্বীপ-চট্টগ্রাম আসা যাওয়া করা সে বিষয়টি বিআইডব্লিওটিএর চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি। আশাকরি বিআইডব্লিওটিএ যে প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে সেটি বাস্তবায়িত হলে দ্বীপবাসীও এর সুবিধা ভোগ করবে।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান সন্দ্বীপ ও মিরসরাই পাশে আধুনিক জেটি হবে যেটার ভিতরে গাড়ী চলাচল করতে পারবে। আমরা আশা রাখি যদি সুযোগ হয় সীতাকুন্ডের পাশে কোন অবকাঠামো করতে পারি তাহলে আরো জায়গা কমে আসবে এবং এ আধুনিক জেটি ব্যবহার করে কম সময়ে নিরাপদে চট্টগ্রামে পৌছাতে পারবে সন্দ্বীপবাসীও। ভবিষ্যতে সন্দ্বীপে যে ইকোনোমিক জোন হবে সেটার সাথে মিরসরাইয়ের ইকোনোমিক জোনের সাথে যোগাযোগ সৃষ্টি করবে এ আধুনিক জেটি।