মোঃগিয়াস উদ্দিন লিটন-চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর ২৬নং ওয়ার্ডের বি-ব্লকের রোড-৪,লেইন-২ সহ বিভিন্ন লেইনের সড়ক নির্মাণের কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আজিজিয়া এন্টারপ্রাইজের মোঃ মজিব।
এই কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে, নিয়ম অনুযায়ী চার বস্তা বালির সাথে এক বস্তা সিমেন্ট দেয়ার কথা থাকলেও তারা আট বস্তা বালির সাথে এক বস্তা সিমেন্ট ব্যবহার করছে,এবং ভরাট বালি দিয়ে এই কাজগুলো করছে তারা।
এই রাস্তার কাজে তদারকীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
এ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের দেওয়ালের আস্তরে সিমেন্টের সাথে ভরাট বালি, নিম্নমানের ইট সহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে। এলাকাবাসী অনিয়মের অভিযোগের করলে কাজ কিছুদিন বন্ধ রাখা হয়।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকেমানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে ভালোভাবে কাজ করা অনুরোধ করা হলেও এখনো অনিয়মের মাধ্যমে উক্ত কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আজিজিয়া এন্টারপ্রাইজের ঠিকাদার মোঃ মজিব।স্থানীয়দের অভিযোগ, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন টাকা বরাদ্ধ দিলেও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।এ রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে এসব সড়ক। সরকারি বরাদ্ধে অবমূল্যায়নের ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হবে এলাকাবাসীদের।সরেজমিনে গিয়ে সড়ক ঘুরে দেখা যায়, সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করা হচ্ছে।সিমেন্টের সাথে ভরাট বালু দিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং নিম্নমানের পুরানো ইটও ব্যবহার করছে।ইতিমধ্যে নির্মিত লেইনগুলোতে নিম্নমানের ইটের ভাঙা অংশ (রাবিশ) ও খোয়া দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ।রাস্তার কাজে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনেরপ্রকৌশল বিভাগের কাউকে এসে তদারকি করতে দেখা যায়নি।
এই বিষয়ে লেইন কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই বলেন,কাজের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে। ঠিাকাদার টেন্ডারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার কথা বললেও, কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে নিম্নমানের ইট বালি ও কংক্রিট দিয়ে কাজ শেষ করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।লেইন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ নিজামী বলেন এই কাজের বিষয়ে কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইলিয়াস কে অবগত করা হলে তিনি বলেন এই কাজের তদারকি করা আমার দায়িত্ব না, আপনারা সিটি কর্পোরেশনের সড়ক বিভাগের প্রকৌশলীকে জানান।স্থানীয় বাসিন্দা ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফরহাদ উদ্দিন জিতু বলেন আমরা চাই মানসম্মত নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে কাজটা সম্পূর্ণ করা হোক। তিনি আরো বলেন মেয়র কাউন্সিলর প্রকৌশল বিভাগের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।স্থানীয় কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইলিয়াসও এই বিষয়ে তদারকির দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল বিভাগের আপনারা তাদের সাথে কথা বলেন।
অভিযুক্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আজিজ এন্টারপ্রাইজে ঠিকাদার মোঃ মুজিব কাজের অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করেন বলেন,আপনার কিছু জানার থাকলে প্রকৌশল বিভাগের সাথে কথা বলেন।এবং প্রতিবেদক কে বলেন কোথায় কাজ করেন,আমার হোয়াটসঅ্যাপে আপনার ভিজিটিং কার্ড দেন।প্রকৌশলী মোঃ জসিম বলেন,উন্নয়ন কাজের চুক্তি মোতাবেক কাজ না হলে এবং কাজে অনিয়ম হলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।এ সড়কে অনিয়ম হচ্ছে সেটা আমার জানা নেই। সড়কে কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ এলাকাবাসী আমাকে জানায়নি।