
রোকন বিশ্বাসঃ
পাবনা জেলা প্রতিনিধি
পাবনার সুজানগর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফার নামে সেচ্চাচারিতার অভিযোগ উঠেছে,সুজানগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্ষমতাচ্যুত আব্দুল ওহাবকে গ্রেফতার করা অবস্থায় পুলিশের গাড়ী থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়।
আমরা ভিডিও সূত্রে দেখি,আওয়ামী ক্ষমতাচ্যুত আব্দুল ওহাব মাঠে অবস্থান করেন,কিছু সময়ের মধ্যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য এসে মাঠের মধ্যে গাড়ী নামিয়ে আব্দুল ওহাবকে গ্রেফতার করে এবং গাড়ীতে তোলা হয়।এরই মধ্যে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিতে দিতে গাড়ীর পিছু নেয় তার অনুসারীরা।কিছু পঞ্চাশ থেকে পঞ্চান্ন বয়সের চেয়ারম্যানের অনুসারীরা এসে হাজির হয় এবং পুলিশের কাছ থেকে জোড় করে ছিনিয়ে নেয় যা ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়।এই ভিডিওটি তোলপার হয় পাবনা জেলার মিডিয়াপাড়াতে।আসল রহস্য জানতে জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি রোকন বিশ্বাস ও সদর উপজেলা প্রতিনিধি হৃদয় হোসেনসহ আমার একটি ছোট ভাইকে নিয়ে সুজানগর থানার উদ্দেশ্যে রওনা হই রাত ৯ টার সময়ে।আমরা তিনজন থানায় পৌঁছে যাই রাত ১১ টার সময়ে।থানায় উপস্থিত হয়ে ডিউটি অফিসারের সাথে সাক্ষাৎ করে আমি জানতে চাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবকে গ্রেফতার করতে গিয়ে কি কি ঘটনা হয়েছিলো?তিনি প্রশ্ন উত্তরে বলেন,আমি এই ব্যাপারে জানি না স্যার যৌথ অভিযানে গিয়েছে আসলে জানতে পারবেন ততোক্ষণ আপনারা থানায় বসেন।আমরাও ডিউটি অফিসারের কথা অনুযায়ী অবস্থান করি থানার মধ্যে।ধীরে ধীরে রাত গভীর হয়ে আসছে ঠিক ১১:৪৫ মিনিটের দিকে আবারো ডিউটি অফিসারকে বললাম অনেক দেরি হচ্ছে ওসি সাহেবের নাম্বারটা দেন আমরা তাহলে কল দিয়ে শুনে নিবো বিস্তারিত ঘটনাটা এখন চলে যেতে চাচ্ছি আতাইকুলা থানাতেও যাবো,তিনিও বললেন ঠিক আছে।চলে আসার সময়ে আমি ডিউটি অফিসারকে বললাম আতাইকুলা থানাতে যাবো কোন দিক দিয়ে,রাত করে যদি যাওয়ার জন্য সঠিক রাস্তার কথা বলতেন কারণ আমি চিনি না আর এতো রাতে তো রাস্তায়ও লোকজন পাবো শুনার জন্য তাই তিনি আমাদের বললেন আপনি পল্লীবিদুৎ হয়ে এক রাস্তা দিয়ে চলে যান তাই পাবেন আতাইকুলা।ঠিক রাত ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে আমরাও মোটরসাইকেল নিয়ে পল্লীবিদুৎ এর রাস্তা দিয়ে কিছুটা যাওয়ার পরপরই একটা মহিলা মুদি দোকানদার বন্ধ করতেছিলো তাকে জিজ্ঞাসা করলাম খালা আমরা তো আতাইকুলা যাবো এই রাস্তা দিয়ে গেলে কি পাবো?তিনি আমাদের সাথে কথা না বলে বাড়ীর মধ্যে ঢুকে গেলেন এরই মধ্যে আরো একটি মোটরসাইকেল আরোহী পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ে বললেন আমার পিছু পিছু আসেন আমরাও যাচ্ছি তখনি একটু ভাবলাম রাস্তা ঠিক আছে হারায়ে যাই নাই।কিছু দূর এগিয়ে গেলেই সন্ধান মেলে যৌথ বাহিনীর অভিযান আর আমাদের সামনে যে মোটরসাইকেল আরোহী ডেকে নিয়ে যাচ্ছিলো তারা পুলিশ গাড়ীর সামনে গিয়ে রাস্তার পাশে ব্রেক দিয়ে একটা পুলিশকে বললো স্যার এরা সাংবাদিক মোটরসাইকেল এর উপরে ষ্টিকার লাগানো আছে।আমার ভিজিটিং কার্ড ও আইডি কার্ড দেখাইলাম এক পুলিশ অফিসারকে তিনি দেখে বললেন পিছনে স্যার আছে তার কাছে যান এইভাবে দুই তিনটি গাড়ীর পিছনে একটি পুলিশ অফিসার আসলো এবং উচ্চস্বরে কথা বললো আমি আমার পরিচয় বললাম জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তা পত্রিকার সাংবাদিক রোকন বিশ্বাস পাবনা জেলা প্রতিনিধি হিসসবে কাজ করি,সাথে আমার ভিজিটিং কার্ডও দেই হাতে নিয়ে ঢিল মেরে ফেলে দিয়ে প্রতি উত্তরে বলেন, সরেজমিন বার্তা না কি বালের বার্তা এই সকল কথা বলেই নিজেকে পুলিশি পুলিশি ভাবে আমার সদর প্রতিনিধিকে কড়াভাষায় বললেন আপনার আইডি কার্ড কই সেও দেখালো এদিকে আমাদের মাঝ খানে ছোট ভাই ছিলো তাকে জিজ্ঞাসা করলেন তুমি কে তখন বললাম আমার ছোট ভাই হয় পুলিশ অফিসার আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বললেন কার্ড কই তোমার।আমি বললাম ও তো সাংবাদিক না আমার ছোট ভাই হয়,তিনি তখন তার পুলিশ সদস্যকে বললেন একে গ্রেফতার করো।আমি সুন্দর ও সাবলীলভাবে ছোট ভাইকে বললাম তুমি পুলিশের গাড়ীতে ওঠো আমি থানায় আসতেছি।গাড়ীতে উঠিয়ে দিলাম এবং আমার সদর প্রতিনিধিকে বললাম গাড়ী ঘুরিয়ে থানার দিকে যাও আমরা কথাবার্তা বলে যাবো যেহেতু আমাদের ছোট ভাইকে পুলিশের গাড়ীতে তুললো।আমরা সুজানগর থানায় আসবো পুলিশ গাড়ীর পিছনে পরেছি কিছুটা আসতেই ঐ পুলিশ আবারো ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হুমকি দেয় আপনাদেরও কিন্তু গ্রেফতার করবো আমাদের পিছনে কেন?আমি বললাম আপনার পিছনে আমরা ছিলাম যেহেতু আমার ছোট ভাইকে আপনাদের গাড়ীতে তুলেছেন সেই ক্ষেত্রে আমরা থানাতে যাবো বাড়ীতে তো আর যাবো না তাই যাচ্ছি এতে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হলেন এরই মধ্যে আমি আমার মোটরসাইকেল এর আলোতে দেখে নেই কোন পুলিশ অফিসার পরবর্তী অনলাইনে সার্চ করে দেখি তিনি রেজিনূর রহমান-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্)বিসিএস-৩১ তম।
আমরা আর কথা না বাড়ীয়ে চলে আসলাম সুজানগর,এসেই আমি আমার সরেজমিন বার্তা পত্রিকার মাল্টিমিডিয়ার এডমিন ফজলুল কবির কে বিস্তারিত জানাই তিনি সকল কিছু জেনে পুলিশ সুপারকে কল করে বলেন।এতে পুলিশ সুপার বলেন,আমাদের ঐখানে দুইটা এস,পি আছে তাদের বলে দিচ্ছি আপনার প্রতিনিধি রোকন বিশ্বাসকে কার্ড নিয়ে থানায় যেতে বলেন সঠিকভাবে যাচাই করে ছেড়ে দিবে।পাবনা পুলিশ সুপার মুর্তজা আলী খাঁনকে ধন্যবাদ জানাই,সেই সাথে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) রেজিনূর রহমানের আচরণের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে সরেজমিন বার্তা পত্রিকা ও পাবনা জেলা প্রতিনিধি এবং সদর উপজেলা প্রতিনিধির পক্ষ থেকে এই অসমজস্য আচরণ ও অকথ্যভাষায় গালমন্দ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।