ডেস্ক রিপোর্টঃ
গত ২৩ এ এপ্রিল মঙ্গলবার জাতীয় দৈনিক সরেজমিন বার্তার চট্টগ্রাম মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মেজবাহ উদ্দিন ইমন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি ফারহানা আক্তার, ঢাকা ক্যানভাস এর প্রতিনিধি মিঠুন শাহ, সহযোগী ক্যামেরা পার্সন সহ চট্টগ্রামের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক সঙ্ঘবদ্ধভাবে ফটিকছড়ি উপজেলার দাতমারা ইউনিয়নে অবস্থিত সেকান্দর কোম্পানির পরিচালিত ইট-ভাটায় অবৈধ ভাবে কয়লার পরিবর্তে পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার বনঅঞ্চল উজাড় করে দৈনিক শত শত গাছ কেটে ইট ভাটায় পোড়ানোর অভিযোগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাংবাদিক টিম পৌছায় উল্লেখিত ইট-ভাটায়।
ইট ভাটায় তথ্য সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকরা ফেরার সময়ে ইট ভাটায় উপস্থিত কিছু শ্রমিক এবং মেনেজার সাংবাদিকদের হুমকি দেই সংবাদ প্রকাশ না করতে। এ বিষয়ে সাংবাদিকগণ রাজি না হলে শুরু হয় তর্কবিতর্ক। এক পর্যায়ে ইট ভাটার মালিক পক্ষের লোক হিসেবে সাংবাদিকদের দমাতে ইট ভাটায় উপস্থিত হয় ফটিকছড়ির এক ব্যাক্তি, নাম পরিচয় প্রকাশ করা ছাড়াই তিনি ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেন সকল সাংবাদিকের সাথে।
সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেয় সেই নাম নাজানা ব্যক্তি, সাংবাদিকরা কু-প্রস্তাবে রাজি নাহলে মুঠোফোনে কল দিয়ে ইট ভাটায় নিয়ে আসেন ভাড়াট গুন্ডা বাহিনী, সেই গুন্ডা বাহিনী সহ সরাসরি হামলা করা হয় সকল সাংবাদিকদের উপর, কেড়ে নেওয়া হয় ক্যামেরা মাইক্রোফোন সহ যাবতীয় সকল সরঞ্জাম।
এক প্রকার জিম্মি করে ডিলিট করানো হয় ইট ভাটায় ধারণ কৃত বহু অপকর্মের ফুটেজ।
ঝামেলার এক পর্যায়ে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করতে সক্ষম হোউন ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তার সাথে।
ইউএনও মহোদয় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সাংবাদিকদের নিরাপত্তার জন্য।
ফটিকছড়ি থেকে আগত ভাটার মালিক পক্ষের সেই লোকের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি সরাসরি কলার চেপে ধরেন এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন সরেজমিনের সাংবাদিক মেজবাহ উদ্দিনকে, এবং হাতের মধ্যে আঘাত করা হয় মহিলা সাংবাদিক ফারহানা আক্তারকেও
এক পর্যায়ে হামলাকারী সেই ব্যাক্তি নিজের পরিচয় দেন তিনি মুক্ত খবরের সাংবাদিক জীবন মুসা।
মারধরের শিকার হোওয়াতে সাংবাদিকরা প্রশাসনিক সহযোগিতার জন্য কল করেন ন্যাশনাল ইমারজেন্সি হেল্প লাইন ৯৯৯ নাম্বারে। সেখান থেকে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করে পুলিশ ফোর্স পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। পুলিশ আশার খবর পেয়ে হামলাকারীরা সরে যায় ইট-ভাটা থেকে।
হেনস্তা এবং মারধরের শিকার হয়ে সাংবাদিকরা ইট ভাটা থেকে বের হয়েই চলে যান দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে সেখানে অবগত করে ভুজপুর থানায় যায় সাংবাদিক টিম।
থানায় ওসি মহোদয়ের অনুপস্থিতিতে তদন্ত অফিসারকে জানানো হয় সম্পুর্ন ঘটনা,
থানায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সাময়িক ভাবে বিচ্ছিন্ন থাকায় অভিযোগ পত্র ছাপানোর কাজে পড়তে-হয় বিড়ম্বনায়। এক পর্যায়ে তদন্ত অফিসার আশ্বাস দেন এই বিষয়ে কাজ বরবেন তিনি, সেই ভিত্তিতে সেখান থেকে ফিরে আসেন সাংবাদিক টিম।
প্রকাশ্য সেই ইট ভাটাটিতে জানা যায় নিয়মিত ৫০ হাজার ইট তৈরি করা হয় বন-অঞ্চলের কাট কেটে পুড়িয়ে।
এই বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তাকে অবগত করলে তিনি জানান তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন তিনি।
জানা যায় হামলাকারী মুক্ত খবরের কথিত জীবন মুসা এবং তার সাথের ভাড়াটে গুন্ডা গুলো মাসিক ভাবে চাদা আদায় করে ফটিকছড়ির বেশ কয়েকটি অবৈধ ইট- ভাটা থেকে। এবং মুক্ত খবরের সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাচ থেকে আদায় করে চাদা।
এই বিষয়ে হেনস্তার শিকার হোওয়া সাংবাদিকরা জানান অবৈধ ভাবে ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাট পুড়ানোর বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করাতেই তাদের উপর হামলা চালায় ইট ভাটার মালিক পক্ষের হয়ে ফটিকছড়ির কথিত সাংবাদিক জীবন মুসা এবং তার ভাড়া করা কিছু গুন্ডা বাহিনী।
সরেজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার মেজবাহ উদ্দিন ইমন জানান ঘটনা স্থলে জীবন মুসা সরাসরি তাকে হুমকি দিয়েছেন এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে তার প্রাণনাশ করবেন বলে।