বৃন্দাবন মল্লিকঃ
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর থানা থেকে মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামীকে ছিনতাই করে নিয়ে গেছে বিএনপি,যুবদল,সেচ্ছাসেকদল ও ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা। শুক্রবার রাত সোয়া দশটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ তারিকুল ইসলামকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্রীনগর বাজার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। তারিকুল শ্রীনগর থানায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর দায়েরকৃত ১৭(১১)২৪ নং মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী।
যুবদলের সদস্য তারিকুলকে গ্রেপ্তারের খবর শুনে রাত ৯টার দিকে থানায় ছুটে আসেন শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান। তিনি তারিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরীরর উপর চাপ প্রয়োগ করেন। পরবর্তীতে শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা জেমস, সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ, যুবদল নেতা রবিন, অপু, সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এমদাদুল ইসলাম রজিন,উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আশ্রাফুল ইসলাম শুভ,সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক ইমন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী থানায় এসে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে আসামী তারিকুলকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যায়। মূহুর্তের মধ্যে এই ঘটনা উপজেলা ব্যাপী ছড়িয়ে পরলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ কাইয়ূম উদ্দিন চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা হলে পরিস্তিতি আরো খারাপ হতে পারতো।
শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। আমি আজকে সন্ধ্যা থেকে ঢাকার গেন্ডারিয়া একটি কমিউনিটি সেন্টারে দাওয়াতে ছিলাম। সেখানে নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকার কারণে আমার ফোনে কোন কল আসেনি। দাওয়াত থেকে বের হয়ে একাধিক কলের অ্যালার্ট পেয়ে। আমি কল দিয়ে জানতে পারি শ্রীনগর থানা থেকে আমদের যুবদলের একজন সদস্য পালিয়ে গিয়েছে। আমি আমার নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি তাকে খুঁজে থানায় দেয়ার জন্য। কোন বি এন পির লোকের এখানে সম্পৃক্ততা নেই।
এ বিষয় জানতে শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা জেমসের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
তারিখঃ ১০-০১-২০২৫ইং