

শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে নিয়োগ পান শার্শা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদিউজ্জামান
স্টাফ রিপোর্টার :: শিক্ষা সনদ জালিয়াতি করে নিয়োগ পাওয়া যশোরের শার্শা উপজেলার শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক বদিউজ্জামান বাবু তার অপকর্ম ঢাকতে দোড়ঝাপ শুরু করেছে। শিক্ষা মন্ত্রাণালয়ের উচ্চপদস্ত কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চাকুরি বাঁচাতে তিনি মরিয়া হয়ে ওঠেছেন।শিক্ষকের এহেন ঘৃনীত কান্ডে এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে।বিদ্যালয় সূত্রে জানাগেছে অভিযুক্ত শিক্ষকের সনদ যাচাই (সনদের সিরিয়াল নং- এনইউএইচ ০০২৯৯২৯) প্রসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বরাবর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম দরখাস্ত করলেও অজানা রহস্যে বিষয়টি ধামাচাপা পড়েছে। শার্শা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এর নিকট শিক্ষকের জাল শিক্ষা সনদ সংক্রান্তে জানতে চাইলে শিক্ষা অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন শার্শা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদিউজ্জামানের শিক্ষা সনদ সংক্রান্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে বলে তিনি অবগত আছেন। তবে এ নিয়ে এখনো পর্যন্ত তার কাছে মন্ত্রাণালয়ের কোন চিঠি আসেনী।জালজালিয়াতির আদলে চাকুরি পাওয়া শিক্ষক বদিউজ্জামান বিধি ভেঙ্গে এমপিও ভূক্ত হয়ে দীর্ঘ বৎসর ধরে সরকারী বেতন ভাতা উত্তোলন করে আসলেও এখনো পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনী শিক্ষা অধিদপ্তর। গুঞ্জন রয়েছে বিপুল পরিমান অর্থ ঘুস দিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই বহাল তবিয়তে শিক্ষকতা করছেন বদিউজ্জামান।এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বাবু মুঠোফোনে জাল সনদের বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করলেও বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ হওয়ায় তার বেতন-ভাতা প্রাপ্তিতে জটিলতার কথা স্বীকার করেন। বিগত ২০১০ সালে শার্শা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলারে ইংরেজী শিক্ষকের অনার্স ও স্নাতকোত্তর পাশে দ্বিতীয় বিভাগ আহবান করা হয় । শিক্ষক বদিউজ্জামান অনার্সে যশোর এম এম কলেজ হতে তৃতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েও জালজালিয়াতির আদলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চাহিদা মোতাবেক শিক্ষা সনদ সরবারহ করেন। তৎকালীন সময়ের বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সুপারিশে অভিযুক্ত শিক্ষক কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই সকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পান বলে জানাগেছে।