কে.এম সুজন
নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার নির্বাচন কমিশনার আজ শপথ নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আজ তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা। শপথ অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ, নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটির সদস্যবৃন্দ ও নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ, আরো উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রির শাখার বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২১ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার নির্বাচন কমিশনারের সমন্বয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়েছিল। তখন অবসরপ্রাপ্ত সচিব এএমএম নাসির উদ্দীনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হছেছিল। অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা থেকে গত ২১ নভেম্বর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন সংবিধানের ১১৮(১)সাবেক সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিনকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজনকে কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেন।
আজ দুপুর দেড়টায় সুপ্রিম কের্টের জাজেস লাউঞ্জে নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, নিবার্চন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণের শপথবাক্য পাঠ করান। নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা হলেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব বেগম তহমিদা আহমদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের শাসনের অবসান হয়। ওই দিন পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এর কিছুদিন পর গত ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এর পর দেড়মাস শন্য থাকার পর অবসর প্রাপ্ত সচিব এমএ নাসির উদ্দীনের-কে প্রধান করে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়।
নবনিযুক্ত সিইসি নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, গত ৫ আগষ্টে গণঅভ্যূত্থানে আন্দোলনে অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, শত শত মানুষ আহত হয়েছে। এ আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা। তিনি আরও বলেন, এত মানুষের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সর্বস্ব শক্তি দিয়ে নিশ্চিত করব মানুষের ভোটাধিকার ইনশাআল্লাহ।
নতুন সিইসি নাসির উদ্দীনের বাড়ি কক্সবাজারে কুতুবদিয়ায়। ১৯৫৩ সালের ১ জুলাই তার জন্ম। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর করার পর শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭৭ সালে। দুই বছর পর ১৯৭৯ সালে বিসিএস-এ উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগ দান করেন।
তিনি কর্মজীবনে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। পরে পরিকল্পনা বিভাগের সদস্যও হয়েছিল। পরে বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বও পালন করেন।