স্টাফ রিপোর্টার (বান্দরবান):
লামা বাজার পুকুর সংস্কারের বিষয়ে মিথ্যা বিবৃতির নিন্দা জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন সনাতনী সম্প্রদায়ের সামাজিক নেতৃবৃন্দ। ২৮ নভেম্বর বিকেলে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ‘লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দির ও লামা সনাতনী সম্প্রদায়ের পক্ষ হতে জানানো যাচ্ছে যে, লামা বাজারস্থ পুকুর সংস্কারের বিষয়ে লামা সনাতনী সমাজকে নিয়ে ফেসবুকে যে বা যারা বিভ্রান্তিমূলক বিবৃতি দিচ্ছে, আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। লামা বাজারের পুকুর সংস্কারের ক্ষেত্রে লামা কেন্দ্রীয় হরি মন্দির ও লামা সনাতনী সমাজের কারো কোন আপত্তি নেই। পুকুর সংস্কার হলে লামা বাজারের সকল জনগণ উপকৃত হবে। পুকুর সংস্কারে সহযোগিতা করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে লামা সনাতনীদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনসহ সফলতা কামনা করছি’। প্রসঙ্গত: লামা বাজারে শতবর্ষী একটি পুকুর দীর্ঘকাল ধরে দখল দূষণের কবলে অস্তিত্ব হারায়। সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলা প্রশাসক নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ কামরুল হোসেন চৌং পুকুরটি উদ্ধার সংস্কার কাজ শুরু করেন। পূর্বে থেকে পুকুরের পশ্চিম পাড়ে স্থানীয় সনাতনী পরিবারের কয়েকটি টিন বাঁশের ছোট অস্থায়ী রান্নাঘর ছিলো। সংস্কার কাজের সুবিধার্থে সবাই নিজ নিজ দায়িত্বে রান্নাঘর গুলো সরিয়ে নেন। কিন্তু বারংবার তাগাদা দেয়ার পরও একটি রান্নাঘর সরিয়ে নেয়নি এক কট্টরপন্থি হিন্দু পরিবার। গত ২২ নভেম্বর সংস্কার কাজের শেষ পর্যায়ে শ্রমিকরা রান্না ঘরটি খুলে সংস্কার কাজ সারেন। তার কিছুক্ষণ পর বিপ্লব দাস নামের একটি ফেসবুকে ‘উন্নয়নের নামে হিন্দু পরিবারের ঘরের উপর বোল্ড ডোজার চালায় প্রশাসন’ এমন বক্তব্য দিয়ে ভিডিও প্রচার করে। ক্রমবর্ধমান প্রেক্ষাপটে ওই ফেসবুক আইডি থেকে একের পর এক মিথ্যাচারে সবাই বিস্মিত ও বিব্রত হয়। ২৪ নভেম্বর ফেসবুক আইডিতে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে লামা পৌর শহরের হিন্দু মুসলিম ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন। ওই প্রতিবাদ সভায় ‘বিপ্লব দাস’ নামের আইডি পরিচালক বিপ্লব দাশকে গ্রেফতার পূর্বক শাস্তির দাবি জানান সনাতনী সমাজের নেতৃবৃন্দ। পরে বিপ্লব দাস ওই ফেসবুক আইডিতে আরেকটি ভিডিও পোষ্টে দাবি করে ‘পুকুর পাড়ে আমার একটি রান্নাঘর ভেঙে দেয় প্রশান। বিপ্লব দাস নামের ফেসবুক আইডি থেকে একের পর এক মিথ্যা মনগড়া ভিডিও ও পোস্ট করায় লামার সর্ব মহলে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্থানীয়রা জানান, বিপ্লব দাস একজন ইসকন সন্ত্রাসী চিম্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভু’র আদর্শ অনুসারী মুসলিম বিদ্বেষী। সে ইতো পূর্বে লামায় একটি ইসলামি সম্মেলনে ওয়াজ নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে স্থানীয়দের রোষাণলে পড়ে পালিয়েছিল অনেক দিন। বছর খানেক পর এলাকায় এসে দৈনিক ‘কাল বেলা’ নামের একটি পত্রিকার সংবাদদাতা পরিচয়ে গলায় আইডি কার্ড, হাতে কাল বেলার লগো বম নিয় এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীদেরকে হয়রানি করে চলছে। লামার কয়েকজন পর্যটন উদ্যােক্তা ও আইনজীবী জানান, দৈনিক ‘কাল বেলা’ পত্রিকার সংবাদতাতা কার্ড গলায় ঝুলিয়ে গভীর রাতে বিপ্লব দাস মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকায় অন্যের জায়গা জবর দখল করতে যায়। তার বেপরোয়া সাম্প্রদায়িক মানসিকতায় লামার সমাজ পরিমন্ডলে বিরুপ প্রতিচ্ছায়া পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকে। হিন্দু মুসলিম স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, বিপ্লব দাশ হিন্দু উগ্রবাদ
সন্ত্রাসী চিম্ময় কৃষ্ণের মতাদর্শি। সে স্বৈরচার আওয়ামী সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে মারাত্মক
কোনো ষড়যন্ত্রকারীদের ক্রীড়ানক হয়ে কাজ করছে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা দরকার, আসলে সে কি করতে চায়। এমন দাবি করেছেন লামার হিন্দু মুসলিম জনতা। বিপ্লব দাসের ফেসবুক প্রোফাইলে দেখা সে, বিপ্লব দাস চট্টগ্রামে আইনজীবি হত্যা মামলায় আটক চিম্ময় কৃষ্ণের সাথে তার কত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।