
লামায় পিসিএনপি’র জনসভায় কাজী মুজিব বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারীদের মাঝ কোন বৈষম্য থাকতে দেয়া যাবেনা। রাজার সনদ প্রথা বাতিল করে সকল মানুষের জন্য সাংবিধানিক সমাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গের রত্নখনি পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পুরাতন ক্যাম্পগুলোকে আরো বেশি করে ঢেলে সাজাতে হবে। ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে জুলুমবাজ সরকার ও তার দোসরা পালাতে বাধ্য হয়েছে।’ ১৭ আগস্ট শনিবার পিসিএনপি লামা উপজেলা কমিটির উদ্যাগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে শোভাযাত্রা ও জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রী কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান আরো বলেন, সকল দুর্ণীতির বিচার হবে। বান্দরবানের সাত উপজেলা ২ পৌরসভায় দুর্নীতির মাধ্যমে যারা রাষ্ট্রের ক্ষতি করেছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীসহ মানুষকে অপমান অপদস্থ করেছে; তাদের বিচার শুরু হয়েগেছে। তারুণ্যের জোয়ারে ইতোমধ্যে বিগত স্বৈরচার সকারের তিন শ্ দুর্নীতিবাজ সাংসদ প্রায় দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। জনতার হাতে ধৃত হয়ে লুটেরার দল উত্তম মধ্যমের শিকার হচ্ছে! এমন বেহায়া নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই। কাজী মুজিব আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে তিন জেলা রাজ প্রথা বন্ধ করে পার্বত্যবাসীকে গণতন্ত্রের আওতায় আনতে হবে। লামা বাজার জেলা পরিষদ গেষ্ট হাউজের সেমিনার কক্ষে নাগরিক পরিষদ লামা উপজেলা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট (অব:) আবদুল আজিজ এর সভাপতি পিসিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা শাহ জালাল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পরিষদের লামা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ কামরুজ্জামান স্বাগতিক বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ন্যায্যতার ভিত্তিতে পাহাড়ে সকল বৈষম্য দূর করে সাংবিধানিক শাসন চালু করতে হবে। প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বৃহত্তর লামা উপজেলাটি গুরুত্ব বিবেচনায় বান্দরবান জেলার সমান্তরাল। জনসংখ্যা, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, রাজনৈতিকভাবে এই উপজেলার গুরুত্ব অনেক। এখানকার সিএনজি চালক শ্রমিকরা চরমভাবে প্রহসনের শিকার হচ্ছে। লামা-আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়কে চকরিয়া কেন্দ্রীক একটি বাস, জীপ মালিক শ্রমিক পক্ষ একক আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে, পার্বত্য অংশের শত শত সিএনজি চালক শ্রমিককে সড়কে চলতে দিচ্ছে না। লামা-আলীকদমের সিএনজি চালক ও সাধারণ যাত্রীরা প্রতিনিয়ত সমতল অংশে হামলার শিকার হচ্ছে। অবিলম্বে সড়কে বিদ্যমান এই অরাজকতা রোধে সকল মহল এগিয়ে আসা দরকার। তিনি আরো বলেন,
পাহাড়ে সকল বৈষম্য নীতির বিরুদ্ধে নাগরিক পরিষদ আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। পিসিএনপি বান্দরবান জেলা সাধারণ সম্পাদক সাবেক ছাত্র নেতা মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, শোয়া এক শ্ বছর আগে বৃটিশ বুনিয়াদি আইন পার্বত্য চট্টগ্রাম ‘শাসনবিধি-১৯০০’ রহিত করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাংবিধানিক ধারা চালু করা এখন সময়ের দাবি। কেন্দ্রীয় নেতা এম রুহুল আমিন, নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা কমিটির সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, রুমা উপজেলা নেতা জসিম উদ্দিন, জাপা রওশন পন্থি কেন্দ্রীয় নেতা ও ছাত্র পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক হাবিব আল মাহমুদ বক্তব্য দেন। বক্তরা সবাই বাক্যে সকল দুর্নীতি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। এর আগে একটি শোভাযাত্রা-মিছিল লামা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। সমাবেশ শেষে সেখানে সাংবাদিকদের সাথেও বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন কাজী মুজিব। রাত আটটায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের গুলিস্থান বাজার ও সাড়ে ৯টায় আজিজনগরে পৃথক আরো দুটি জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মোঃ মুজিবুর রহমান।