কামরুজ্জামান সিনিয়র রির্পোটার- লামা আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়কে পরিবহন ধর্মঘট, ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধা ৭টায় লামা উপজেলা পরিষদ হলরুমে চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামাল ও পৌর মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম এর সমন্বয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাস জীপ ও সিএনজি মাহিন্দা সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, লামা ও আলীকদম থানার ওসি, ট্রাফিক পরিদর্শকগন সমঝোতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। যাত্রীদের ইমারজেন্সি পরিবহনের বিষয়টি বৈঠকে প্রাধান্য দেয়া হয়। ‘লামা-আলীকদম থেকে রিজার্ভ যাত্রী, ইমারজেন্সি রোগি বা পন্য, চকরিয়া পর্যন্ত পরিবহন করতে পারবে। তবে চকরিয়া থেকে ফেরার সময় কোনো স্টেশন ব্যবহার না করে যাত্রী বহন করতে পারবে সিএনজি। এতদ বিষয়ে কোনো পক্ষ কারো প্রতি অসঙ্গতিপূর্ণ আচরণ না করে, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে উপযুক্ত কর্তপক্ষের সহযোগিতা নিবেন’; এসব শর্তেসিএনজি ও বাস জীপ সংগঠনের মধ্যে অলিখিত সমঝোতা হয়েছে। যার মধ্যদিয়ে নিরসন হলো সিএনজি বাস জীপ শ্রমিক সংগঠনের বিরোধ। প্রসঙ্গতঃ সম্প্রতি সিএনজিতে যাত্রী পরিবহন করাকে কেন্দ্র করে বাস জীপ মালিক শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি দেয় বাস জীপগাড়ি সংগঠন। এই বিষয়টি নিয়ে লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল ৫ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষের নেতাদের নিয়ে বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করে তাদেরকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু ৫ তারিখ মঙ্গলবার সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট পালন করতে থাকে বাস জীপ মালিক শ্রমিক সংগঠন।যার ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তি শুরু হয়। ওই দিন ঢাকা থেকে নৈশ কোচে আসা অনেক যাত্রী চকরিয়ায় আটকা পড়ে।
এ দূর্ভোগের খবর শুনে ইমারজেন্সি যাতায়াতের জন্য লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এলাকার সিএনজিগুলোকে যাত্রী পরিবহনের জন্য অনুরোধ করেন।
এদিকে আটকা পড়া যাত্রী নিয়ে আসার পথে ইয়াংছা-জেদ্দা বাজার সড়কে সিএনজি থামিয়ে চালকদেরকে
বেধড়ক মারধর করে জীপগাড়ির চালকরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠার আগেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হস্তক্ষেপ করে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ না করে ধর্মঘট পালন করায়, বুধবার সন্ধায় বৈঠকে বাস জীপ মালিক, শ্রমিক সংগঠনের নেতারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তারা জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সংগঠনের অতীত ঐতিহ্য রক্ষা করে চলবেন বলে সবাইকে আস্বস্ত করেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে লামা আলীকদম ফাঁসিয়াখালী সড়কে সিএনজিতে চড়ে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন বলে বেশ কিছু যাত্রীরা জানিয়েছেন। যাত্রীদের মতে সিএনজি দ্রুত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছে। অপরদিকে যাত্রী পুরিয়ে জীপগাড়ি ছাড়তে অনেক দেরি হয় এবং চকরিয়া বা লামা স্টেশনে জীপে করে আসার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয়। এদিকে জীপগাড়ির চালকরা যাত্রীদের এমন অভিযোগ নাকোচ করে দিয়ে জানায়, যাত্রী হোক বা না হোক নির্ধারিত সময়ে তাদের গাড়ি স্টেশন ছেড়ে যায়।
জ্বীনের বাদশা সেজে প্রতারণা, পিবিআই যশোর কর্তৃক কুষ্টিয়া থেকে প্রতারক গ্রেফতার
মোঃ রিপন হাওলাদার: জ্বীনের বাদশা সেজে হুজুরের খাদেম পরিচয়ে চিকিৎসার...