
লামা ক্যায়াজুপাড়া লুলাইন সড়ক বন উজাড় করছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এর আগে সড়কে কালভার্ট-পানি চলচল বন্ধ করে স্থাপনা নির্মান করেছে তারা। ফলে পানি চলাচলে স্বাভাবিক গতি হারিয়ে কার্পেটিং সড়ক ভেঙে জন দূর্ভোগ দেখা দেয়। এখন আবার পূরবানুমোদন ব্যতিত সড়কের পাশে সরকারিভাবে সৃজিত গাছ কেটে ফেলছে(!)। কারা রাস্তার পাশের গাছগুলো কাটছে? এমন প্রশ্নের জবাবে সেখানকার বাসিন্দারা জানান, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের লোকেরা এই কাজ করছেন। সরকারি রাস্তার পাশের গাছ কর্তন কিংবা অপসারনে একটি বিধিমালা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মিডিয়া সমন্বয়কারী পারবভেজকে মুঠো ফোনে কল করে পাওয়া না যাওয়ায়, তাদের কোনো বক্তব্য মিলে নাই। লামা এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি গাছ কর্তনের বিষয়টি জানেন না বলে জানান। তবে রাস্তা ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়েছেন। একই বক্তব্য দেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সড়কের পাশের কোন বৃক্ষ যৌক্তিক কারনে কর্তন অপসারণ করতে হলে, বন ও পরিবেশ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। এর পর বন বিভাগ পরিমাপ জরিপ করত: সম্ভাব্য মুল্য নির্ধারণ করে দিলে, উপজেলা পরিষদ মেটিংয়ে অনুমোদন-রেজুলেশন করে সংশ্লিষ্ট ইউপির সমন্বয়ে গাছগুলো নিলামের মাধ্যমে কর্তন আহরণ, অপসারণের নিয়ম রয়েছে মর্মে জানান, উপজেলা প্রকৌশলী। এতগুলো নিয়মের ধাপ তোয়াক্কা না করে সেখানে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের লোকেরা কিভাবে সড়ক বন উজাড় করছে(?)। তাদের মনগড়া কাজে স্থানীয়রা বিস্ময়ে হতবাক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসা একান্ত প্রয়োজন বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা।