বান্দরবানের লামায় জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ঘটনা প্রবাহ, আহত ও বীর শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা-মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার ৯ ডিসেম্বর লামা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এই আয়োজন করেন। লামা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত জুলাই বিপ্লবের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মঈদুল ইসলাম (ঢাকা কলেজ)।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ইব্রাহীম নিরব, রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা (তিন পার্বত্য জেলা প্রতিনিধি), আরিফ সোহেল, বান্দরবান জেলা ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ ইকবাল ও হাবিব আল মাহমুদ।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে, আরমান হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় আলোচক হিসেবে অংশ নেন, লামা মাতামুহুরি সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল মোনায়েম, প্রেসক্লাব সেক্রেটারী মোঃ কামরুজ্জামান, লামা উপজেলা বিএনপি একাংশের সভাপতি আমির হোসেন, লামা উপজেলা আমিরে জামায়াত কাজী ইব্রাহিম, সেক্রেটারি মোঃ সোয়াইব।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি থেকে বক্তব্য দেন, ইমদাদুল হক মিলন ও মোঃ শরীফ।
ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে সর্বসাধারণের মাঝে বিপ্লবী দেশপ্রেমের মনোভাব জাগ্রত করতে শহীদদের স্মরণে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মাতামুহুরি সরকারি কলেজের এক ছাত্রী মাতামুহুরি কলেজে অনার্স কোর্স চালুর জোরালোভাবে দাবি তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গক্রমে বক্তারা বলেন, বান্দরবান জেলার সব চেয়ে জনবহুল উপজেলা লামা। রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনায় জেলার পরই লামা উপজেলা। কিন্তু গোটা দেশে যখন বৈষম্যমুক্ত হাওয়া বইছে; ঠিক তখনই অন্তর্বতীকালীন গঠিত বান্দরবান জেলা পরিষদে বৃহত্তর লামা থেকে কোনো প্রতিনিধি নিয়োগ না দিয়ে; লামাবাসীর প্রতি চরম বৈষম্যে করা হয়েছে।
নেতৃত্ব ও উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ বঞ্চিত লামা উপজেলার শিক্ষা, চিকিৎসাসহ জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে; কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।
জ্ঞান চর্চার লক্ষ্যে একটি মুক্ত পাঠাগার প্রতিষ্ঠার দাবিও গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করা হয়, মতবিনিময় সভায়।
জুলাই-আগস্ট-২৪ বিপ্লব শহীদ, পঙ্গুত্ববরণকারী ও ত্যাগীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তারা বলেন, তাঁদের অসীম সাহস ও আত্মত্যাগের ফলেই আজ সকলের স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বিপ্লবী ছাত্র জনতার আত্মত্যাগের চেতনাকে ধারণ করে বৈষম্যহীন এক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন বক্তারা।
প্রসঙ্গত: জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ সভায় লামা উপজেলাবাসী ছাত্র জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ; বিপ্লবী চেতনার প্রতি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধা ও সমর্থনের প্রতিফলন ঘটিয়েছে।